বয়ে যাওয়া সেই দিনগুলি
19 February, 2019 - By Bangla WorldWide
19 February, 2019 - 06:55:00 PM
লেখক ডাঃ পাঞ্চজন্য ঘটক প্রায় ২৩ বছর বিলেত প্রবাসী | প্রায় ১৭ বছর কাজ করছেন ফরেনসিক সাইকিয়াট্রিতে | বর্তমানে এলিসিয়াম হেলথকেয়ার সংস্থায় ক্লিনিকাল ডিরেক্টর এবং কনসালটেন্ট সাইকিয়াট্রিস্ট | নাটক ও সিনেমায় অভিনয় ও লেখালিখি তাঁর অন্যতম নেশা। ১৯৮৩ বা ১৯৮৪ সাল | নরেন্দ্রপুরে শিশু কবি সম্মেলনে সেবার সভাপতি হয়ে এসেছিলেন কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী | শিশু কবি সম্মেলন হতো ক্লাস ফাইভ থেকে সেভেনের ছেলেদের জন্য | সাধারণতঃ জুনিয়র সেকশনের অ্যাসেম্বলি হলে | নীরেন্দ্রনাথ বড়ো মাপের কবি | আনন্দমেলার সম্পাদক ছিলেন তখন | সব ছাত্রদেরই খুব প্রিয় | তাই বোধহয় সেবার সম্মেলনটি অডিটোরিয়ামে (Vivekananda Centenary Hall ) হয়ে
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 06:34:00 PM
সাখাওয়াৎ ভুঁইয়া তোমাকে ছেড়ে চলে এসেছি যেদিন, সেদিনের উজ্জ্বল আকাশে সূর্যস্নানে, ফাল্গুনের দখিনা বাতাসের সাথে, খুব একটা মাখামাখি ছিলো না কারো। না ভোর, না রাত এমনই এক আবহ, মুহূর্তেই আঁধারে ঢেকে গেলো। তারপর আর তোমাকে মা বলে ডাকা হয়নি, তারপর আর তোমার ভাষায় কথা বলা হয়নি। খুব ইচ্ছে করে মাগো, আবার যদি জন্ম নিতে পারতাম, আর একবার, মানুষ না হই, কৃষ্ণচূড়া বা পলাশের ডালে, যদি আবার বসন্ত বউরি পাখি, নয়তো সাদা কবুতর আকাশের গায়, খুব ইচ্ছে করে,মাগো। তোমাকে একবার, মাত্র একবার, বাংলায় মা বলে ডেকে, নিজের মুখের ভাষায় স্বাধীন ব্যাকরণে, পাশে ঘেঁষে বসে থাকি। সাজিয়ে বর্ণমালা কাঞ্চনাভ লালে, আবার দোয়েল হবো, পলাশে
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 06:05:00 PM
লেখিকা কৃষ্ণশর্বরী দাশগুপ্ত আকাশবাণীর কলকাতা কেন্দ্রের সহ অধিকর্তা 'বাতাসি! বাতাসি!' -- লোকটা ভয়ানক চেঁচাতে চেঁচাতে গুমটির পিছন দিকে ছুটে গেল। ধাবিত ট্রেনের থেকে এই দৃশ্য চকিতে দেখলুম। কে বাতাসি? জোয়ান লোকটা অত ভয়ঙ্করভাবে তাকে ডাকে কেন? কেন--' এমন কত ডাক, কত খণ্ডচিত্র তো উড়ে যায়, ভেসে যায় আমাদেরও প্রতিদিনের চলার পথে। কিছুক্ষণ কানে বাজতে থাকে ভাসমান কথাগুলি-- তারপর কখন যেন হারিয়ে যায়, সেই নাগাল না-পাওয়া গল্পটা কবিতার শরীর নিয়ে ফুটে ওঠে না আপনার-আমার ক্ষেত্রে, যেমনটা উঠত তাঁর হাতে। কারণ তিনি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, কবিতা যাঁর মাতৃভাষা, কবিতা যাঁর অস্তিত্ব। যিনি বলেন, "সত্যি সত্যিই তো এই লোকটি
আরও পড়ুন18 February, 2019 - 07:15:00 PM
বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইড ওয়েবডেস্ক: "যেমন সাহস গড়ে ওঠে। পিতার কারক থেকে ভেঙে ভেঙে যাওয়া শূন্যতা কিংবা আরও ক্ষতিকারক কোনও ঋণভার উপেক্ষা ক'রে-যেমন মিছিল গড়ে ওঠে। জল-মাটি-ফসলের নরম শরীর থেকে রক্তের গর্বিত লাল- যেমন শাসন ভেঙে দেয়, অনুশাসনের শ্বাস পেঁচিয়ে বেরিয়ে আসে ভ্রুণের নিঃশ্বাস-মুঠো, যেমন ঢাকার পথ দিয়ে বারুদ স্তব্ধ ক'রে স্লোগান জাগিয়ে রাখে প্রেম জানাবার ভাষাখানি- ... স্মৃতির সীমানা থেকে ঢের ঢের জন্মের দূরে, হয়ত ব্যর্থ পুরোপুরি, নির্মাণ করে চলি প্রেম জাগাবার ভাষাখানি।" -নুরুল বরকত ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ইউনেস্কোর ৩০তম অধিবেশন। রাষ্ট্রসংঘের সেই সভায় ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জা
আরও পড়ুন18 February, 2019 - 06:20:00 PM
আচ্ছা, ভগবানের কি পাপ হয়? মানুষ পাপ করতে পারে, কিন্তু ভগবানও কি পাপ করতে পারে! মানুষ দোষে-গুণে মিলিয়ে। ভগবানের তো দোষ বলে কিছু থাকে না। সবই গুণ। তাহলে তো তাঁর দোষ হওয়ার কিছু নেই।
আরও পড়ুন18 February, 2019 - 06:15:00 PM
অমিত মিত্র কলকাতা বইমেলা। এই দুই শব্দের সঙ্গে বইপ্রেমী বাঙালির টান এক নস্টালজিয়ায় মোড়া। মহামান্য আদালতের নির্দেশে বহু বছর আগেই তাকে 'কলকাতার ফুসফুস' ময়দান থেকে সরে যেতে হয়েছে। ফি বছর জানুয়ারির শেষ বুধবার শুরু হয়ে কলকাতা বইমেলার সমাপ্তি ঘটত ফেব্রুয়ারির প্রথম রবিবারে। বইপিপাসু-পাঠককুলের সব পথ এসে মিশে যেত পার্কস্ট্রিটে। তা অতীত হয়ে স্মৃতির সরণিতে এখন। সেইসঙ্গে গত কয়েক বছর যাবৎ একটা প্রশ্ন এবং সংশয় উঠে আসছে বইমেলার সময় এলেই। বাঙালির এই প্রজন্ম কি বই কেনা এবং বই পড়া থেকে বিমুখ হচ্ছে ক্রমশ? অনেকেই এখন বই পড়ছে ট্যাব-এ, বা কম্পিউটারের পর্দায়, বা কিন্ডল জাতীয় যন্ত্রে। অনেকে মোবাইলেই পড়ছে। শুধুমাত্র ম
আরও পড়ুন14 February, 2019 - 09:35:00 PM
বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইড ওয়েব ডেস্ক: নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন। এর শুরুটা হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে। সেই সময় থেকে আজ। স্বকীয়তা বজায় রেখেই প্রবহমান এই প্রতিষ্ঠান। ২০১৮-র ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে কলকাতার নিউ টাউনে হয়ে গেল নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্যের ৯০তম সম্মেলন। এর উদ্বোধন করেন 'ভারতরত্ন' প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। উদ্বোধনী ভাষণে প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, "ভারতবর্ষ বলতে আমার চোখের সামনে ১৩০ কোটি মানুষের ছবি। অনেক ভাষা, অনেক ধর্ম- সব মিলিয়ে তাঁদের মধ্যে একটা একাত্মবোধ রয়েছে। সেটা হল তাঁরা ভারতীয়। বাংলা ও বাঙালি সম্পর্কেও একই কথা প্রযোজ্য। আমাদের মধ্যে স্ববিরোধিতা আছে। কিন্তু আমরা চলম
আরও পড়ুন14 February, 2019 - 08:50:00 PM
কালো পিচঢালা রাস্তা। একটা গাড়ি গেলে, উল্টোদিকের গাড়িকে মেঠো পথে নেমে দাঁড়াতে হয়। আর রাস্তার দু পাশে ঘন শাল আর পিয়াল গাছের ভিড়।
আরও পড়ুন13 February, 2019 - 10:25:00 PM
লেখক জয়ন্ত ঘোষ নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরে এই গৌরবময় সংস্থার সৃষ্টি। ১৯২৩ সালে প্রথম সভাপতি হন তিনি। তারপর থেকে বহু গুণীজন এই সংস্থার হাল ধরেছেন। আশাপূর্ণা দেবী, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, অতুলপ্রসাদ সেন থেকে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় বিভিন্ন সময়ে এই সংস্থার নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমরা বাংলা ভাষার প্রচার ও প্রসারের জন্য ভারত জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ১৩০টি শাখার মাধ্যমে কাজ করি। সারা দেশে আমরা বাংলা ভাষা শেখানোর জন্য পাঠক্রম চালাই। সেখানে বাঙালি ছাড়াও বহু অবাঙালিও এই ভাষা শেখার টানে ছুটে আসছ
আরও পড়ুন13 February, 2019 - 08:40:00 PM
ঠাকুর পরিবারের সদস্য বিশিষ্ট সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ সন্দীপ ঠাকুর জার্মানি প্রবাসী ১৯৩১ সালে আমি যেখানে জন্মেছিলুম সেটা যেন একটা দ্বীপ; তবে তার চারপাশে জলের বদলে সব রাস্তা। আমাদের পূর্বপুরুষদের নামে সব রাস্তাঘাট ও গলি। দর্পনারায়ণ ঠাকুর স্ট্রিট এবং কালীকৃষ্ণ ঠাকুর স্ট্রিট চলে গেছে একেবারে দক্ষিণে। আর পশ্চিমে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রোড। উত্তরে রঘুনন্দন ঠাকুর লেন। আবার জোড়াবাগান পেরিয়ে পূবে গেলেই প্রসন্নকুমার ঠাকুর স্ট্রিট। এর একশ গজ দক্ষিণে দ্বারকানাথ ঠাকুর লেন। দর্পনারায়ণ ও নীলমণি ঠাকুর দুই ভাই আমাদের পিতৃপুরুষের এই বসতবাটি স্থাপন করেন ১৭৬১ সালে পাথুরিয়াঘাটায়। এঁরা কান্যকুব্জ থেকে আগত ভট্টনারায়ণের এ
আরও পড়ুন