বৈশাখের পয়লা, ফিরিয়ে আনে বাঙালিয়ানা
12 April, 2019 - By Bangla WorldWide
11 April, 2019 - 05:30:00 PM
যতই গরম পড়ুক, পয়লা বৈশাখ উদযাপনে বাঙালির উৎসাহ-উদ্দীপনায় কোনও খামতি নেই। এ দিন সেজেগুজে বাঙালির নববর্ষ-উদযাপন চাই-ই চাই।
আরও পড়ুন11 April, 2019 - 05:05:00 PM
'আমি শ্রী শ্রী ভজহরি মান্না'- মান্না দের গলায় অমর হয়ে যাওয়া এই গানের সঙ্গেই যেন জড়িয়ে রয়েছে বাঙালির অনেক নস্টালজিয়া। ভোজনরসিক বাঙালির রসনাতৃপ্তির জন্য আরও এক 'ভজহরি মান্না' বঙ্গমনে জায়গা করে নিয়েছে। আদ্যন্ত বাঙালি খাবারের এই রেস্তোরাঁর ১১টি শাখা বর্তমানে ছড়িয়ে রয়েছে শহর কলকাতায়। পয়লা বৈশাখ মানেই তো ভুরিভোজে বাঙালি। আর সেই কথা ভেবেই এবারও তাদের পয়লার মেনুতে থাকছে লোভনীয় এবং আকর্ষণীয় বাহারি সব পদ। বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানানোর দিন, পয়লা বৈশাখ ভজহরি মান্না তাদের আহার-ব্যঞ্জনের নাম রেখেছে- প্রথমা থালা। নিরামিষ এবং আমিষ, দুই ক্ষেত্রেই প্রথমে শীতল পরশ। পাত পরার আগে আপনার হাতে উঠবে ঠান্ডা আমপোড়ার শ
আরও পড়ুন11 April, 2019 - 04:20:00 PM
সিলভীয়া পান্ডীত। আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশি কবি-সাহিত্যিক। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলাম্বাস ওহিও-র প্রাক্তন সাংস্কৃতিক সচিব। পয়লা বৈশাখ বাঙালিদের নতুন বছর। এই দিনকে ঘিরে সব বাঙালিদের আনন্দ উৎসব। এক কথায় পয়লা বৈশাখ হল অনেকগুলো রঙের মিশ্রণ আর সব ধর্মের সংমিশ্রণ। এই একটি দিন আমরা সব বাঙালিরা নিজেদের ধর্ম ভুলে একসঙ্গে আনন্দ উৎসব করি। সবাই রঙিন কাপড় পরে নিজেদের সাজিয়ে তুলি। একদিকে যেমন সবাই সাজগোজে ব্যস্ত থাকে অন্যদিকে তেমনি বাহারি খাবারের ছড়াছড়ি থাকে। এই দিনকে বর্ননা করার জন্য গানে গানে বলতে ইচ্ছে করে “আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে, শাখে শাখে পাখি ডাকে, কত শোভা চারিপাশে”। সত্যি সত্যি এই দিনটিতে রং এবং
আরও পড়ুন3 April, 2019 - 07:45:00 AM
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অনেকেরই জানা আছে। আমি শুধু নিজের কথাই বলব, সঙ্গে সামান্য ইতিহাস। ১৯৭১ সালের ১লা মার্চ আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলাম, থাকতাম রোকেয়া হলে। তখন পশ্চিম পাকিস্তানের মেয়েরাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত।
আরও পড়ুন1 April, 2019 - 12:30:00 PM
লেখক কুশল রায় International Business in Secure Print Solutions Pvt. Ltd-এর Vice President তখন আমার বয়স ১০ বছর পেরোয় নি। রেডিওতে পূর্ব পাকিস্তানের "কমার্শিয়াল সার্ভিস" শুনি আমরা অনেকেই আগরতলায় - জাহাজ মার্ক আলকাত্রা , ইস্পাহানি চা , হক ব্যাটারির সেলের বিজ্ঞাপন। যতদূর মনে পরে মার্চ মাসের সকাল। শেখ মুজিবর রহমানের রমনা মাঠের সেই উদাত্ত ভাষণ রেডিওতে হঠাৎ ভেসে এলো....."তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে লড়তে হবে....এ সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম..এ সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ....." তারপরের ঘটনাবলী এই এতগুলো বসন্ত পেরুনোর পরেও আমার মনের কোনে যেন ছবির মতো জুড়ে আছে।বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধ আমাদের শিশুমনের ওপর ব
আরও পড়ুন29 March, 2019 - 05:45:00 PM
লেখাটি ত্রিপুরার প্রয়াত মীরা ঘোষের 'দিনলিপি' থেকে গৃহীত মনে পড়ছে ১৯৭১ সালের কথা। সারা ত্রিপুরা উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছে। প্রতিদিন রেডিওতে কান লাগিয়ে শোনা অত্যন্ত ক্ষীণ ব্রডকাস্টে প্রচারিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ঘোষণা পল্লবিত হয়ে মুখে মুখে ছড়িয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধ আর যুদ্ধ। যেন আমরাই স্বাধীনতার লড়াই লড়ছি। আমাদের সামনের উঠোনে ট্রেঞ্চ, সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ঘুরে ঘুরে যাচ্ছে। একটুও অসাবধান থাকবার জো নেই। আমাদের স্যার কিন্তু পাকিস্তানের পরাজয় সম্বন্ধে নিশ্চিত জেনেও সাইরেন বাজলেই সবার আগে ট্রেঞ্চের ভেতরে ঢুকে যেতেন। সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা তো সেরকমই বলেছে। কিন্তু ভেতরে ঢুকে গেলে তো বাইরের আকাশে ক
আরও পড়ুন29 March, 2019 - 01:35:00 PM
ঢাকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের সাক্ষাতের সম্পূর্ণটা জুড়েই ছিল ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ। বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ সন্ধ্যায়, শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন সুনীল দত্ত ও নার্গিস-পুত্র সঞ্জয়।
আরও পড়ুন26 March, 2019 - 03:35:00 PM
নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ২৬ মার্চ, মঙ্গলবার ঢাকা সহ সর্বত্র উদযাপিত হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। কিন্তু ৪৮ বছর আগের সেই ২৫ মার্চের ভয়াল, ভয়ঙ্কর রাত আজও তাড়া করে ফেরে সেদেশের মানুষকে। যতদিন মানুষ থাকবে, ততদিনই মানবতার ইতিহাসে বাঙালি জাতির সরণি বেয়ে নেমে আসবে ওই নৃশংস, বিভীষিকাময় কালরাত্রি। মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত হত্যাযজ্ঞের দিন। তবে এবার বাঙালি জাতির ইতিহাসে এই ভয়াল দিনটি এসেছে একটু ভিন্ন মাত্রা নিয়ে। দিনটি জাতীয়ভাবে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ২৫ মার্চ হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর নিরীহ বাঙালির উপর বর্বরোচিত গণহত্যার ভয়াবহ স্মৃতিজড়িত ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। একাত্তরের অপ
আরও পড়ুন26 March, 2019 - 11:45:00 AM
লিখেছেন অধ্যাপক ডাঃ এ. এস. এম. মণিরুল আলম বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ আমার ব্যক্তিগত জীবনে এক আশা, হতাশা এবং বেদনার অধ্যায়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ যখন পাকিস্তান বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল, তখন আমরা ছিলাম খুলনা শহরের নিউস প্রিন্ট মিল্স অফিসার্স কলোনিতে। আমার বয়স তখন ছয়। বাবা,মা,বোন আর আমি থাকতাম ভৈরব নদের পাড়ে অনিন্দসুন্দর এক কোয়ার্টারে। বঙ্গবন্ধুর আবেদনে সাড়া দিয়ে আমার বাবা অন্যান্য অফিসারদের মতো নিজের বন্দুক নিয়ে টহলে বেরিয়ে পড়েন। ২৭ মার্চ। সকাল থেকে চলছিল গুলির লড়াই। আমাদের কলোনির ভিতর থেকে নির্মীয়মান ভবন থেকে আক্রমণরত পাক বাহিনীকে প্রতিহত করছিলেন বাবা এবং সহযোদ্ধারা। সেই সময় তাদে
আরও পড়ুন26 March, 2019 - 09:35:00 AM
আজ এক অনন্য দিন। আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। ৪৮ বছর আগে এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেশকে দখলদারমুক্ত করতে সংগ্রামে নামার আহ্বান জানান। ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের স্বাধীন অস্তিত্ব ঘোষণা করেছিলেন বীর বঙ্গসন্তান। ৪৮ বছর আগে ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালিকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে রাজধানী ঢাকা-সহ সারা দেশে অপারেশন সার্চ লাইট নামে নৃশংস সামরিক অভিযানে গণহত্যা সংগঠিত করে। অভিযানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। তবে গ্রেফতারের আগে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের
আরও পড়ুন