কোন্ স্বপনের দেশে
15 December, 2020 - By Bangla WorldWide
10 December, 2020 - 02:53:00 PM
যথা সময়ে হায়ার সেকেন্ডারী পরীক্ষা হয়ে গেল, তিন মাস পরে ফলও বের হল। প্রতিভা বোর্ডে সায়েন্স স্ট্রিমে সিক্সথ হয়ে শহরের লোককে তাক লাগিয়ে দিল। শুধু বিনু সেকেন্ড ডিভিশন পেল। আমার মত ফাঁকিবাজও ফার্ষ্ট ডিভিশন পেয়ে মা-বাবাকে খুশি করতে পেরেছিল। শুধু বিনুর জন্য ব্যথায়, কষ্টে ভেতরটা পুড়ে যাচ্ছিল। ওকে সান্ত্বনা দেবার ভাষা খুঁজে পাইনি। তবু বললাম, ‘ভাবিস না বিনু। বিএতে তুই নিশ্চয়ই খুব ভাল করবি।’আমার সান্ত্বনায় কী এসে যায়! বিনুর নত মুখ, ম্লান চোখে কান্নার আভাস। আমি জোর করে কান্না চেপে বিনুর কাছ থেকে পালিয়ে গেলাম।
আরও পড়ুন9 December, 2020 - 04:53:00 PM
আমাদের এই ছোট শহরে রয়েছে দুটো গার্লস স্কুল,তিনটে বয়েজ স্কুল ,একটা কলেজ আর একট সিনেমা হল | আমি চার্লস গর্ডন গার্লস হাই স্কুলে পড়তাম। প্রতিভা আর বেবি ক্লাস ওয়ান থেকেই আমার বন্ধু। আমাদের স্কুলটার নাম শুনলেই মনে হয় একটি বিখ্যাত কনভেন্ট। ১৮৮৮ সালে এই মহকুমা শহরের এস ডি ও স্কুলটির উদ্বোধন করেছিলেন। তাঁর নামেই নাম। বাংলা মিডিয়ামের স্কুলের নাম চার্লস গর্ডন গার্লস হাই স্কুল। কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন!ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত ছেলেরাও আমাদের সঙ্গে পড়ত। আতোয়ার, বিনু,দীপু আর শাহেদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব ছিল ক্লাসের অন্য মেয়েদের চোখে ঈর্ষণীয়। স্কুল কম্পাউন্ডের মধ্যে ছিল একটা বড় ঘাট বাধানো পুকর,পুকুরের ওপারে ঘন ঝোপ আর অসংখ্য ফুলের গাছ—পলাশ, শিমুল আর কৃষ্ণচূড়া পরস্পরকে জড়িয়ে ভালবাসা ভালবাসা খেলত। পুকুরের ওপারে ওই ঘন ঝোপের মধ্যেই ছিল আমাদের খেলাঘর।পুতুল খেলার বয়সে আমরা তিন মেয়ে বন্ধু পুতুল খেলিনি তবে ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে রান্নাবাটি খেলেছি। টিফিন পিরিয়ডে স্কুলের গেটের বাইরে মোহনদার দোকান থেকে মুড়ি-বাদাম, চানাচুর আর লজেন্স কিনে আমরা টিফিন করতাম। বিনুর বাবা ছিলেন শহরের নামকরা ধনী। পয়সটা বেশিরভাগ দিন ওই দিত। এতে আমাদের কোন লজ্জা ছিল না, ছিল অধিকার। পুকুর পারে বিনুরাও আমাদের সঙ্গে রান্নাবাটি খেলত। ছেলেরা জঙ্গল থেকে বাজার করে আনত। আমি, প্রতিভা আর বেবি লুচি পাতা দিয়ে লুচি ভেজে আগে ওদের খেতে দিতাম,পরে আমরা খেতে বসতাম।
আরও পড়ুন8 December, 2020 - 03:44:00 PM
'কেমন আছেন'? প্রশ্নটি ব্যক্তি বিশেষ মাত্রই করে থাকেন। দেখা হলেই সৌজন্য সূচক' Hello! 'এই যে, 'কেমন আছেন'? প্রশ্নের উত্তর কী কী হতে পারে? 'ভালোই', 'চলে যাচ্ছে','আর ভালো থাকা' ইত্যাদি। তবু নব্বইশতাংশর তাৎক্ষণিক জবাব হলো 'ভালো আছি'। কিন্তু সত্যি কি নব্বই শতাংশ লোক ভালো আছেন? 'সুখ','শান্তি','আনন্দ',শব্দগুলিতে কিছুটা সমর্থকতার প্রবণতা থাকলেও, সূক্ষ বিশ্লেষণে প্রতিটির পৃথক অর্থ। আর এই সব গুলির একত্র সন্নিবেশেই ভালো থাকা। সুখে থাকা বিষয়টি দীর্ঘকালীন, আনন্দ পাওয়া তাৎক্ষণিক। 'শান্তিতে 'আছি 'অর্থে 'নির্ঝঞ্ঝাটে আছি। ''কে সবচেয়ে সুখী? 'প্রশ্নের উত্তরে যুধিষ্ঠির বলে ছিলেন' অ- ঋণী, অ-প্রবাসী 'এবং 'যিনি শ্রমশেষে, ঘর্মাক্ত কলেবরে দিনান্তে শাকান্ন গ্রহণ করেন, তিনিই প্রকৃত সুখী। চার্বাক মুনি আবার ভোগ বিলাসে সুখের দিশারী। তিনি উল্টো কথা বলছেন 'যাবৎ জীবেৎ,সুখং জীবেৎ: ঋনং কৃত্য ঘৃতং পিবেৎ'। জীবন তো একটাই, ভোগ করে নাও। আবার অধুনা প্রজন্ম বিদেশে প্রতিষ্ঠিত হতে পারলেই সুখী,তারা স্বদেশ অপেক্ষা প্রবাসে থাকাই বেশি পছন্দ করছে।
আরও পড়ুন7 December, 2020 - 01:55:00 PM
প্রাচীন বটবৃক্ষ ঘিরে খেটেখাওয়া মানুষগুলোর ছোট্ট পাড়া। অতিসাধারণ! সাধারণজীবন, মাটি সনের ঘরবাড়ি। মাঝে টিনেরও আছে। বটবৃক্ষের নিচে আমি মূর্তি গড়া দেখি, দেখি আনন্দ-উৎসাহ মাখিয়ে! দেখি মূর্তি গড়ার কারিগর! দেখি, বিপুল পৃথিবী । কী নিপুণ দক্ষতা! আমি যদি পারতাম ওমন খড়কুটা জোগাড়, ওমন করেই বাঁশের কঞ্চি মেপে মেপে প্রলেপ। মাটির প্রলেপ। বারবার চেষ্টা করেও মুখটা কিছুতেই হয়না আর! এবড়ো-থেবড়ো। পারিনা কিছুতেই।
আরও পড়ুন4 December, 2020 - 12:48:00 PM
আবু সাঈদ তুলু, প্রতিশ্রুতিশীল নাট্য সমালোচক, গবেষক ও শিক্ষক।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও তার বিয়োগান্তক পরিণতি নিয়ে স্বতন্ত্র এবং একমাত্র নাটক ‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’। নাটকটির রচনা আনন জামান এবং নির্দেশনা দিয়েছেন আশিকুর রহমান লিয়ন। বাংলাদেশের স্বনামধন্য নাট্যদল ‘মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়’ নাটকটি প্রযোজনা করেছে। এক মহাকাব্যিক ব্যঞ্জনায় জাতির স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের ট্র্যাজিক পরিণতি তুলে ধরেছেন। নাটকটির নামকরণের মধ্যেই রবীন্দ্রনাথ চেতনার সঙ্গে শেখ মুজিবের চেতনার সাদৃশ্যজনিত গন্ধ আছে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন, কর্ম এবং বঙ্গবন্ধু ও পরিবার পরিজনদের নিয়ে মানব ইতিহাসের নির্মম হত্য
আরও পড়ুন3 December, 2020 - 05:47:00 PM
মুক্তিযুদ্ধই বাংলাদেশের নাট্যচর্চাকে নতুন প্রাণ দিয়েছে। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে শিল্প-সাহিত্যের ধারায় নাট্যকলা মাধ্যমটিই সবচেয়ে বেশি বিকশিত হয়েছে। দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা পাঠক্রমে অনার্স-মাস্টার্স ডিগ্রি প্রদান, এমফিল, পিএইচডি এমনকি আরো উচ্চতর গবেষণা নিরন্তর চলছে। সারাবিশ্বের নাট্যচর্চার তুলনায় বাংলাদেশ প্রযুক্তিক্ষীণতা ও পেশাদারিহীনতার মধ্যে থাকলেও নাট্য বিষয়, উপস্থাপন কৌশল, আলো, পোশাক ইত্যাদি নানা উপকরণে পিছিয়ে নেই। হাজার বছরের ঐতিহ্যের ধারায় দেশীয় রীতির নাট্যচর্চা এখন আন্তর্জাতিক শিল্পপরিম-লে স্বপরিচয়ে উজ্জ্বল। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে কলকাতা কেন্দ্রিক গ্রুপ থিয়েটার চর্চা দ্বারা প্রভাবিত হলেও নাটকে ভর করেছে বাংলাদেশের সামাজিক রাজনীতি-অবক্ষয়। উত্তরণে উদ্ভূত হয়েছেন নতুন আরেক মূল্যবোধে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রচিত হয়েছে অসংখ্য নাটক। নানাভাবে নানা দৃষ্টিকোণ থেকে মুক্তিযুদ্ধের বাস্তবতা মূর্ত হয়ে ওঠেছে মঞ্চের দৃশ্যে। দেশের মানুষের মুক্তির জন্য স্বাধীনতার জন্য দেশের জন্য যিনি অক্লান্ত ছিলেন তিনি আকস্মিতভাবে কিছু উচ্ছৃঙ্খল সেনাদের হাতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে প্রাণ হারান। অথচ সেই মহৎপ্রাণ জাতির স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে উল্লেখ করার মতো কোনো নাটক রচিত হয়নি বললেও চলে। মুক্তিযুদ্ধ আশ্রিত কিছু সংখ্যক নাটকে বঙ্গবন্ধুর জীবনী কিংবা হত্যাকা- অর্থাৎ শোকাবহ রক্তক্ষরণের কিছুটা স্মৃতি এসেছে। আমরা এ আলোচনায় সমকালের নাট্যচর্চায় কীভাবে শোকাবহ আগস্টের প্রতিফলন ঘটেছে তা নিয়ে আলোচনা করবো। সমকালের নির্বাচিত কিছু নাটককে কেন্দ্র করে স্বল্প পরিসরে নাট্যশিল্পে এ শোকের স্বরূপ খুঁজতে ব্যাপ্ত থাকবো।
আরও পড়ুন1 December, 2020 - 04:07:00 PM
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদোৎসব। আসলে মানুষের মিলন উৎসব। আর পুজো মানেই সুনীল আকাশে সাদা মেঘ, শিউলি ফুল, মহালয়ার ভোরে রেডিওতে মহিষাসুরমর্দিনী। এই পুজোর সঙ্গেই অঙ্গাঙ্গী জড়িয়ে আছে পুজোর নতুন গান। এখন পুজোর গানের সে আকর্ষণ আর নেই।
আরও পড়ুন24 November, 2020 - 04:48:00 PM
ঘুমাতে যাওয়ার আগে, জানালার পর্দা টেনে দিয়ে ঘরটাকে অন্ধকার করতে গিয়ে আমার চোখ পড়লো কোটিকোটি, লক্ষলক্ষ জবা-কুসুমের মতো লাল সূর্যটার ওপর।
আরও পড়ুন23 November, 2020 - 03:35:00 PM
মেঘ সরে গিয়ে মাথার ওপরে যেই নীল রঙের আকাশ ফুটে উঠলো ঠিক তখন থেকেই শিউলি গাছ ভোরবেলা অকৃপণ ভাবে সবুজ ঘাসের ওপরে সাদা কমলা রঙের ফুল ছড়াতে শুরু করতো। আমাদের কাজ ছিল সেসব কুড়িয়ে মালা গাঁথা। সব সুখ যেন আমাদেরই ছিল। আর কি চাই বর্ষা পেরিয়ে প্রকৃতি তে শরৎকাল দেখা দিল। একটু একটু যেন হিম হিম ভাবও বোধ হত। আমাদের তখন বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের ছোট্ট জেলা শহর বগুড়াতে বসবাস। সামনেই পূজো স্কুলও ছুটি হবে বেশ কয়েকদিনের জন্যে। প্রতিমা গড়াও শুরু হয়ে যেত। জ্বলেশ্বরী তলায় কালীবাড়ি মোড়ের উলটোদিকে দুর্গা প্রতিমা গড়া হত। স্কুল শেষে তাই সেখানে একটু ঢুঁ না মারলেই নয়।
আরও পড়ুন19 November, 2020 - 03:21:00 PM
জীবনের মূল্যবোধ বোঝার আগে আসছে, জীবন-অস্তিত্ব বা বেঁচে থাকা। জীবনের প্রথম চাহিদা, প্রথম ও আদি তাগিদ হলো, "জীবিকা"। স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে, যে কোনও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রাথমিক অধিকার বা Fundamental right হলো, নিজের খাওয়া-পরার সংস্থান নিজে করা। এর পরই আসবে self-esteem বা স্বাভিমান। ব্যক্তি -স্বাধীনতা ও স্বাভিমান বা আত্মমর্যাদা, এই দুটি শক্ত শিকড়ের বুনিয়াদে গড়ে ওঠে জীবনের মূল্যবোধ এবং সারা জীবন আমরা প্রতি পদে পদে জীবনের মূল্যবোধ উপলব্ধি করতে থাকি। জীবনের চাহিদা ভিন্ন ভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন।
আরও পড়ুন