শান্তির দরবার
30 December, 2020 - By Bangla WorldWide
28 December, 2020 - 12:52:00 PM
এই সময় পম্পা একটু ভাতঘুম দেয় বরাবরই। বেলের শব্দেই চিত্তির বিগড়ে গেল। উঠে এসে আইগ্লাসে দেখল ঠিক যা ভেবেছে, হতচ্ছাড়ী এখন এসে হাজির!
আরও পড়ুন26 December, 2020 - 02:33:00 PM
আদি যুগে মানব জাতির গঠন, বৈশিষ্ট্য নিয়ে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, নৃ-গঠন ইত্যাদি নিয়ে পরিপূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ভৌগোলিক অবকাঠামো, প্রাকৃতিক উপাদান নিয়ে গবেষণা অব্যাহত আছে। সেইসব পর্যবেক্ষণ করে কতিপয় বিষয়ে বিশ্লেষণ করতে তৎপর হয়েছি। এবিষয়ে পাশ্চাত্য পণ্ডিতরা যদি ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে পারেন, তবে তা হবে বিশ্বে নতুন মাইলফলক। প্রচলিত উপাদান ও ব্যাখ্যাকে নতুনভাবে উপস্থাপন করার সুচিন্তিত প্রয়াসে বিষয়টির আংশিক সারমর্মের নিবেদন করা হলো। পাঠক, গবেষক, চিন্তকের যৌক্তিক আলোচনা, বিশ্লেষণে নিশ্চয়ই বিশ্ব এক নতুন ভাবনায় উপনীত হবে।
আরও পড়ুন25 December, 2020 - 03:05:00 PM
আমার যখন ছোট্টবেলা চিলের ঘরে, হলদে সবুজ দেওয়াল জুড়ে তিনটে চড়াই, বাক্স ভরা ঝিনুকমালা রংবেরঙের, একটা করে ছড়িয়ে ফেলি, আবার কুড়োই।
আরও পড়ুন24 December, 2020 - 06:23:00 PM
ষাট দশকের পি.জি হাসপাতাল খুবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, ফাঁকা, বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় বাড়ি, ডাক্তার-নার্সের বাসস্থান, পুকুর, টেনিস কোর্ট, সবুজ গাছপালা যেন একটি সাজানো হেরিটেজের বাহক। ঐ হাসপাতলে পা রাখলে বোঝা যেত -এটা গোরাদের হাসপাতাল। ছা-পোষা বাঙালিরা যতটা পারত না যাওয়ার দিকেই ছিল অর্থাৎ এত পরিষ্কার, ফাঁকা তাঁদের জন্য অবশ্যই নয়। এই ধারণা শুধু লোকদের কথা বলব কেন? আমার অভিজ্ঞতা ও তাই বলে। সংশয়ের উৎকৃষ্ট উদাহরণ এইটি।
আরও পড়ুন23 December, 2020 - 05:33:00 PM
সিদ্ধার্থ দেব, কুয়েত অয়েল কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত পেট্রোলিয়াম বিশেষজ্ঞ। মোবাইল ফোন, -এইটুকু একটা যন্ত্র! তার কি ক্ষমতা আর জনপ্রিয়তা। সকলের হাতে হাতে ঘুরছে; সে যেই হোক, পরম বিত্তশালী শিল্পপতি বা নিম্ন মধ্যবিত্ত কর্মচারী। অথচ এককালে ফোনের কি আকাল ছিল আমরা দেখেছি। ফোনের জন্য আবেদন করে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হত। তারপর একদিন দেবদূতের মত উদয় হতেন সরকারি ফোন কোম্পানির এক কর্মচারী। সগর্বে খবর দিতেন, -কাল আপনাদের বাড়িতে ফোন আসবে। উৎসবের বন্যা বয়ে যেত সারা বাড়ি। কর্মচারীটি “খুশি হয়ে দেওয়া চা-জলখাবারের সামান্য খরচ” পকেটস্থ করে চলে যেতেন, ফিরতেন পরের দিন সিনেমার হিরোর মত মেজাজে, সেই দুস্প্র
আরও পড়ুন19 December, 2020 - 03:50:00 PM
আমারও তো ইচ্ছে করে দেওয়াল ফুঁড়ি, কাঁচ ভাঙ্গি আমারও তো ইচ্ছে করে মেঘলা দিনে মেঘের সাথে আকাশ জুড়ে ভিজে পাখি। আমারও তো ইচ্ছে করে
আরও পড়ুন17 December, 2020 - 04:07:00 PM
বাংলাদেশের উত্তরজনপদের জেলা শহর বগুড়া। শীতপ্রধান এবং গরম প্রধান অঞ্চল বললে ভুল হবে না। কিন্তু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের ছেলেবেলা থেকেই দেখে এসেছি। যেটি কি না এখনও আমাদের বয়সের যারা আছেন, তাঁরা সেই সম্প্রীতি বজায় রেখেই চলেছি এবং সেইভাবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকেও সেই শিক্ষাই দিয়েছি। পরিবারের ভাইবোন থেকে শুরু করে পাড়া, স্কুল যেখানে যত বন্ধু বান্ধব পেয়েছি তাঁদের সঙ্গে মিলে মিশে বড় হয়েছি। কোথাও অসাম্প্রদায়িকতার লেশ মাত্র ছিল না। ধর্মীয় উৎসবগুলো যার যার নিজের মত করে পালন করার মধ্যে দিয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠতাম। এখনও সমভাবেই রয়েছে। হিংসা বিদ্বেষ সবকিছু ছাপিয়ে সবার উপরে মানুষ সত্য।
আরও পড়ুন15 December, 2020 - 05:32:00 PM
আমার মন কেবল-ই ফিরে যায় সেই বাল্যে। সাত সকালে স্নান। পাটভাঙা নতুন জামা পরে পুজোতলায় ছুটতাম। কখনও দাদামশাইয়ের হাত ধরে। কখনও সখনও একলা ছুট। সেই ছুটতে গিয়ে কতবার পায়ের নখ উড়ে গিয়েছে! তবু দৌড় থামত না। ঢোলের বাজনা যতো কানে আসত, ভাবতাম পুজো ফুরিয়ে গেল— দৌড়... দৌড়। এক পুজোতলা থেকে আরেক পুজো তলায় দৌড়!
আরও পড়ুন10 December, 2020 - 02:53:00 PM
যথা সময়ে হায়ার সেকেন্ডারী পরীক্ষা হয়ে গেল, তিন মাস পরে ফলও বের হল। প্রতিভা বোর্ডে সায়েন্স স্ট্রিমে সিক্সথ হয়ে শহরের লোককে তাক লাগিয়ে দিল। শুধু বিনু সেকেন্ড ডিভিশন পেল। আমার মত ফাঁকিবাজও ফার্ষ্ট ডিভিশন পেয়ে মা-বাবাকে খুশি করতে পেরেছিল। শুধু বিনুর জন্য ব্যথায়, কষ্টে ভেতরটা পুড়ে যাচ্ছিল। ওকে সান্ত্বনা দেবার ভাষা খুঁজে পাইনি। তবু বললাম, ‘ভাবিস না বিনু। বিএতে তুই নিশ্চয়ই খুব ভাল করবি।’আমার সান্ত্বনায় কী এসে যায়! বিনুর নত মুখ, ম্লান চোখে কান্নার আভাস। আমি জোর করে কান্না চেপে বিনুর কাছ থেকে পালিয়ে গেলাম।
আরও পড়ুন