দেওয়াল ঘড়ি (দ্বিতীয় পর্ব)
27 December, 2024 - By Editor Role
26 December, 2024 - 11:30:00 AM
পলাশ বন্দোপাধ্যায় শিশু ও নবজাতক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, পশ্চিমবঙ্গ। এখন বাগবাজার বাটা যেখানে, তার ঠিক পিছনে কয়েক পুরুষ ধরে চলে আসা অধুনা সোনার কারবারি বিরূপাক্ষ বসাকের, গয়নার দোকান বসাক জুয়েলারি। সঙ্গে বাগান সমেত পুরোনো বনেদি বাড়ি। আজকের জাঁকজমকের যুগে ব্র্যান্ডেড জুয়েলারিগুলোর ঠাটবাটের কাছে এ দোকান জৌলুসহীন, যদিও একসময় এর খুব নামডাক ছিল। সে যুগে অভিজাত বাঙালি ও সাহেবসুবোরা স্ত্রী, বান্ধবীদের নিয়ে এখানে শুধু গয়না কিনতেই নয়, নিখাদ আড্ডা মারতেও আসতেন। পুরোনো কলকাতার ইতিহাস এমনটাই বলে। এখন বিরূপাক্ষর বয়স ষাট ছুঁই ছুঁই। শরীরের বাঁধন ভালোই। তিনিই শেষ বংশধর হিসেবে এই দোকানটি টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর একমাত
আরও পড়ুন11 December, 2024 - 11:30:00 AM
সৌম্যেন বসু শ্রুতিনাট্যকার, আকাশবাণী কলকাতার প্রাক্তন সহ-অধিকর্তা, পশ্চিমবঙ্গ। তোমারও একটা ধূসর বাল্য ছিল সুরথনাথ জন্মমাটির সীমানা ডিঙনোর আগে ৷ জানতে কি সে কথা? মেজাইরা বোঝেনি সেদিন নৈহাটির টালির ঘরে আকন্ঠ দারিদ্রে ডুবে নিজের নিয়তি লিখছিলে সাদায় কালোয় ৷ জীবনকে পোড়াতে পোড়াতে সেই অঙ্গারে জন্ম দিলে সাহিত্যের সজীব বর্ণমালা ৷ বড় প্রেমিক ছিলে তুমি ৷ বড় সুপুরুষ ৷ দারিদ্র কী প্রেমিক করে? তাই কি রক্ত-ঘামের সাথে ছিল তোমার লাল-মুষ্ঠি অঙ্গীকার? মানুষ দেখেছ জীবনভর মানুষ খুঁজেছ কুম্ভের মানব-সাগরে ৷ অমৃত আর গরলের অন্বেষায় কালকূট হয়েছ তুমি ৷ বড় বিতর্কিত ছিলে ৷ জীবনে, জীবন-লেখা
আরও পড়ুন4 December, 2024 - 11:15:00 AM
অপরাজিতা সেন ফরাসি সরকারের চাকুরীরতা, বিশিষ্ট লেখিকা, ফ্রান্স। প্রথম পর্বের পর... আমি রণজয়। পুলিশে চাকরি করি। দু'মাস আগে হাইওয়ের ওপর একটা দুর্ঘটনার তদন্ত করতে গিয়েছিলাম। গাড়িতে চারজন যাত্রী ছিল। তারা সবাই অল্প বিস্তর আহত কিন্তু কারো প্রাণসংশয় ছিল না। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার, গাড়ির চালক, সোমশঙ্কর ব্যানার্জিকে অকুস্থলে পাওয়া গেল না। অন্য যাত্রীরা কেউ কিছু বলতে পারল না। আমি গত দু'মাস ধরে তদন্ত চালিয়ে গেছি-কোনো গাড়ি সেইদিন সোমশঙ্করকে কোথাও লিফট দেয়নি। সোমশঙ্কর খুব সাধারণ ভদ্রলোক-আয়কর দপ্তরে কাজ করেন, যৌথ পরিবার, মা, দাদা, বৌদি, আর স্ত্রী-সবাই শোকে মুহ্যমান। তার একমাত্র শখ বেড়ানো-তিনি মাঝে মধ্যেই ব
আরও পড়ুন3 December, 2024 - 01:00:00 PM
অপরাজিতা সেন ফরাসি সরকারের চাকুরীরতা, বিশিষ্ট লেখিকা, ফ্রান্স। জানালা দিয়ে একটা তেরছা আলোর রেখা মোটা পর্দাগুলো ভেদ করে ঠিক সোমের চোখের ওপর এসে স্থির হলো। লেসার বিমের মত। চোখের পাতা ভেদ করে সোজা ঢুকে পড়ল ওর শরীরে, অনুসন্ধানী এক আলোর রেখা ওর অন্তরাত্মা পর্যন্ত পৌঁছে গেল যেন। আস্তে আস্তে চোখ খুলল সে। বড় অবসাদ। অলস দৃষ্টিতে দেখল চারটে দেয়াল, একটা বড় জানালা, একটা বিশাল কাঠের দরজা। জানালায় ভারি পর্দা টানা, ওই একটা আলোর রেখা কী ভাবে যেন ঢুকে পড়েছে। ঘরটা ওর অচেনা-কেমন এক মায়াময় ছায়ায় ঢাকা। কিছু আসবাবপত্র দেখা যাচ্ছে আবছা আলোয়। অভ্যাসবসে হাত বাড়িয়ে ও ওর মোবাইল খুঁজে পায়না। ঘুমের আস্তরণ ভেদ করে কয়েকটা ...
আরও পড়ুন20 July, 2024 - 11:45:00 AM
সুতপন চট্টোপাধ্যায় বিশিষ্ট লেখক আলাসিন বাস স্ট্যান্ডে নেমে ব্যাগ হাতে পশ্চিমমুখো হাঁটতে শুরু করল বিজয়া। ঝকঝকে সকাল গড়িয়ে দুপুরের তাপ বাড়বে বাড়বে করছে। সাড়ে দশটা কি এগারটা। বাস স্ট্যান্ডে তেমন লোকজন নেই। বর্ষা এখনও শুরু হয়নি। রাস্তার ধুলো উড়ছে হাল্কা হাওয়ায়। স্ট্যান্ডের স্টার্টার লোকটি বলল, কোন গাঁয়ে যাবেন দিদি? বিজয়া বলল, কেন বলুন তো? লোকটি বলল, না। ছাতা হাতে নেই তাই জিজ্ঞেস করছি। কাছাকাছি গ্রামে গেলে জিজ্ঞেস করতুম না। দূরে গেলে ছাতা লাগবে। যা কাটফাটা রোদ! বিজয়ার মনে পড়ল, তার সঙ্গে ছাতা নেই। মানুষটি ভাল। তাকে উত্তর সে লজ্জিত গলায় বলল, ছাতা নেই। পেলে তো ভাল হয়। মাধবপুর যাব। মাধবপুর? কার বাড়ি? জ
আরও পড়ুন27 June, 2024 - 11:55:00 AM
তপন বন্দোপাধ্যায় বিশিষ্ট লেখক পুব আকাশের একটি এলেবেলে নক্ষত্র যখন এক-পা এক-পা করে হেঁটে মধ্যরাতে পৌঁছে যায় ঠিক মাথার উপর, আমি আটতলা বাড়ির সিঁড়ি ভেঙে ছাদে পা রাখি। ছাদে আমার জন্য অপেক্ষা করছিল নিরাভরণ অমাবস্যা। তার স্পর্শ সমস্ত শরীরে শুষে নিতে আমি শুয়ে পড়ি চিৎ হয়ে। দু-চোখে আঁধার ফুঁড়ে ফেলতে থাকি তীব্র প্যাশনে। আঁধার পেরিয়ে পৌঁছে যাই মহাজগতের অনন্ত শূন্যতা অভিমুখে। চৈতন্যে তখন এক তুরীয় অনুভূতি। চোখ ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে মগ্ন নির্জনতা। কোথাও একটা রাতচরা পাখিও নেই যে ভেঙে ফেলবে নিকষ শব্দহীনতা। নিদ্রাহীন মধ্যরাতে শুধু মাথার উপরে প্ল্যানেটোরিয়ামের মতো বিশাল আকাশ। জ্বলছে নিভছে নক্ষত্রের দল আর চকমকি জ্ব
আরও পড়ুন20 June, 2024 - 01:15:00 PM
পলাশ বন্দোপাধ্যায় বিশিষ্ট লেখক, পশ্চিমবঙ্গ কদিন ধরে ঘুষঘুষে জ্বর, মাথা ঘোরা, গা-হাত-পা ব্যথা, দুর্বলতা চলছিল। সে সব উপেক্ষা করে প্যারাসিটামল খেয়ে কোনও মতে অফিসটা করছিলেন তিনি। কিন্তু আজ সন্ধ্যেবেলা কাজে এসে শরীরটা হঠাৎ করে বেশি খারাপ হওয়াতে আর পেরে উঠলেন না। রাতের ডিউটি শিফ্ট অফ করে বাড়ি ফেরা মনস্থ করলেন দ্বারিকানাথ ভর্চাজ। শেয়ালদার এক আই.টি. অফিসে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করেন। বলতে গেলে প্রায় জন্মলগ্ন থেকে। বয়স পঞ্চাশের কোঠায়। হার্টের ব্যামো। সে কারণে মাঝে মধ্যে প্যালপিটেশন হয়। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে হঠাৎ হঠাৎ করে চোখে অন্ধকার দেখে মাথা হালকা হয়ে পড়ে যাবার উপক্রমও হয়। কার্ডিওলজিস্ট বলেছেন, 'ব্ল্
আরও পড়ুন18 May, 2024 - 11:45:00 AM
আজ ২০২০-র ইংরেজির উনিশে মে। ঠিক ঊনষাট বছর আগে অর্থাৎ ১৯৬১ সালের ১৯মে ছিল বাঙালির জাতীয় জীবনে এক রক্তস্নাত দিবস। বাঙালিকে ভাবতে হয়েছিল, অনুসন্ধান করতে হয়েছিল তার প্রকৃত পরিচয়ের ভিত্তিটা কি?
আরও পড়ুন26 August, 2023 - 12:30:00 PM
সাহিত্যের বিচারে ও বাঙালির ধারণায় সংস্কৃতি ও সৌন্দর্যবোধ
আরও পড়ুন