বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও তথ্যচিত্রের প্রকাশ
12 January, 2021 - By Bangla WorldWide
12 January, 2021 - 12:25:00 PM
নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ে যখন ভর্তি হতে গেলাম তখন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের অনেকেই দুঃখ পেয়েছিলেন। হায়রে ছেলেটাকে এবার বুঝি নিরামিষ খেয়েই কাটাতে হবে! কিন্তু নরেন্দ্রপুরের হস্টেলে গিয়ে দেখলাম মাছ তো বটেই, ডিম আর মাংসও চলে সেখানে। দুবেলাই আমিষ। সে যুগে (১৯৬৯ সাল) মুরগীর মাংস জুটত কালেভদ্রে। তখন মাংস মানেই পাঁঠা বা খাসি। সপ্তাহে একদিন মাত্র নিরামিষ। রবিবার। সেদিন বিকেলে গার্জেন আসবেন, সঙ্গে খাবারটাবার আনবেন, তাই পেটকে খানিকটা বিশ্রাম দেওয়া।
আরও পড়ুন5 January, 2021 - 12:38:00 PM
ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণের ভবিষ্যৎবাণী ফের সত্যি হল। তাঁর সহধর্মিনীকে ঠাকুর একবার বলেছিলেন, 'পরে দেখবে, এত ছেলে তোমায় মা বলে ডাকবে, তোমার সামলানো ভার হয়ে উঠবে' (সূত্র: তদেব, পৃষ্ঠা-১০০)। সিস্টার নিবেদিতা এই ভবিষ্যৎবাণী মিলে যাওয়ার প্রত্যক্ষদর্শী। ১৯০৯ সালে বিশেষ করে আলিপুর বোমা মামলার রায় প্রকাশের পরে বাগবাজারে মায়ের বাড়িতে যেন বিপ্লবীদের ঢল নামল। সবাই মা-য়ের আশীর্বাদ চান। এ সময় নিবেদিতা একদিন মা কে বললেন, 'মা ঠাকুর বলেছিলেন, কালে আপনি বহু সন্তান লাভ করবেন। মনে হয় তার সময় অতি নিকট। সমগ্র ভারতবর্ষই আপনার সন্তান।'
আরও পড়ুন4 January, 2021 - 04:55:00 PM
৪৯ তম বিজয় দিবসের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লক্ষ শহিদ, তিন লক্ষ নির্জাতিত মা বোনের প্রতি রইলো সালাম ও শ্রদ্ধা।
আরও পড়ুন4 January, 2021 - 02:23:00 PM
যথারীতি 2020 এসেছিল আনন্দে- উদ্দীপনায়- উন্মাদনায়- নতুন আশায়। কিন্তু দু-এক মাস যেতে না যেতেই ছন্দপতন। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ল এক মারণ ভাইরাস। কোভিডের আক্রমণে চেনা জীবন গেল হারিয়ে। ভয়ে আতঙ্কে মানুষ দিশেহারা। শুরু হয়ে গেল লকডাউন। সকলেই গৃহবন্দী। মাস্ক, সানিটাইজার আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গী হল। মানুষে মানুষে দেখা- সাক্ষাৎ বন্ধ -- সোশ্যাল distancing ।
আরও পড়ুন2 January, 2021 - 02:36:00 AM
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ আমার ব্যক্তিগত জীবনে এক আশা, হতাশা এবং বেদনার অধ্যায়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ যখন পাকিস্তান বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল, তখন আমরা ছিলাম খুলনা শহরের নিউস প্রিন্ট মিল্স অফিসার্স কলোনিতে। আমার বয়স তখন ছয়। বাবা,মা,বোন আর আমি থাকতাম ভৈরব নদের পাড়ে অনিন্দসুন্দর এক কোয়ার্টারে। বঙ্গবন্ধুর আবেদনে সাড়া দিয়ে আমার বাবা অন্যান্য অফিসারদের মতো নিজের বন্দুক নিয়ে টহলে বেরিয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন31 December, 2020 - 07:55:00 AM
উলটপুরান বিশ সালটা গেলে পরে বাঁচি! আপনি ১০০ জনের মতামত নিন দেখবেন ১০০ জনই ২০২০-র চাওয়া পাওয়ার হিসেব করে ঠিক এই কথাটাই বলবেন। আর বলবেন নাই বা কেন। স্কুল- কলেজ বন্ধ। অনলাইনে ক্লাস করতে করতে কচিকাঁচাদের হাঁফ ধরে গিয়েছে। যারা সব সময়ে স্কুল পলানোর কথা ভাবত, তারাও স্কুল যাওয়ার জন্য পাগল। 'খবরদার! বাচ্চাদের হাতে মোবাইল দিয়ে ওদের বারোটা বাজাবেন না', যে মনোবিদ এমন পরামর্শ দিয়ে বাচ্চাদের যথেষ্ট বিরাগভাজন হয়েছেন তাঁর টিঁকি পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। কারণ, ওই মোবাইল এখন বাধ্যতামূলক ভাবে শিশুদের সঙ্গী। বাবার ল্যাটপ ছিল ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সেই ল্যাপটপ এখন ছেলে কিংবা মেয়ের জিম্মায় রেখে বাবাকে অফিসে যেতে হচ্ছে। না হলে ক্লাস করা যাবে না যে!
আরও পড়ুন30 December, 2020 - 04:00:00 AM
মনে পড়ছে ১৯৭১ সালের কথা। সারা ত্রিপুরা উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছে। প্রতিদিন রেডিওতে কান লাগিয়ে শোনা অত্যন্ত ক্ষীণ ব্রডকাস্টে প্রচারিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ঘোষণা পল্লবিত হয়ে মুখে মুখে ছড়িয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধ আর যুদ্ধ। যেন আমরাই স্বাধীনতার লড়াই লড়ছি। আমাদের সামনের উঠোনে ট্রেঞ্চ, সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ঘুরে ঘুরে যাচ্ছে। একটুও অসাবধান থাকবার জো নেই।
আরও পড়ুন26 December, 2020 - 03:07:00 PM
সেটি ছিল ১৯৭১ সালের মার্চ মাস। প্রকৃতিতে উদাস বসন্তের ছোঁয়া। কিন্তু ভারতের উত্তরপূর্ব প্রান্তে, তিন দিকে পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্তের মাঝে, পাহাড় এবং বনভূমি দিয়ে ঘেরা শ্যামল, শোভন ত্রিপুরা রাজ্যে সেবারের বাতাসে ফুল নয়, ছিল বারুদের গন্ধ।
আরও পড়ুন25 December, 2020 - 02:42:00 PM
সংঘর্ষের পর সংঘর্ষ। জীবন উথাল-পাথাল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ যেমন দেখলাম, তেমনই আমার নিজের জীবনের মুক্তিযুদ্ধও লড়লাম। দেশের মুক্তিযোদ্ধারা কতটা বীর তা যেমন দেখলাম, তেমনই আমার শান্ত মা জীবনযুদ্ধে কত বড় বীরাঙ্গনা তাও দেখলাম। সবশেষে জীবনের এতগুলো বছর পেরিয়ে এখন আমি জানি, একজন নারী চাইলে সব পারে। সে যা পারে তা পুরুষরা চাইলেও পারবে না। পৃথিবীতে নারীই শ্রেষ্ঠ।
আরও পড়ুন24 December, 2020 - 02:22:00 PM
নদীপথের যাত্রা যতটা ঘটনাবহুল ছিল,হাঁটা পথ ততটা ঘটনাবহুল না হলেও দু একটি ঘটনায় আমাদের জীবন সংশয় হয়েছিল। শৈশবের ঘটনা স্মৃতিতে এখনও যতটা উজ্জ্বল,নিকট অতীতের স্মৃতি ততটাই ধূসর। তেমনি জলপথের তুলনায় পায়ে হাঁটার স্মৃতি অনকটাই ধূসর হয়ে গেছে। হাঁটা পথের শুরু থেকে ভারতীয় সীমান্ত পর্যন্ত কত কিলোমিটার জানি না। মাঝে মাঝে মনে হোত এই পথ যদি না শেষ হয়!মাইলের পর মাইল হাঁটার পর কোথাও থামতেই হোত কিছু খাওয়ার জন্য। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাঁটার পর সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়তাম। কারো কুঁড়েঘরে রাত কাটিয়ে পরদিন আবার পথচলা শুরু হোত। কুঁড়ে ঘরের মালিকরা আমাদের রুটি আর আঁখের গুড় খেতে দিতেন।
আরও পড়ুন