১৬ ডিসেম্বর-নূতন সূর্যোদয়
4 January, 2021 - By Bangla WorldWide
4 January, 2021 - 02:23:00 PM
যথারীতি 2020 এসেছিল আনন্দে- উদ্দীপনায়- উন্মাদনায়- নতুন আশায়। কিন্তু দু-এক মাস যেতে না যেতেই ছন্দপতন। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ল এক মারণ ভাইরাস। কোভিডের আক্রমণে চেনা জীবন গেল হারিয়ে। ভয়ে আতঙ্কে মানুষ দিশেহারা। শুরু হয়ে গেল লকডাউন। সকলেই গৃহবন্দী। মাস্ক, সানিটাইজার আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গী হল। মানুষে মানুষে দেখা- সাক্ষাৎ বন্ধ -- সোশ্যাল distancing ।
আরও পড়ুন2 January, 2021 - 02:36:00 AM
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ আমার ব্যক্তিগত জীবনে এক আশা, হতাশা এবং বেদনার অধ্যায়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ যখন পাকিস্তান বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল, তখন আমরা ছিলাম খুলনা শহরের নিউস প্রিন্ট মিল্স অফিসার্স কলোনিতে। আমার বয়স তখন ছয়। বাবা,মা,বোন আর আমি থাকতাম ভৈরব নদের পাড়ে অনিন্দসুন্দর এক কোয়ার্টারে। বঙ্গবন্ধুর আবেদনে সাড়া দিয়ে আমার বাবা অন্যান্য অফিসারদের মতো নিজের বন্দুক নিয়ে টহলে বেরিয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন31 December, 2020 - 07:55:00 AM
উলটপুরান বিশ সালটা গেলে পরে বাঁচি! আপনি ১০০ জনের মতামত নিন দেখবেন ১০০ জনই ২০২০-র চাওয়া পাওয়ার হিসেব করে ঠিক এই কথাটাই বলবেন। আর বলবেন নাই বা কেন। স্কুল- কলেজ বন্ধ। অনলাইনে ক্লাস করতে করতে কচিকাঁচাদের হাঁফ ধরে গিয়েছে। যারা সব সময়ে স্কুল পলানোর কথা ভাবত, তারাও স্কুল যাওয়ার জন্য পাগল। 'খবরদার! বাচ্চাদের হাতে মোবাইল দিয়ে ওদের বারোটা বাজাবেন না', যে মনোবিদ এমন পরামর্শ দিয়ে বাচ্চাদের যথেষ্ট বিরাগভাজন হয়েছেন তাঁর টিঁকি পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। কারণ, ওই মোবাইল এখন বাধ্যতামূলক ভাবে শিশুদের সঙ্গী। বাবার ল্যাটপ ছিল ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সেই ল্যাপটপ এখন ছেলে কিংবা মেয়ের জিম্মায় রেখে বাবাকে অফিসে যেতে হচ্ছে। না হলে ক্লাস করা যাবে না যে!
আরও পড়ুন30 December, 2020 - 04:00:00 AM
মনে পড়ছে ১৯৭১ সালের কথা। সারা ত্রিপুরা উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছে। প্রতিদিন রেডিওতে কান লাগিয়ে শোনা অত্যন্ত ক্ষীণ ব্রডকাস্টে প্রচারিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ঘোষণা পল্লবিত হয়ে মুখে মুখে ছড়িয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধ আর যুদ্ধ। যেন আমরাই স্বাধীনতার লড়াই লড়ছি। আমাদের সামনের উঠোনে ট্রেঞ্চ, সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ঘুরে ঘুরে যাচ্ছে। একটুও অসাবধান থাকবার জো নেই।
আরও পড়ুন26 December, 2020 - 03:07:00 PM
সেটি ছিল ১৯৭১ সালের মার্চ মাস। প্রকৃতিতে উদাস বসন্তের ছোঁয়া। কিন্তু ভারতের উত্তরপূর্ব প্রান্তে, তিন দিকে পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্তের মাঝে, পাহাড় এবং বনভূমি দিয়ে ঘেরা শ্যামল, শোভন ত্রিপুরা রাজ্যে সেবারের বাতাসে ফুল নয়, ছিল বারুদের গন্ধ।
আরও পড়ুন25 December, 2020 - 02:42:00 PM
সংঘর্ষের পর সংঘর্ষ। জীবন উথাল-পাথাল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ যেমন দেখলাম, তেমনই আমার নিজের জীবনের মুক্তিযুদ্ধও লড়লাম। দেশের মুক্তিযোদ্ধারা কতটা বীর তা যেমন দেখলাম, তেমনই আমার শান্ত মা জীবনযুদ্ধে কত বড় বীরাঙ্গনা তাও দেখলাম। সবশেষে জীবনের এতগুলো বছর পেরিয়ে এখন আমি জানি, একজন নারী চাইলে সব পারে। সে যা পারে তা পুরুষরা চাইলেও পারবে না। পৃথিবীতে নারীই শ্রেষ্ঠ।
আরও পড়ুন24 December, 2020 - 02:22:00 PM
নদীপথের যাত্রা যতটা ঘটনাবহুল ছিল,হাঁটা পথ ততটা ঘটনাবহুল না হলেও দু একটি ঘটনায় আমাদের জীবন সংশয় হয়েছিল। শৈশবের ঘটনা স্মৃতিতে এখনও যতটা উজ্জ্বল,নিকট অতীতের স্মৃতি ততটাই ধূসর। তেমনি জলপথের তুলনায় পায়ে হাঁটার স্মৃতি অনকটাই ধূসর হয়ে গেছে। হাঁটা পথের শুরু থেকে ভারতীয় সীমান্ত পর্যন্ত কত কিলোমিটার জানি না। মাঝে মাঝে মনে হোত এই পথ যদি না শেষ হয়!মাইলের পর মাইল হাঁটার পর কোথাও থামতেই হোত কিছু খাওয়ার জন্য। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাঁটার পর সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়তাম। কারো কুঁড়েঘরে রাত কাটিয়ে পরদিন আবার পথচলা শুরু হোত। কুঁড়ে ঘরের মালিকরা আমাদের রুটি আর আঁখের গুড় খেতে দিতেন।
আরও পড়ুন23 December, 2020 - 05:33:00 PM
সিদ্ধার্থ দেব, কুয়েত অয়েল কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত পেট্রোলিয়াম বিশেষজ্ঞ। মোবাইল ফোন, -এইটুকু একটা যন্ত্র! তার কি ক্ষমতা আর জনপ্রিয়তা। সকলের হাতে হাতে ঘুরছে; সে যেই হোক, পরম বিত্তশালী শিল্পপতি বা নিম্ন মধ্যবিত্ত কর্মচারী। অথচ এককালে ফোনের কি আকাল ছিল আমরা দেখেছি। ফোনের জন্য আবেদন করে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হত। তারপর একদিন দেবদূতের মত উদয় হতেন সরকারি ফোন কোম্পানির এক কর্মচারী। সগর্বে খবর দিতেন, -কাল আপনাদের বাড়িতে ফোন আসবে। উৎসবের বন্যা বয়ে যেত সারা বাড়ি। কর্মচারীটি “খুশি হয়ে দেওয়া চা-জলখাবারের সামান্য খরচ” পকেটস্থ করে চলে যেতেন, ফিরতেন পরের দিন সিনেমার হিরোর মত মেজাজে, সেই দুস্প্র
আরও পড়ুন23 December, 2020 - 02:50:00 AM
প্রায় আড়াই মাস তখনকার পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে আমরা এতদিন অস্তিত্ত্ব রক্ষা করতে পেরেছিলাম।এটা ছিল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আমাদের ব্যক্তিগত একটা অসম লড়াই। নৌকো ভাড়ার টাকা আমাদের ছিল না। বাবা কুদ্দুসকে শহরে পাঠালেন পোষ্ট অফিস থেকে টাকা তুলতে। সেখানে বাবার কিছু জমানো টাকা ছিল। একজন হিন্দুর সই থাকা সত্বেও কী করে টাকাটা পাওয়া গেল সেটাও একটা বিস্ময়। মাঝারি ধরনের একটি নৌকা ভাড়া করা হল। সব মিলিয়ে দশ জন নৌকা করে যাবো। কুদ্দুসও আমাদের সংগে গিয়েছিল,তবে ভারত সীমান্তে নয়,যেখানে নদী শেষ হয়ে হাঁটাপথ শুরু হয়েছে সেখানে ওর যাত্রাও শেষ। নৌকায় আমরা পাঁচ দিন পাঁচ রাত ছিলাম। কত নদী, কত গ্রাম,কত ভাসমান দ্বীপ পেরিয়ে নৌকা এগিয়ে চলছিল-আজ আর মনে নেই। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করবার মত মানসিক অবস্হা ছিল না। তবু মাঝে মাঝে সন্ধ্যেবেলায় মধুমতী নদী পেরুতে পেরুতে সন্ধ্যপ্রদীপ জ্বলতে দেখেছি,দুপুরে শঙ্খধ্বনিও শুনেছি। এখন কেমন আছো মধুমতী!
আরও পড়ুন22 December, 2020 - 04:11:00 PM
চরমগুরিয়া বন্দরটি কুমার নদীর তীরে অবস্হিত। নামটা যে এত মিষ্টি সেটা ভাবার মতো মানসিক অবস্হা ছিল না। ভোরবেলা আমরা নৌকো চেপে সেই দুর্গম গ্রামের দিকে যাত্রা শুরু করলাম। কুমার নদী দিয়ে নৌকো চলল ঘন্টাখানেক। তারপর বাঁদিকে ঢুকল বেশ বড় একটা খালে।
আরও পড়ুন