একাত্তরের সেইসব দিন-প্রথম পর্ব
21 December, 2020 - By Bangla WorldWide
19 December, 2020 - 02:17:00 PM
আজ মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে যৌথ বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে নতজানু হয়ে ৯৩ হাজার যুদ্ধ বন্দি নিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজী। বিশ্বের ইতিহাসে এই প্রথম কোন দেশের সেনাবাহিনী লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় আত্মসমর্পণের ঘটনা ছিল এটি। পাকিস্তানকে এমন শিক্ষা অতীতে এবং আজ পর্যন্ত কেউ দিতে পারেনি। এতো বড় পরাজয়ের পরেও পাকিস্তানের স্বভাব বদলায় নি। আজকের দিনেই পৃথিবীর মানচিত্রে একটি নতুন স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটেছিল। বাঙ্গালীর জন্য সৃষ্টি হলো স্বাধীন আবাসভূমি। আর সেই নতুন রাষ্ট্রের জন্মের ক্ষেত্রে ধাত্রীর ভূমিকা পালন করেছিলেন ভারতের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। আজ মহান বিজয় দিবসের ঊনপঞ্চাশ বছর পূর্ণ হলো, পালিত হলো পঞ্চাশ তম বিজয় দিবস। আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল।
আরও পড়ুন18 December, 2020 - 01:05:00 AM
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় উদয়পুরে যেসব আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এসেছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই ছিলেন নোয়াখালী জেলার। আমার জানা মতে আব্দুল্লাহ আল হারুন চৌধুরী ও ক্যাপ্টেন সুজাত আলী ছাড়া অন্যরা সবাই ছিলেন নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালনার জন্য গঠিত হয়েছিল "বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা সংগ্রাম কমিটি"। কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন আবদুল মালেক উকিল এবং সচিব ছিলেন নরুল হক। সদস্যদের মধ্যে ছিলেন আজিজুল হক, শহিউদ্দিন ইস্কান্দার কচি, আবদুর রশিদ, অধ্যাপক মোহাম্মদ হানিফ,সাখাৎউল্লাহ,হাজী ইদ্রিস,আবু সাঈদ ও খাজা আহমেদ।
আরও পড়ুন17 December, 2020 - 01:05:00 PM
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ১৪ ডিসেম্বর একটি কালো দিন। এদিন পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং তাদের দোসর রাজাকার আলবদর বাহিনী মিলে ঢাকায় বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। পাকবাহিনী পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাঙ্গালীর মেধা ও মননের উপর আক্রমণ হানে। বুদ্ধিজীবী, প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই পাকিস্তান বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়েছেন। কিন্তু চৌদ্দ ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী নিধনের ঘটনাটি ছিল পূর্ব পরিকল্পিত গণহত্যা। বিশ্বের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়। বাংলাদেশের মানুষ আজও দিনটিকে স্মরণ করেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন16 December, 2020 - 12:30:00 PM
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনের ক্ষেত্রে আগরতলার শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীরা অনন্য অবদান রেখেছিলেন। ৩০শে মার্চ,১৯৭১ সুধী সমাজের আহ্বানে আগরতলায় বাংলাদেশের মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে একটি বিরাট মিছিল হয়। এপ্রিল মাসে উদয়পুরেও ছাত্রদের একটি মিছিল সংগঠিত হয়েছিল। এই মিছিলে ছাত্র পরিষদ, ছাত্র ফেডারেশন সহ সব অংশের ছাত্রছাত্রীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল।
আরও পড়ুন16 December, 2020 - 05:14:00 AM
আজ ১৬ ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবস। বাংলাদেশের বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষের শুভ সূচনা। বাঙালি জাতির শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় কীর্তি ও সাফল্যের ইতিহাস রচিত হয় ১৯৭১ সালের এই দিনে। পৃথিবীর মানচিত্রে "বাংলাদেশ" নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের আত্মপ্রকাশের দিন এটি।
আরও পড়ুন15 December, 2020 - 02:05:00 PM
পঁচিশে মার্চের পর আওয়ামী লীগের নেতারা গ্রেফতার এড়াতে এবং ভারতের সাহায্য লাভের বিষয়ে আলাপ আলোচনা করতে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে আসেন। বহু শীর্ষ নেতা ত্রিপুরায় এসে আশ্রয় নেন। এম,আর, সিদ্দিকী, সিরাজুল হক ও আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরী আগরতলায় পৌঁছে সাক্ষাৎ করেন তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্র লাল সিংহের সঙ্গে। শচীন বাবু তাঁদের নিয়ে দিল্লীতে গিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী সেই সময়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ড: ত্রিগুণা সেনকে আগরতলায় পাঠান। ত্রিগুণা সেন তখন ত্রিপুরা থেকে রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুন15 December, 2020 - 11:45:00 AM
"বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইড" অন্তর্জালের মাধ্যমে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করতে চলেছে আগামী ১৮ই ডিসেম্বর, শুক্রবার,২০২০, ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬ টায়। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে স্বীকৃত ভারতবর্ষে সত্যিই কী চিন্তা, মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা সুরক্ষিত?
আরও পড়ুন14 December, 2020 - 06:55:00 PM
"বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইড" অন্তর্জালের মাধ্যমে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করতে চলেছে আগামী ১৮ ই ডিসেম্বর, শুক্রবার,২০২০, ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬ টায়। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে স্বীকৃত ভারতবর্ষে সত্যিই কী চিন্তা, মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা সুরক্ষিত? এই বিষয়ে আলোচনা করবেন সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।
আরও পড়ুন14 December, 2020 - 05:35:00 PM
বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির সংগ্রাম একদিনে শুরু হয় নি। দীর্ঘ তেইশ চব্বিশ বছরের অত্যাচার, শোষণ ও বঞ্চনার ফলেই বাংলাদেশের অভ্যুদয়। ১৯৪৭ সালে মহম্মদ আলি জিন্নাহ দ্বিজাতিতত্ত্বের সুরসুরি দিয়ে, সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটেনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুসলমান সম্প্রদায়ের জন্য পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছিলেন। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙ্গালী এবং পাঞ্জাবীরা সবচাইতে বেশি অবদান রাখলেও স্বাধীনতা লাভ ও দেশ ভাগের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হলো এই দুই জাতি। চৌদ্দ পুরুষের ভিটেমাটি ছেড়ে চলে আসতে হলো কোটি কোটি মানুষকে। বাঙ্গালী মুসলমানদের মনে আশা জেগেছিল, মুসলিম প্রধান পাকিস্তানে তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করবেন। কিন্তু শুরু থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকরা বাঙ্গালী মুসলমানদের উপর অত্যাচার শুরু করলেন। পাকিস্তানের জনসংখ্যা অনুপাতে বাঙ্গালীরা সংখ্যা গরিষ্ঠ হয়েও রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে তাদের কোন ভূমিকা রইল না।
আরও পড়ুন12 December, 2020 - 02:37:00 PM
মিত্র বাহিনীর ঢাকা অভিযান তীব্র হয়েছে। ভারতীয় সেনাপতির পাকিস্তানী সৈন্যদের আত্মসমর্পণ করার বার্তাটি আকাশবাণী থেকে উর্দু, হিন্দি, ইংরেজি ও বাংলায় কিছুক্ষণ পর পর প্রচার করা হচ্ছে। সেনাপতি মানেকশ অকারণ রক্তপাত বন্ধ করতে বিনা যুদ্ধে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিলেন পাক হানাদার বাহিনীকে। তিনি আস্বাস দিলেন যুদ্ধ বন্দিদের প্রতি "জেনেভা কনভেনশন" অনুসারে বিশেষ ব্যবস্থা অবলম্বন করা হবে। আহত যুদ্ধবন্দীদের উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে। মৃতদের যথোচিত সমাধি দেওয়া হবে। ঐ বার্তায় জেনারেল মানেকশ বলেন, পাকিস্তানের সেনারা যদি মা, বাবা,ভাই, বোন ও সন্তানদের ফিরে পেতে চান, তাহলে আত্মসমর্পণ করুন। মিত্র বাহিনী আপনাদের ঘিরে ফেলেছে, পালাবার পথ নেই। আত্মসমর্পণের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলো ১৬ ই ডিসেম্বর সকাল ৯ টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন