বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাঙালির নিজস্ব মঞ্চ

একুশে ফেব্রুয়ারির অর্থ (দ্বিতীয় পর্ব)

22 February, 2025 - 11:30:00 AM

আমাদের একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন তাই শুধু একটা শোক বা উৎসব পালন নয়, তা আমাদের প্রত্যেককে নিজের নিজের ভাষার দিকে যদি চোখ না ফেরায়, যদি আমাদের ভাষাসংক্রান্ত আত্মজিজ্ঞাসায় উন্মুখ না করে তা হলে এ দিনটি আমাদের কাছে কোনও সার্থকতা পায় না, নেহাতই অনুষ্ঠান হিসেবে আসে এবং চলে যায়।

আরও পড়ুন

একুশে ফেব্রুয়ারির অর্থ (প্রথম পর্ব)

21 February, 2025 - 01:00:00 PM

একটা হল নিছক ঘটনা—শাসকের পুলিশের গুলিতে কিছু মানুষের মৃত্যু, তার মধ্যে তরুণ ছাত্রও ছিল বেশ কয়েকজন। এই উপমহাদেশে গত এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে এ রকম ঘটনা বহুবার ঘটেছে। স্বাধীনতার জন্য, বন্দিমুক্তির জন্য, অত্যাচার আর শোষণের প্রতিবাদে, খাদ্য বা ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলনে, কোনও জনস্বার্থবিরোধী ব্যবস্থা বা আইনের বিরুদ্ধে, কলকারখানার অবৈধ লক্আউট তোলার দাবিতে—মানুষের মিছিলের উপরে শাসকের পুলিশ গুলি চালিয়েছে বহুবার, তাতে বহু মানুষের মৃত্যুও ঘটেছে। কিন্তু ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার ওই ঘটনাটার একটা নতুন অর্থ ছিল, যা তাকে আগেকার শাসকদের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডগুলি থেকে আলাদা করে দিয়েছিল।

আরও পড়ুন

'মা তোর মুখের বাণী' - বেঁধে রেখেছে বিশ্বের বাঙালিকে

15 February, 2025 - 11:30:00 AM

বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইড প্রতিবেদন সম্মেলনের মূল থিম ছিল 'বোঝাপড়ায় ভরসা বাড়ায়'। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাঙালিদের মধ্যে বোঝাপড়ার অন্যতম হাতিয়ার বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইড প্রকাশিত শারদীয়া সাহিত্য পত্রিকা 'মা তোর মুখের বাণী'। এই পত্রিকার নামকরণ যাঁর, সেই বিখ্যাত ভাষাবিদ তথা বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইডের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এই পত্রিকার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক পবিত্র সরকার, যখন লেখকদের হাতে সম্মান স্মারক তুলে দেন তখন সেই অনুষ্ঠানের গুরুত্ব বেড়ে যায়। আর ষোলোকলা পূর্ণ হয়ে যায় যখন মঞ্চে উপস্থিত থাকেন যুক্তরাজ্য থেকে আগত চিকিৎসক-সাহিত্যিক 'মা তোর মুখের বাণী'-র উপদেষ্টা তথা সম্পাদক মন্ডলীর‌ সদস্য ডাঃ নবকু

আরও পড়ুন

দেওয়াল ঘড়ি (দ্বিতীয় পর্ব)

27 December, 2024 - 11:09:00 AM

পলাশ বন্দোপাধ্যায় শিশু ও নবজাতক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, পশ্চিমবঙ্গ। প্রথম পর্বের পর... বিরূপাক্ষর এতক্ষণে খেয়াল হলো, যে হলুদ দামি টাওয়েল নিয়ে তিনি স্নানে ঢুকেছিলেন, তার বদলে তাঁর হাতে এখন একটা তেল চিটচিটে পুরোনো লাল গামছা। পিতলের সাবানদানিটা অনেক পুরোনো। তার উপরে হালকা সোনালি রঙের বলের মতো দেখতে একটা হলদেটে সাবান, যা তিনি কোনোদিন দেখেননি। তাঁদের ছোটবেলায় 'বাটি সাবান' বলে একটা অত্যধিক ক্ষারযুক্ত কাপড় কাচার সাবান তাঁর বাড়িতে ব্যবহৃত হতো। কিন্তু এ বস্তু সে বস্তু নয়। তুলনায় অনেক নরম ও সুগন্ধযুক্ত। স্নান শেষে অন্যমনস্কভাবে অভ্যাসবশত দরজার ছিটকিনি খুলতে গিয়ে দরজার উপরের নির্ধারিত স্থানে হাত দিয়ে আবার চমক

আরও পড়ুন

দেওয়াল ঘড়ি (প্রথম পর্ব)

26 December, 2024 - 11:30:00 AM

পলাশ বন্দোপাধ্যায় শিশু ও নবজাতক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, পশ্চিমবঙ্গ। এখন বাগবাজার বাটা যেখানে, তার ঠিক পিছনে কয়েক পুরুষ ধরে চলে আসা অধুনা সোনার কারবারি বিরূপাক্ষ বসাকের, গয়নার দোকান বসাক জুয়েলারি। সঙ্গে বাগান সমেত পুরোনো বনেদি বাড়ি। আজকের জাঁকজমকের যুগে ব্র্যান্ডেড জুয়েলারিগুলোর ঠাটবাটের কাছে এ দোকান জৌলুসহীন, যদিও একসময় এর খুব নামডাক ছিল। সে যুগে অভিজাত বাঙালি ও সাহেবসুবোরা স্ত্রী, বান্ধবীদের নিয়ে এখানে শুধু গয়না কিনতেই নয়, নিখাদ আড্ডা মারতেও আসতেন। পুরোনো কলকাতার ইতিহাস এমনটাই বলে। এখন বিরূপাক্ষর বয়স ষাট ছুঁই ছুঁই। শরীরের বাঁধন ভালোই। তিনিই শেষ বংশধর হিসেবে এই দোকানটি টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর একমাত

আরও পড়ুন

সমর জয়ী (সমরেশ বসু জন্ম শতবর্ষ স্মরণে)

11 December, 2024 - 11:30:00 AM

সৌম্যেন বসু শ্রুতিনাট্যকার, আকাশবাণী কলকাতার প্রাক্তন সহ-অধিকর্তা,  পশ্চিমবঙ্গ।   তোমারও একটা ধূসর বাল্য ছিল সুরথনাথ জন্মমাটির সীমানা ডিঙনোর আগে ৷  জানতে কি সে কথা?   মেজাইরা বোঝেনি সেদিন নৈহাটির টালির ঘরে আকন্ঠ দারিদ্রে ডুবে নিজের নিয়তি লিখছিলে সাদায় কালোয় ৷    জীবনকে পোড়াতে পোড়াতে সেই অঙ্গারে জন্ম দিলে সাহিত্যের সজীব বর্ণমালা ৷    বড় প্রেমিক ছিলে তুমি ৷ বড় সুপুরুষ ৷ দারিদ্র কী প্রেমিক করে?  তাই কি রক্ত-ঘামের সাথে ছিল তোমার লাল-মুষ্ঠি অঙ্গীকার?    মানুষ দেখেছ জীবনভর মানুষ খুঁজেছ কুম্ভের মানব-সাগরে ৷  অমৃত আর গরলের অন্বেষায় কালকূট হয়েছ তুমি ৷   বড় বিতর্কিত ছিলে ৷  জীবনে,  জীবন-লেখা

আরও পড়ুন

একটি তদন্ত অথবা...(দ্বিতীয় পর্ব)

4 December, 2024 - 11:15:00 AM

অপরাজিতা সেন ফরাসি সরকারের চাকুরীরতা, বিশিষ্ট লেখিকা, ফ্রান্স। প্রথম পর্বের পর... আমি রণজয়। পুলিশে চাকরি করি। দু'মাস আগে হাইওয়ের ওপর একটা দুর্ঘটনার তদন্ত করতে গিয়েছিলাম। গাড়িতে চারজন যাত্রী ছিল। তারা সবাই অল্প বিস্তর আহত কিন্তু কারো প্রাণসংশয় ছিল না। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার, গাড়ির চালক, সোমশঙ্কর ব্যানার্জিকে অকুস্থলে পাওয়া গেল না। অন্য যাত্রীরা কেউ কিছু বলতে পারল না। আমি গত দু'মাস ধরে তদন্ত চালিয়ে গেছি-কোনো গাড়ি সেইদিন সোমশঙ্করকে কোথাও লিফট দেয়নি। সোমশঙ্কর খুব সাধারণ ভদ্রলোক-আয়কর দপ্তরে কাজ করেন, যৌথ পরিবার, মা, দাদা, বৌদি, আর স্ত্রী-সবাই শোকে মুহ্যমান। তার একমাত্র শখ বেড়ানো-তিনি মাঝে মধ্যেই ব

আরও পড়ুন

একটি তদন্ত অথবা...(প্রথম পর্ব)

3 December, 2024 - 01:00:00 PM

অপরাজিতা সেন ফরাসি সরকারের চাকুরীরতা, বিশিষ্ট লেখিকা, ফ্রান্স। জানালা দিয়ে একটা তেরছা আলোর রেখা মোটা পর্দাগুলো ভেদ করে ঠিক সোমের চোখের ওপর এসে স্থির হলো। লেসার বিমের মত। চোখের পাতা ভেদ করে সোজা ঢুকে পড়ল ওর শরীরে, অনুসন্ধানী এক আলোর রেখা ওর অন্তরাত্মা পর্যন্ত পৌঁছে গেল যেন। আস্তে আস্তে চোখ খুলল সে। বড় অবসাদ। অলস দৃষ্টিতে দেখল চারটে দেয়াল, একটা বড় জানালা, একটা বিশাল কাঠের দরজা। জানালায় ভারি পর্দা টানা, ওই একটা আলোর রেখা কী ভাবে যেন ঢুকে পড়েছে। ঘরটা ওর অচেনা-কেমন এক মায়াময় ছায়ায় ঢাকা। কিছু আসবাবপত্র দেখা যাচ্ছে আবছা আলোয়। অভ্যাসবসে হাত বাড়িয়ে ও ওর মোবাইল খুঁজে পায়না। ঘুমের আস্তরণ ভেদ করে কয়েকটা ...

আরও পড়ুন

আশ্রয়

20 July, 2024 - 11:45:00 AM

সুতপন চট্টোপাধ্যায় বিশিষ্ট লেখক আলাসিন বাস স্ট্যান্ডে নেমে ব্যাগ হাতে পশ্চিমমুখো হাঁটতে শুরু করল বিজয়া। ঝকঝকে সকাল গড়িয়ে দুপুরের তাপ বাড়বে বাড়বে করছে। সাড়ে দশটা কি এগারটা। বাস স্ট্যান্ডে তেমন লোকজন নেই। বর্ষা এখনও শুরু হয়নি। রাস্তার ধুলো উড়ছে হাল্কা হাওয়ায়। স্ট্যান্ডের স্টার্টার লোকটি বলল, কোন গাঁয়ে যাবেন দিদি? বিজয়া বলল, কেন বলুন তো? লোকটি বলল, না। ছাতা হাতে নেই তাই জিজ্ঞেস করছি। কাছাকাছি গ্রামে গেলে জিজ্ঞেস করতুম না। দূরে গেলে ছাতা লাগবে। যা কাটফাটা রোদ! বিজয়ার মনে পড়ল, তার সঙ্গে ছাতা নেই। মানুষটি ভাল। তাকে উত্তর সে লজ্জিত গলায় বলল, ছাতা নেই। পেলে তো ভাল হয়। মাধবপুর যাব। মাধবপুর? কার বাড়ি? জ

আরও পড়ুন

একদিন রাতে আমি আকাশ দেখিনু

27 June, 2024 - 11:55:00 AM

তপন বন্দোপাধ্যায় বিশিষ্ট লেখক পুব আকাশের একটি এলেবেলে নক্ষত্র যখন এক-পা এক-পা করে হেঁটে মধ্যরাতে পৌঁছে যায় ঠিক মাথার উপর, আমি আটতলা বাড়ির সিঁড়ি ভেঙে ছাদে পা রাখি। ছাদে আমার জন্য অপেক্ষা করছিল নিরাভরণ অমাবস্যা। তার স্পর্শ সমস্ত শরীরে শুষে নিতে আমি শুয়ে পড়ি চিৎ হয়ে। দু-চোখে আঁধার ফুঁড়ে ফেলতে থাকি তীব্র প্যাশনে। আঁধার পেরিয়ে পৌঁছে যাই মহাজগতের অনন্ত শূন্যতা অভিমুখে। চৈতন্যে তখন এক তুরীয় অনুভূতি। চোখ ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে মগ্ন নির্জনতা। কোথাও একটা রাতচরা পাখিও নেই যে ভেঙে ফেলবে নিকষ শব্দহীনতা। নিদ্রাহীন মধ্যরাতে শুধু মাথার উপরে প্ল্যানেটোরিয়ামের মতো বিশাল আকাশ। জ্বলছে নিভছে নক্ষত্রের দল আর চকমকি জ্ব

আরও পড়ুন

SUBSCRIBE TO NEWSLETTER

SUSCRIBETE