বাংলাদেশের নাটকে শোকাবহ আগস্ট
3 December, 2020 - By Bangla WorldWide
1 December, 2020 - 04:07:00 PM
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদোৎসব। আসলে মানুষের মিলন উৎসব। আর পুজো মানেই সুনীল আকাশে সাদা মেঘ, শিউলি ফুল, মহালয়ার ভোরে রেডিওতে মহিষাসুরমর্দিনী। এই পুজোর সঙ্গেই অঙ্গাঙ্গী জড়িয়ে আছে পুজোর নতুন গান। এখন পুজোর গানের সে আকর্ষণ আর নেই।
আরও পড়ুন24 November, 2020 - 04:48:00 PM
ঘুমাতে যাওয়ার আগে, জানালার পর্দা টেনে দিয়ে ঘরটাকে অন্ধকার করতে গিয়ে আমার চোখ পড়লো কোটিকোটি, লক্ষলক্ষ জবা-কুসুমের মতো লাল সূর্যটার ওপর।
আরও পড়ুন23 November, 2020 - 03:35:00 PM
মেঘ সরে গিয়ে মাথার ওপরে যেই নীল রঙের আকাশ ফুটে উঠলো ঠিক তখন থেকেই শিউলি গাছ ভোরবেলা অকৃপণ ভাবে সবুজ ঘাসের ওপরে সাদা কমলা রঙের ফুল ছড়াতে শুরু করতো। আমাদের কাজ ছিল সেসব কুড়িয়ে মালা গাঁথা। সব সুখ যেন আমাদেরই ছিল। আর কি চাই বর্ষা পেরিয়ে প্রকৃতি তে শরৎকাল দেখা দিল। একটু একটু যেন হিম হিম ভাবও বোধ হত। আমাদের তখন বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের ছোট্ট জেলা শহর বগুড়াতে বসবাস। সামনেই পূজো স্কুলও ছুটি হবে বেশ কয়েকদিনের জন্যে। প্রতিমা গড়াও শুরু হয়ে যেত। জ্বলেশ্বরী তলায় কালীবাড়ি মোড়ের উলটোদিকে দুর্গা প্রতিমা গড়া হত। স্কুল শেষে তাই সেখানে একটু ঢুঁ না মারলেই নয়।
আরও পড়ুন19 November, 2020 - 03:21:00 PM
জীবনের মূল্যবোধ বোঝার আগে আসছে, জীবন-অস্তিত্ব বা বেঁচে থাকা। জীবনের প্রথম চাহিদা, প্রথম ও আদি তাগিদ হলো, "জীবিকা"। স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে, যে কোনও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রাথমিক অধিকার বা Fundamental right হলো, নিজের খাওয়া-পরার সংস্থান নিজে করা। এর পরই আসবে self-esteem বা স্বাভিমান। ব্যক্তি -স্বাধীনতা ও স্বাভিমান বা আত্মমর্যাদা, এই দুটি শক্ত শিকড়ের বুনিয়াদে গড়ে ওঠে জীবনের মূল্যবোধ এবং সারা জীবন আমরা প্রতি পদে পদে জীবনের মূল্যবোধ উপলব্ধি করতে থাকি। জীবনের চাহিদা ভিন্ন ভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন।
আরও পড়ুন18 November, 2020 - 12:23:00 PM
কলকাতা থেকে ফিরছি। ম্যাঞ্চেস্টার এয়ারপোর্ট থেকেই ট্রেন ছাড়ে এবং আমাদের স্কানথর্প -এ পৌঁছে দেয় সওয়া দু'ঘন্টায়... একশো কুড়ি মাইল মতো দূরত্ব। টান্সপেনাইন এক্সপ্রেস। দু-পাশে পাহাড়, কখনও টানেল-এর মধ্যে দিয়ে আসে। অপূর্ব দৃশ্য দুদিকে। উড়ানের ক্লান্তি থাকায় আমরা ঘুমিয়ে পড়ি।
আরও পড়ুন17 November, 2020 - 05:32:00 AM
রেলগাড়ি নিয়ে আমার চিরকালীন দুর্বলতা। একেবারে ছোট থেকে আমাদের রেলগাড়ি, ট্রেনজার্নি ইত্যাদির সঙ্গে সম্পর্ক। আমাদের বড় জেঠা, অর্থাৎ বাবার বড়দা (মন্মথনাথ বসু) রেল -এর বেশ ভাল পোস্ট -এ কাজ করতেন। সেই-সূত্রে আমরা ছোটবেলায় বড় জেঠার ছেলেপুলে পরিচয়েই রেল-এর পাশ-এ পুরী-বেনারস- দিল্লি ঘুরে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। এমনকী ওভাবে রেল-এ চড়া যে আইনবিরুদ্ধ, আমাদের সেসব জ্ঞানও ছিল না এবং তখনকার দিনে পাশ-পিটিও নিয়ে ট্রেনজার্নি করাটা বেশ এলেবেলে ব্যাপারই ছিল। বিশেষ চেক্- টেক হতো না।
আরও পড়ুন13 November, 2020 - 06:50:00 PM
ছোটবেলার ঈদ এবং পুজার আনন্দ আমার স্মৃতির সঞ্চয়। জীবনের সত্তর বছরের অধিক সময়ে কত স্মৃতি হারিয়ে গেছে, কিন্তু হারায়নি উৎসবের আনন্দের স্মৃতি। এখনও তীব্র আলোয় জেগে ওঠে সেই স্মৃতির অনির্বান শিখা।
আরও পড়ুন12 November, 2020 - 01:00:34 PM
সারা বছরে আগে যা নেমতন্ন পেতাম সেগুলোতে যাওয়ার তেমন তাগিদ কখনও অনুভব করিনি। যে চাকরি করতাম তাতে সামাজিক অনুষ্ঠানে যাওয়ার সুযোগ খুব একটা পেতাম না। আত্মীয় বন্ধুদের কেউ বলত উন্নাসিক, কেউ বলত দাম্ভিক। আমার স্ত্রীকে অনেকে বলত, 'তোর হাজব্যান্ড কিন্তু বড়ই অসামাজিক।' ওসব গায়ে মাখতাম না। তবে কয়েকটা অনুষ্ঠানে যেতেই হত। তা ছিল অনেকটাই বুড়ি ছোঁয়ার মতো। অফিস থেকে ফেরার পথে রাত সাড়ে দশটা, এগারটা নাগাদ বউ, বাচ্চাকে নিতে যেতাম। খাওয়াটা নম নম করেই সারতাম। জমিয়ে খাওয়া বলতে যা বোঝায় তা হত না।
আরও পড়ুন11 November, 2020 - 02:35:00 AM
এ বিষয়ে আর-এক গবেষক ‘শিশুমেলা সম্পাদক অরুণ চট্টোপাধ্যায় তাঁর একটি লেখায় দেখিয়েছেন, ১৯০১ সালে এ দেশে (কলকাতায়) গ্রামোফোন কম্পানি রেকর্ড উৎপাদন শুরু করার একেবারে প্রথম যুগ থেকেই তারা পুজোর গান প্রকাশ করতে শুরু করে। গবেষক স্বপন সোমের বইয়ে দেখি মার্চ, মে, আগস্ট, ডিসেম্বর-এ রকম অনেক মাসেই গ্রামোফোন কম্পানি রেকর্ড প্রকাশ করত, কিন্তু পুজোর রেকর্ড বার করত পুজোর আগে আগে।
আরও পড়ুন10 November, 2020 - 03:07:00 PM
পুজোর গান নয়, ‘সাত নম্বর বাড়ী’ নামে একটি বাংলা সিনেমা হয়েছিল আমাদের বালককালে, মূলত গানের ছবি, গানে সুর দিয়েছিকেন পরে বাংলার এক শ্রেষ্ঠ সুরকার রবীন চট্টোপাধ্যায়। তাতেই হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের একটি গান ছিল, ‘ফেলে আসা দিনগুলি মোর, মনে পড়ে গো আজি, মনে পড়ে গো।’ যখন এবার ‘পুজোর গান’ নিয়ে লিখতে বসেছি, তখন যেন অনেক বিস্মৃতির তলায় সুড়ঙ্গ কেটে এই গানটা হঠাৎ আমার সামনে খাড়া হয়ে দাঁড়াল, বলল, সেই মান্ধাতার আমলের কথা যদি লেখ, তা হলে আমাদের কি এড়িয়ে যেতে পারবে ? আমি একটু বিরক্ত হয়ে পললাম, ‘আ রে, তোমাদের এ কী অনুচিত আবদার!
আরও পড়ুন