ধারাবাহিক উপন্যাস: টিউশন (দশম পর্ব)
12 July, 2019 - By Bangla WorldWide
6 July, 2019 - 12:15:00 PM
--ডোর বেল বাজাতেই, অনন্যা দরজা খুলে দিয়ে বললো, "বারান্দায় এসো। সেই বিকেল থেকে অপেক্ষা করে আছি, একটা ফোন পর্যন্ত করোনি। চলো, মা তোমার খাবার করে রেখে গিয়েছে। এখন খাবে, না পরে দেব?" --"ঘুম থেকে উঠেই তো চলে এলাম তোমার কাছে। তাই আর ফোন করিনি। বেঙ্গল আম্বুজা অবধি এলো অটোটা। তারপর হেঁটে এলাম। দুপুরবেলা জানো, মাকে ফোন করেছিলাম। খুব খুশি হয় আমি বা দাদা ফোন করলে। দাদা এই মাসের শেষে নয়দা চলে যাচ্ছে, একটা নতুন কোম্পানিতে চাকরি নিয়ে।"
আরও পড়ুন29 June, 2019 - 12:09:00 PM
অনন্যার ফোন এলো যখন, দুচোখের পাতায় ঘুম ঢেকে দিয়েছে। বালিশের পাশেই ফোনটা রাখা থাকে ওর। কোনওমতে ফোনটা ধরতেই ওপাশ থেকে অনন্যা বলে উঠলো, "একটু দেরি হয়ে গেল ফোন করতে। বাবা ফোন করেছিল। আমার কিছু লাগবে কি না জিজ্ঞেস করছিল। আমি না বলে দিয়েছি। শুধু বলেছি, ভাল মেনস্ পারফিউম যেন নিয়ে আসে। আমার কথা শুনে একটু অবাকই হল মনে হয়।"
আরও পড়ুন21 June, 2019 - 04:59:07 PM
গোলবাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা গঙ্গারঘাটের উদ্দেশে গাড়ি ছোটালো অনন্যা। অনুরুপার কথাগুলো কানে বাজছিল। অরিত্রর দিকে ফিরে জিজ্ঞেস করলো, "তুমি এইসব বিশ্বাস করো বিজ্ঞানে এর কোনও ব্যাখ্যা নেই কিন্তু,তাও কেমন যেন লাগে কথাগুলো শুনলে। তাই না ?"
আরও পড়ুন15 June, 2019 - 12:55:00 PM
হোস্টেলের ঘরে ঢুকেই অঞ্জনকে ফোন করলো অরিত্র। বেশ কয়েকবার রিং হয়ে কেটে গেল। কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করে আবার ফোন করলো অরিত্র। এইবার অঞ্জন তুলতেই, অরিত্র বলে উঠলো, "আরে, ব্যস্ত ছিলে না কি? রিং হয়ে কেটে গেল?"
আরও পড়ুন15 June, 2019 - 03:05:00 AM
পঞ্চানন কর্মকার জন্ম গ্রহণ করেন হুগলি জেলার ত্রিবেণীতে। তাঁর পূর্বপুরুষরা প্রথমে ছিলেন হুগলি জেলার অন্তর্গত জিরাট বালাগড়ে, পরে ত্রিবেনীতে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। তাঁরা পেশায় ছিলেন কর্মকার বা লৌহজীবী। তারও বেশ কয়েক পুরুষ আগে তাঁরা ছিলেন লিপিকার।
আরও পড়ুন8 June, 2019 - 02:40:00 AM
ইস্টার্ন বাইপাসে হাইল্যান্ড পার্কের গ্লেন টাওয়ারের ফ্ল্যাট নম্বর ৯ এ। ঢুকেই বিশাল বসার ঘর। তারপাশে কিচেন। আর উল্টো দিকে টয়লেট। টয়লেটের আড়াআড়ি ভাবে দুটো ঘর। আর কিচেনের পরেই একটা বেশ বড় স্টাডি রুম। মাস্টার্স বেডরুমের সঙ্গে অ্যাটাচড টয়লেট।
আরও পড়ুন11 April, 2019 - 02:10:00 PM
শিরা ফুলে ওঠে গলার। গান ধরবে? শিরা কুট করে কেটে দিলে। গান মরবে।
আরও পড়ুন5 April, 2019 - 03:35:00 PM
সুহিতা সুলতানা পথ তো পথের মতন, যারা হাঁসকলে আটকা পড়েছে চৌহদ্দীর মধ্যে তাদের উচ্চতা কতটুকু? জ্ঞানশূন্য ও লোভী মানুষের পাশে অবশেষে কেউ থাকে না! চলো যাই পাখিদের গ্রামে! ছুঁয়ে দেখি অস্তিত্বের সমূহজল; মেঘের দুপুরে অপার শূন্যতা মনে করিয়ে দেয় রক্তাক্ত দিনের কথা! গোধূলিলগ্নে যখন আমাদের গাড়ি বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ হয়ে বাড়ি ফিরছিল তখন চারদিকে আনন্দ ও বিষাদের উল্লাস ছিল। পথজুড়ে স্মৃতির ক্রন্দন অভিন্ন হৃদয়ের কাছে নিয়ে যায়। সেদিন সামান্য লোকও অসামান্য হয়ে তর্জনী উঁচিয়ে ধরেছিল। অনন্ত স্বপ্নের ভেতরে শত্রুর কোনো চিহ্ন মাত্র নেই। রাতের চাঁদ হেলে পড়েছে আশ্বিনের বারান্দায়...
আরও পড়ুন30 March, 2019 - 12:10:00 PM
লেখক শান্তনু সরস্বতী হস্টেলে যখন ফিরলো, তখন রাত এগারোটা। অনন্যা ওকে পৌঁছে দিয়ে বিদ্যুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিল। শুধু যাওয়ার আগে কাঁচ নামিয়ে বললো, "বাড়িতে পৌঁছে একটু ফ্রেশ হয়ে ফোন করবো তোমাকে। অসুবিধা নেই তো?" অরিত্র মাথা নেড়ে সায় দিয়ে বললো, "জেগে থাকবো।" অনন্যার ফোন এসেছিল যখন, তখন রাত পৌনে বারোটা। দু একটা কথা বলে অরিত্রকে ঘুমিয়ে পড়তে বললো অনন্যা। কিন্তু অরিত্রর কিছুতেই ঘুম আসছিল না। চোখ বুজলেই অনন্যার মুখটা, হাসিটা মনে পড়ে যাচ্ছিল। সামলাতে পারছিল না নিজেকে। নিজেকে দেখে আজ নিজেরই কেমন যেন অবাক লাগছিল ওর। এক দিকে যেমন একটা অজানা আনন্দ চেপে বসেছিল মনের মধ্যে, অন্য দিকে ঠিক তেম
আরও পড়ুন29 March, 2019 - 05:45:00 PM
লেখাটি ত্রিপুরার প্রয়াত মীরা ঘোষের 'দিনলিপি' থেকে গৃহীত মনে পড়ছে ১৯৭১ সালের কথা। সারা ত্রিপুরা উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছে। প্রতিদিন রেডিওতে কান লাগিয়ে শোনা অত্যন্ত ক্ষীণ ব্রডকাস্টে প্রচারিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ঘোষণা পল্লবিত হয়ে মুখে মুখে ছড়িয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধ আর যুদ্ধ। যেন আমরাই স্বাধীনতার লড়াই লড়ছি। আমাদের সামনের উঠোনে ট্রেঞ্চ, সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ঘুরে ঘুরে যাচ্ছে। একটুও অসাবধান থাকবার জো নেই। আমাদের স্যার কিন্তু পাকিস্তানের পরাজয় সম্বন্ধে নিশ্চিত জেনেও সাইরেন বাজলেই সবার আগে ট্রেঞ্চের ভেতরে ঢুকে যেতেন। সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা তো সেরকমই বলেছে। কিন্তু ভেতরে ঢুকে গেলে তো বাইরের আকাশে ক
আরও পড়ুন