সুচিত্রা মিত্র ও গণনাট্য সংঘ
3 January, 2025 - By Editor Role
23 December, 2024 - 11:05:00 AM
নবকুমার বসু প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও চিকিৎসক, ইংল্যান্ড। প্রথম পর্বের পর... একদিন খ্যাতিমান উদার গঙ্গোপাধ্যায় লেখক মশায়টির গৃহে হাজির হলাম। গড়িয়াহাটের বহুতল বাড়ির দশতলা। সংকোচ নিয়েই গেছি। ব্যস্ত লেখক। তাঁর সময় নষ্ট করার দ্বিধা আমার নিজের মধ্যেই বেশি। কিন্তু তিনি কনিষ্ঠ কলমিচিটিকে নিরাশ করলেন না। সুতরাং আমি অকপট হলাম। বললাম, রামকৃষ্ণ ঘরনী শ্রীমা সারদামণির জীবন অবলম্বনে উপন্যাস লিখতে চাই। দু-এক মুহূর্ত চুপ করে থেকে সুনীল চোখ তুলে তাকিয়ে দেখলেন অধমের দিকে। বোধহয় জরিপ করতে চাইলেন আমার সঙ্কল্পের দৃঢ়তা, একাগ্রতা... এবং হয়তো যে-কথা বলছি তার ওজন ও অভিঘাত সম্পর্কে কতটা সতর্ক এবং সচেতন আমি। তারপর একটাই প্র
আরও পড়ুন22 December, 2024 - 11:05:00 AM
নবকুমার বসু প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও চিকিৎসক, ইংল্যান্ড। অনেক দিন আগে দক্ষিণ ভারতে বেড়াতে গেছি। কন্যাকুমারিকা থেকে বিবেকানন্দ শিলা দেখতে যাচ্ছি। সমুদ্রে ওই সংক্ষিপ্ত জলপথ যাত্রাটিও তখন খুব সুগম ছিল না। ঢেউয়ে দোদুল্যমান ছোট নৌকা ভারতের মানচিত্রের নিম্নতম বিন্দু থেকে রওনা হয়ে কয়েক মিনিটে বিবেকানন্দ শিলা নামের সেই অনুচ্চ পাহাড়টিতে পৌঁছে দিত। সম্ভবত নব্বই-পচানব্বই বছর আগে বিবেকানন্দ সেই তৎকালীন পাথরে টিলাটির ওপরে বসে সামুদ্রিক বিচ্ছিন্নতা ও নীরবতার মধ্যে ধ্যান করেছিলেন। পরবর্তীকালে সেটি সাজিয়ে গুছিয়ে, পরিচ্ছন্ন করে সংগ্রহশালার চেহারায় একটি দর্শনীয় স্থান হিসাবে গড়ে তোলা হয়। নৌকা থেকে নেমে আমরা খালি পা
আরও পড়ুন17 December, 2024 - 11:30:00 AM
শ্যামানন্দ চৌধুরী শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক, অসম। দক্ষিণ আসামের তিনটি সমতল জেলা- কাছাড়, হাইলাকান্দি ও করিমগঞ্জ, একত্রে বরাক উপত্যকা নামে পরিচিত। এই তিন জেলার উপর দিয়ে বহমান বরাক নদীর নামেই অঞ্চলটি এই নামে চিহ্নিত। রাজনৈতিক ভূগোল অনুযায়ী আসামের অন্তর্ভুক্ত হলেও সাংস্কৃতিক ভূগোলের দিক থেকে বরাক উপত্যকা বঙ্গ সংস্কৃতির পূর্ব প্রান্তবর্তী শেষতম ভূমি। অঞ্চলটি যদিও প্রাকৃতিকভাবে অবরুদ্ধ কিন্তু বহুকাল আগে থেকেই বঙ্গ সংস্কৃতির কেন্দ্রভূমির সঙ্গে বরাক উপত্যকার নিবিড় যোগাযোগ ছিল। হেড়ম্ব রাজা কৃষ্ণচন্দ্র নারায়ণের (১৭৮০-১৮১৪) লেখা একটি চিঠিতে দেখা যায় কাছাড় থেকে যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা কলকাতায় ব্যবসা করতে যেতেন ...
আরও পড়ুন11 December, 2024 - 11:30:00 AM
সৌম্যেন বসু শ্রুতিনাট্যকার, আকাশবাণী কলকাতার প্রাক্তন সহ-অধিকর্তা, পশ্চিমবঙ্গ। তোমারও একটা ধূসর বাল্য ছিল সুরথনাথ জন্মমাটির সীমানা ডিঙনোর আগে ৷ জানতে কি সে কথা? মেজাইরা বোঝেনি সেদিন নৈহাটির টালির ঘরে আকন্ঠ দারিদ্রে ডুবে নিজের নিয়তি লিখছিলে সাদায় কালোয় ৷ জীবনকে পোড়াতে পোড়াতে সেই অঙ্গারে জন্ম দিলে সাহিত্যের সজীব বর্ণমালা ৷ বড় প্রেমিক ছিলে তুমি ৷ বড় সুপুরুষ ৷ দারিদ্র কী প্রেমিক করে? তাই কি রক্ত-ঘামের সাথে ছিল তোমার লাল-মুষ্ঠি অঙ্গীকার? মানুষ দেখেছ জীবনভর মানুষ খুঁজেছ কুম্ভের মানব-সাগরে ৷ অমৃত আর গরলের অন্বেষায় কালকূট হয়েছ তুমি ৷ বড় বিতর্কিত ছিলে ৷ জীবনে, জীবন-লেখা
আরও পড়ুন6 December, 2024 - 11:30:00 AM
কৃষ্ণা রায় বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষা, লেখিকা, পশ্চিমবঙ্গ। প্রথম পর্বের পর... তবে গোলাম মুরশিদের লেখার সূত্র ধরে দুটি প্রশ্ন উঠে আসে। এই ঘটনার পর মধুসূদন আর কত দিন ইংরেজীতে কাব্য চর্চা করেছিলেন আর বাংলা সাহিত্য চর্চা কবে থেকে শুরু হল? মধুসূদনের রচনাবলী খুঁজে যা পাওয়া যাচ্ছে, ১৮৪১-৪২ সাল থেকে ইংরেজী ভাষায় তাঁর অজস্র কবিতার সম্ভার ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত বহমান ছিল। এরই মধ্যে ভিন্ন ধর্মগ্রহণ, জীবনযাত্রার পালাবদল ইত্যাদিতে কবিতা লেখা সাময়িকভাবে বন্ধ হলেও নিজের কবিকৃতি সম্বন্ধে আত্মবিশ্বাসে তিলমাত্র ভাটা পড়েনি। প্রথম কাব্যগ্রন্থ, প্রকাশিত হয়েছে ১৮৪৯ সালে, সাংবাদিকতা করছেন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। লিখে
আরও পড়ুন5 December, 2024 - 12:00:00 PM
কৃষ্ণা রায় বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষা, লেখিকা, পশ্চিমবঙ্গ। এবছরের ২৫ জানুয়ারি আমরা পেরিয়ে এলাম মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মের দু'শ বছর আর মৃত্যুর সার্ধ শতবর্ষ পেরিয়ে গেছে গত বছরের ২৯ জুন। আজও বাঙালি জনমানসে তিনি রয়ে গেছেন মায়ায়-মমতায় এবং কিছুটা উপেক্ষায়। মাইকেল কোনদিন বাংলা ভাষার কবি হয়ে উঠতে চাননি। আকৈশোর তার স্বপ্ন ছিল সেক্সপিয়র, মিল্টন, বায়রণের মতো ইংরেজ কবি হবেন। সমকালের বাংলা সাহিত্যের প্রতি কোন রকম একাত্মতা বোধ করেননি। ঘনিষ্ঠ বন্ধুবৃত্তে একাধিকবার আলোচনা প্রসঙ্গে বাংলা ভাষা ভুলে গেছি বলে বড়াই করে খুব আত্মপ্রসাদ লাভ করতেন। অথচ বাংলা ভাষা তিনি শিখেছেন শৈশবে মায়ের কাছে, গ্রামের পাঠশালায়
আরও পড়ুন30 November, 2024 - 12:55:00 PM
সামিয়া মহসিন নাট্যকর্মী, আমেরিকা। ব্রিটিশ ভারতবর্ষে মুসলিম ধর্মান্ধ ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন পরিবেশে বেড়ে ওঠার পরও নারী শিক্ষার যুক্তি দেখিয়েছেন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। তিনি আজও নারীদের অনুপ্রেরণার উৎস। তাঁর লেখা আজও নারীদের আন্দোলিত করে। আন্দোলিত হন নতুন প্রাণে, নতুনভাবে বেঁচে থাকার জন্য। নারীদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্যে। বেগম রোকেয়া এমনই এক মহীয়সী নারী যিনি তার যুগে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। নারীদেরকে নিজের দাঁড়াবার জন্য মনোবল তৈরি করতে হবে। তাঁর শাণিত বাক্যবাণ দিয়েই তিনি এই কঠিন ও বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়েছিলেন। বেগম রো
আরও পড়ুন26 November, 2024 - 01:20:00 PM
স্বপন সোম সঙ্গীত শিল্পী এবং সঙ্গীত গবেষক, পশ্চিমবঙ্গ। গত শতকের চারের দশকে কিংবদন্তি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সুচিত্রা মিত্রের ভারতীয় গণনাট্য সংঘের সঙ্গে সংযুক্তি তাঁর জীবন ও গানকে যেন এক অন্য রঙে রাঙিয়ে দিয়ে গেছে। আমরা পেয়ে যাই এক প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর যার আশ্রয় রবীন্দ্রনাথের গান এবং বিভিন্ন রচয়িতার গণচেতনার গান। বস্তুত রবীন্দ্রনাথের গানও যে বহু মানুষকে উদ্দীপিত করতে পারে, জীবন সংগ্রামে সাহস জোগাতে পারে তা গণনাট্য সংঘের সূত্রে দেখিয়ে দিয়েছিলেন সুচিত্রা মিত্র এবং তাঁর সতীর্থরা দেবব্রত বিশ্বাস, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। 'আমার মুক্তি আলোয় আলোয়', 'কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি', 'যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে' বা 'সা
আরও পড়ুন23 November, 2024 - 11:30:00 AM
পীতম সেনগুপ্তবিশিষ্ট রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ, পশ্চিমবঙ্গ। প্রথম পর্বের পর... জানা যায়, 'ভারতী' পত্রিকার ১৩১৮ সনের ফাল্গুন সংখ্যায় রবীন্দ্রনাথের পঞ্চাশ বছর পুর্তি উপলক্ষ্যে 'কবি-সংবর্ধনা' বিষয়ে একটি সচিত্র প্রবন্ধ লিখেছিলেন সরলা দেবী। এই প্রবন্ধে কবির কয়েকটি আলোকচিত্রসহ জ্যোতিরিন্দ্রনাথের আঁকা রবীন্দ্রনাথের পাঁচটি মুখচ্ছবিও মুদ্রিত হয়। পরবর্তীতে জ্যোতিরিন্দ্রর আঁকা রবীন্দ্রনাথের মুখের স্কেচগুলি দেখে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ সম্বন্ধে বিশেষ আগ্রহী হন রদেনস্টাইন এবং লন্ডনে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই প্রসঙ্গে আরও বিস্তারিত জানতে পারেন। রবীন্দ্রনাথ জ্যোতিরিন্দ্রের এই বিশেষ গুণটির প্রশংসা করেন রদেনস্টাইনক
আরও পড়ুন21 November, 2024 - 12:30:00 PM
পীতম সেনগুপ্ত বিশিষ্ট রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ, পশ্চিমবঙ্গ। সৈয়দ মুজতবা আলী একবার আক্ষেপ করে বলেছিলেন, 'আশ্চর্য বোধ হয় যে বাঙালি জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভুলে গিয়েছে!' এও সত্য যে তাঁকে বাঙালি যত না খ্যাতির আসনে বসিয়েছে, ঢের বেশি খ্যাতি-অখ্যাতির শিরোপা জুটেছে তাঁর অকাল প্রয়াত সহধর্মিনী কাদম্বরী দেবীর ভাগ্যে। আর সেই খ্যাতি-অখ্যাতির আড়ালেই ধামাচাপা পড়ে গেছে এই অমিতপ্রতিভাধরের যাবতীয় কীর্তি। বাংলার সামগ্রিক সারস্বতচর্চার অন্যতম মৌলিক রূপকারকে আজ সত্যি সত্যিই হারিয়ে ফেলার কারণ খুঁজতে গিয়ে চোখে পড়ে আত্মবিস্মৃত বাঙালি জাতির সারস্বতচর্চার বিকৃত অভিমুখটি। সরলা দেবীর স্মৃতিকথায় জানা যায়, জোড়াসাঁকোর বাড়িতে গা
আরও পড়ুন