অথ রেল-কথা-দ্বিতীয় পর্ব
18 November, 2020 - By Bangla WorldWide
17 November, 2020 - 05:32:00 AM
রেলগাড়ি নিয়ে আমার চিরকালীন দুর্বলতা। একেবারে ছোট থেকে আমাদের রেলগাড়ি, ট্রেনজার্নি ইত্যাদির সঙ্গে সম্পর্ক। আমাদের বড় জেঠা, অর্থাৎ বাবার বড়দা (মন্মথনাথ বসু) রেল -এর বেশ ভাল পোস্ট -এ কাজ করতেন। সেই-সূত্রে আমরা ছোটবেলায় বড় জেঠার ছেলেপুলে পরিচয়েই রেল-এর পাশ-এ পুরী-বেনারস- দিল্লি ঘুরে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। এমনকী ওভাবে রেল-এ চড়া যে আইনবিরুদ্ধ, আমাদের সেসব জ্ঞানও ছিল না এবং তখনকার দিনে পাশ-পিটিও নিয়ে ট্রেনজার্নি করাটা বেশ এলেবেলে ব্যাপারই ছিল। বিশেষ চেক্- টেক হতো না।
আরও পড়ুন13 November, 2020 - 06:50:00 PM
ছোটবেলার ঈদ এবং পুজার আনন্দ আমার স্মৃতির সঞ্চয়। জীবনের সত্তর বছরের অধিক সময়ে কত স্মৃতি হারিয়ে গেছে, কিন্তু হারায়নি উৎসবের আনন্দের স্মৃতি। এখনও তীব্র আলোয় জেগে ওঠে সেই স্মৃতির অনির্বান শিখা।
আরও পড়ুন12 November, 2020 - 01:00:34 PM
সারা বছরে আগে যা নেমতন্ন পেতাম সেগুলোতে যাওয়ার তেমন তাগিদ কখনও অনুভব করিনি। যে চাকরি করতাম তাতে সামাজিক অনুষ্ঠানে যাওয়ার সুযোগ খুব একটা পেতাম না। আত্মীয় বন্ধুদের কেউ বলত উন্নাসিক, কেউ বলত দাম্ভিক। আমার স্ত্রীকে অনেকে বলত, 'তোর হাজব্যান্ড কিন্তু বড়ই অসামাজিক।' ওসব গায়ে মাখতাম না। তবে কয়েকটা অনুষ্ঠানে যেতেই হত। তা ছিল অনেকটাই বুড়ি ছোঁয়ার মতো। অফিস থেকে ফেরার পথে রাত সাড়ে দশটা, এগারটা নাগাদ বউ, বাচ্চাকে নিতে যেতাম। খাওয়াটা নম নম করেই সারতাম। জমিয়ে খাওয়া বলতে যা বোঝায় তা হত না।
আরও পড়ুন11 November, 2020 - 02:35:00 AM
এ বিষয়ে আর-এক গবেষক ‘শিশুমেলা সম্পাদক অরুণ চট্টোপাধ্যায় তাঁর একটি লেখায় দেখিয়েছেন, ১৯০১ সালে এ দেশে (কলকাতায়) গ্রামোফোন কম্পানি রেকর্ড উৎপাদন শুরু করার একেবারে প্রথম যুগ থেকেই তারা পুজোর গান প্রকাশ করতে শুরু করে। গবেষক স্বপন সোমের বইয়ে দেখি মার্চ, মে, আগস্ট, ডিসেম্বর-এ রকম অনেক মাসেই গ্রামোফোন কম্পানি রেকর্ড প্রকাশ করত, কিন্তু পুজোর রেকর্ড বার করত পুজোর আগে আগে।
আরও পড়ুন10 November, 2020 - 03:07:00 PM
পুজোর গান নয়, ‘সাত নম্বর বাড়ী’ নামে একটি বাংলা সিনেমা হয়েছিল আমাদের বালককালে, মূলত গানের ছবি, গানে সুর দিয়েছিকেন পরে বাংলার এক শ্রেষ্ঠ সুরকার রবীন চট্টোপাধ্যায়। তাতেই হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের একটি গান ছিল, ‘ফেলে আসা দিনগুলি মোর, মনে পড়ে গো আজি, মনে পড়ে গো।’ যখন এবার ‘পুজোর গান’ নিয়ে লিখতে বসেছি, তখন যেন অনেক বিস্মৃতির তলায় সুড়ঙ্গ কেটে এই গানটা হঠাৎ আমার সামনে খাড়া হয়ে দাঁড়াল, বলল, সেই মান্ধাতার আমলের কথা যদি লেখ, তা হলে আমাদের কি এড়িয়ে যেতে পারবে ? আমি একটু বিরক্ত হয়ে পললাম, ‘আ রে, তোমাদের এ কী অনুচিত আবদার!
আরও পড়ুন9 November, 2020 - 04:18:00 PM
"যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সংস্থিতা। নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।।" মা দুর্গা অনন্তরূপিনী, তিনি অসুর অর্থাৎ অশুভ নাশিনী, বলপ্রদায়িনী, অভয়া, শক্তিরূপা; পুরাণে ও চন্ডীতে যিনি শুম্ভ-নিশুম্ভ, মধুকৈটভ, রক্তবীজ প্রভৃতি দৈত্যদলনী, তিনিই মহিষাসুর-মর্দিনী, সর্বজনপূজিতা দশভুজা দুর্গা। অন্তের মধ্যে অনন্তের আর অসীমের মধ্যে সীমার আস্বাদ লাভের জন্য বাঙালী কবিরা সর্বশক্তিময়ী, দশপ্রহরণধারণী দশভুজা, মহাবিশ্বের সমস্ত শক্তির সারভূতা ব্রহ্মময়ীকে করে তুললেন আমাদের ঘরের তনয়া। তাই নিয়ে রচিত হল আগমনী ও বিজয়ার অপূর্ব কাব্য ও সঙ্গীত।
আরও পড়ুন28 September, 2020 - 05:38:00 PM
বিবাহের প্রথম বৎসর : স্বামী- আচ্ছা তুমি, আন্টার্টিকা বেড়াতে গিয়েছো? আমি যাই নি। স্ত্রী- আমিও যাই নি। স্বামী-সত্যি! আমাদের কি মিল! স্ত্রী- প্রত্যেক শীতে আর বর্ষায় সর্দি-কাশি হবেই হবে।
আরও পড়ুন25 September, 2020 - 03:43:00 AM
আমার সাথে আমার কথা কথার সাথে মা, মায়ের কুয়াশারূপ সেই কবে! জোলাভাতি খেলি বয়স তখন কতো!
আরও পড়ুন23 September, 2020 - 11:40:00 AM
দশম শ্রেণীর অনলাইনে অঙ্ক ক্লাসটা শেষ করেই স্ক্রিনশট টা নিয়ে বসল অহনা। অ্যাটেনডেন্স দিতে হবে। আজও দীপশিখা অনুপস্থিত । এই নিয়ে তিনদিন হল দীপশিখা ক্লাস করছে না। অন্য বিষয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারাও বলেছেন ওদের ক্লাসও ও করছে না। অথচ এমন তো হবার কথা নয়। পড়াশোনায় শুধু ভালো বললে কম বলা হবে।
আরও পড়ুন22 September, 2020 - 04:22:00 PM
এই গল্পটা ফেলুদাকে নিয়ে, এই গল্পটা পুজো সংখ্যা নিয়ে, এই গল্পটা চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশ বছর আগের। তখনকার দিনে পুজোর সময়ই পুজো সংখ্যা প্রকাশিত হতো, এখনকার মতো অনেক আগে নয়।
আরও পড়ুন