কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল সে মরে নাই
24 December, 2020 - By Bangla WorldWide
23 December, 2020 - 05:33:00 PM
সিদ্ধার্থ দেব, কুয়েত অয়েল কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত পেট্রোলিয়াম বিশেষজ্ঞ। মোবাইল ফোন, -এইটুকু একটা যন্ত্র! তার কি ক্ষমতা আর জনপ্রিয়তা। সকলের হাতে হাতে ঘুরছে; সে যেই হোক, পরম বিত্তশালী শিল্পপতি বা নিম্ন মধ্যবিত্ত কর্মচারী। অথচ এককালে ফোনের কি আকাল ছিল আমরা দেখেছি। ফোনের জন্য আবেদন করে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হত। তারপর একদিন দেবদূতের মত উদয় হতেন সরকারি ফোন কোম্পানির এক কর্মচারী। সগর্বে খবর দিতেন, -কাল আপনাদের বাড়িতে ফোন আসবে। উৎসবের বন্যা বয়ে যেত সারা বাড়ি। কর্মচারীটি “খুশি হয়ে দেওয়া চা-জলখাবারের সামান্য খরচ” পকেটস্থ করে চলে যেতেন, ফিরতেন পরের দিন সিনেমার হিরোর মত মেজাজে, সেই দুস্প্র
আরও পড়ুন19 December, 2020 - 03:50:00 PM
আমারও তো ইচ্ছে করে দেওয়াল ফুঁড়ি, কাঁচ ভাঙ্গি আমারও তো ইচ্ছে করে মেঘলা দিনে মেঘের সাথে আকাশ জুড়ে ভিজে পাখি। আমারও তো ইচ্ছে করে
আরও পড়ুন17 December, 2020 - 04:07:00 PM
বাংলাদেশের উত্তরজনপদের জেলা শহর বগুড়া। শীতপ্রধান এবং গরম প্রধান অঞ্চল বললে ভুল হবে না। কিন্তু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের ছেলেবেলা থেকেই দেখে এসেছি। যেটি কি না এখনও আমাদের বয়সের যারা আছেন, তাঁরা সেই সম্প্রীতি বজায় রেখেই চলেছি এবং সেইভাবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকেও সেই শিক্ষাই দিয়েছি। পরিবারের ভাইবোন থেকে শুরু করে পাড়া, স্কুল যেখানে যত বন্ধু বান্ধব পেয়েছি তাঁদের সঙ্গে মিলে মিশে বড় হয়েছি। কোথাও অসাম্প্রদায়িকতার লেশ মাত্র ছিল না। ধর্মীয় উৎসবগুলো যার যার নিজের মত করে পালন করার মধ্যে দিয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠতাম। এখনও সমভাবেই রয়েছে। হিংসা বিদ্বেষ সবকিছু ছাপিয়ে সবার উপরে মানুষ সত্য।
আরও পড়ুন15 December, 2020 - 05:32:00 PM
আমার মন কেবল-ই ফিরে যায় সেই বাল্যে। সাত সকালে স্নান। পাটভাঙা নতুন জামা পরে পুজোতলায় ছুটতাম। কখনও দাদামশাইয়ের হাত ধরে। কখনও সখনও একলা ছুট। সেই ছুটতে গিয়ে কতবার পায়ের নখ উড়ে গিয়েছে! তবু দৌড় থামত না। ঢোলের বাজনা যতো কানে আসত, ভাবতাম পুজো ফুরিয়ে গেল— দৌড়... দৌড়। এক পুজোতলা থেকে আরেক পুজো তলায় দৌড়!
আরও পড়ুন10 December, 2020 - 02:53:00 PM
যথা সময়ে হায়ার সেকেন্ডারী পরীক্ষা হয়ে গেল, তিন মাস পরে ফলও বের হল। প্রতিভা বোর্ডে সায়েন্স স্ট্রিমে সিক্সথ হয়ে শহরের লোককে তাক লাগিয়ে দিল। শুধু বিনু সেকেন্ড ডিভিশন পেল। আমার মত ফাঁকিবাজও ফার্ষ্ট ডিভিশন পেয়ে মা-বাবাকে খুশি করতে পেরেছিল। শুধু বিনুর জন্য ব্যথায়, কষ্টে ভেতরটা পুড়ে যাচ্ছিল। ওকে সান্ত্বনা দেবার ভাষা খুঁজে পাইনি। তবু বললাম, ‘ভাবিস না বিনু। বিএতে তুই নিশ্চয়ই খুব ভাল করবি।’আমার সান্ত্বনায় কী এসে যায়! বিনুর নত মুখ, ম্লান চোখে কান্নার আভাস। আমি জোর করে কান্না চেপে বিনুর কাছ থেকে পালিয়ে গেলাম।
আরও পড়ুন9 December, 2020 - 04:53:00 PM
আমাদের এই ছোট শহরে রয়েছে দুটো গার্লস স্কুল,তিনটে বয়েজ স্কুল ,একটা কলেজ আর একট সিনেমা হল | আমি চার্লস গর্ডন গার্লস হাই স্কুলে পড়তাম। প্রতিভা আর বেবি ক্লাস ওয়ান থেকেই আমার বন্ধু। আমাদের স্কুলটার নাম শুনলেই মনে হয় একটি বিখ্যাত কনভেন্ট। ১৮৮৮ সালে এই মহকুমা শহরের এস ডি ও স্কুলটির উদ্বোধন করেছিলেন। তাঁর নামেই নাম। বাংলা মিডিয়ামের স্কুলের নাম চার্লস গর্ডন গার্লস হাই স্কুল। কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন!ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত ছেলেরাও আমাদের সঙ্গে পড়ত। আতোয়ার, বিনু,দীপু আর শাহেদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব ছিল ক্লাসের অন্য মেয়েদের চোখে ঈর্ষণীয়। স্কুল কম্পাউন্ডের মধ্যে ছিল একটা বড় ঘাট বাধানো পুকর,পুকুরের ওপারে ঘন ঝোপ আর অসংখ্য ফুলের গাছ—পলাশ, শিমুল আর কৃষ্ণচূড়া পরস্পরকে জড়িয়ে ভালবাসা ভালবাসা খেলত। পুকুরের ওপারে ওই ঘন ঝোপের মধ্যেই ছিল আমাদের খেলাঘর।পুতুল খেলার বয়সে আমরা তিন মেয়ে বন্ধু পুতুল খেলিনি তবে ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে রান্নাবাটি খেলেছি। টিফিন পিরিয়ডে স্কুলের গেটের বাইরে মোহনদার দোকান থেকে মুড়ি-বাদাম, চানাচুর আর লজেন্স কিনে আমরা টিফিন করতাম। বিনুর বাবা ছিলেন শহরের নামকরা ধনী। পয়সটা বেশিরভাগ দিন ওই দিত। এতে আমাদের কোন লজ্জা ছিল না, ছিল অধিকার। পুকুর পারে বিনুরাও আমাদের সঙ্গে রান্নাবাটি খেলত। ছেলেরা জঙ্গল থেকে বাজার করে আনত। আমি, প্রতিভা আর বেবি লুচি পাতা দিয়ে লুচি ভেজে আগে ওদের খেতে দিতাম,পরে আমরা খেতে বসতাম।
আরও পড়ুন8 December, 2020 - 03:44:00 PM
'কেমন আছেন'? প্রশ্নটি ব্যক্তি বিশেষ মাত্রই করে থাকেন। দেখা হলেই সৌজন্য সূচক' Hello! 'এই যে, 'কেমন আছেন'? প্রশ্নের উত্তর কী কী হতে পারে? 'ভালোই', 'চলে যাচ্ছে','আর ভালো থাকা' ইত্যাদি। তবু নব্বইশতাংশর তাৎক্ষণিক জবাব হলো 'ভালো আছি'। কিন্তু সত্যি কি নব্বই শতাংশ লোক ভালো আছেন? 'সুখ','শান্তি','আনন্দ',শব্দগুলিতে কিছুটা সমর্থকতার প্রবণতা থাকলেও, সূক্ষ বিশ্লেষণে প্রতিটির পৃথক অর্থ। আর এই সব গুলির একত্র সন্নিবেশেই ভালো থাকা। সুখে থাকা বিষয়টি দীর্ঘকালীন, আনন্দ পাওয়া তাৎক্ষণিক। 'শান্তিতে 'আছি 'অর্থে 'নির্ঝঞ্ঝাটে আছি। ''কে সবচেয়ে সুখী? 'প্রশ্নের উত্তরে যুধিষ্ঠির বলে ছিলেন' অ- ঋণী, অ-প্রবাসী 'এবং 'যিনি শ্রমশেষে, ঘর্মাক্ত কলেবরে দিনান্তে শাকান্ন গ্রহণ করেন, তিনিই প্রকৃত সুখী। চার্বাক মুনি আবার ভোগ বিলাসে সুখের দিশারী। তিনি উল্টো কথা বলছেন 'যাবৎ জীবেৎ,সুখং জীবেৎ: ঋনং কৃত্য ঘৃতং পিবেৎ'। জীবন তো একটাই, ভোগ করে নাও। আবার অধুনা প্রজন্ম বিদেশে প্রতিষ্ঠিত হতে পারলেই সুখী,তারা স্বদেশ অপেক্ষা প্রবাসে থাকাই বেশি পছন্দ করছে।
আরও পড়ুন7 December, 2020 - 01:55:00 PM
প্রাচীন বটবৃক্ষ ঘিরে খেটেখাওয়া মানুষগুলোর ছোট্ট পাড়া। অতিসাধারণ! সাধারণজীবন, মাটি সনের ঘরবাড়ি। মাঝে টিনেরও আছে। বটবৃক্ষের নিচে আমি মূর্তি গড়া দেখি, দেখি আনন্দ-উৎসাহ মাখিয়ে! দেখি মূর্তি গড়ার কারিগর! দেখি, বিপুল পৃথিবী । কী নিপুণ দক্ষতা! আমি যদি পারতাম ওমন খড়কুটা জোগাড়, ওমন করেই বাঁশের কঞ্চি মেপে মেপে প্রলেপ। মাটির প্রলেপ। বারবার চেষ্টা করেও মুখটা কিছুতেই হয়না আর! এবড়ো-থেবড়ো। পারিনা কিছুতেই।
আরও পড়ুন4 December, 2020 - 12:48:00 PM
আবু সাঈদ তুলু, প্রতিশ্রুতিশীল নাট্য সমালোচক, গবেষক ও শিক্ষক।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও তার বিয়োগান্তক পরিণতি নিয়ে স্বতন্ত্র এবং একমাত্র নাটক ‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’। নাটকটির রচনা আনন জামান এবং নির্দেশনা দিয়েছেন আশিকুর রহমান লিয়ন। বাংলাদেশের স্বনামধন্য নাট্যদল ‘মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়’ নাটকটি প্রযোজনা করেছে। এক মহাকাব্যিক ব্যঞ্জনায় জাতির স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের ট্র্যাজিক পরিণতি তুলে ধরেছেন। নাটকটির নামকরণের মধ্যেই রবীন্দ্রনাথ চেতনার সঙ্গে শেখ মুজিবের চেতনার সাদৃশ্যজনিত গন্ধ আছে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন, কর্ম এবং বঙ্গবন্ধু ও পরিবার পরিজনদের নিয়ে মানব ইতিহাসের নির্মম হত্য
আরও পড়ুন