সত্যিকার স্বরূপে নজরুল
26 May, 2019 - By Bangla WorldWide
22 May, 2019 - 11:50:00 PM
নোবেলটা চুরি গেছে – হয়েছেটা কি ! গীতাঞ্জলি কি গিয়েছে চুরি ? নাইট তো ফিরিয়েই দিয়েছিলে নৃশংস জেনোসাইডের প্রতিবাদে – তোমার কলমে ঝরে পড়েছে সমাজের কত আর্তি , কত হাহাকার- তাই তুমি ফিরে আসো প্রতি পলে অনুপলে বারবার ।
আরও পড়ুন9 May, 2019 - 09:25:00 AM
আমার রবীন্দ্রনাথ বললেই মনে হয় কি গুরু গম্ভীর লেখাটাই না লিখবো । কবি এইরকম বুকের মধ্যে সারোঙ বাজিয়েছেন, আমি আপ্লূত, দিন দুই ট্রান্স এর মধ্যে আছি - তা নয় কিন্তু ।
আরও পড়ুন17 April, 2019 - 02:15:00 PM
একটা আস্ত গ্রাম যে এমন রঙিন হতে পারে, তা নিজের চোখে না দেখলে আপনার বিশ্বাসই হবে না। সেই গ্রামের সকলেই শিল্পী। তাই প্রত্যেকের নামের সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে ‘চিত্রকর’ শব্দটি। এই বাংলার সংস্কৃতিকে পটচিত্রে ধরে রাখা গ্রামটির অবস্থান পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায়। নয়াগ্রাম। বাংলার পটশিল্পকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়া এক নাম। নয়াগ্রামের প্রতিটি ঘরের দেওয়াল, দালান চিত্রিত। নয়াগ্রামে পা রাখলেই আপনার চোখে শুধুই ফুটে উঠবে পটচিত্রে রঙিন, বর্ণময় বাংলার ইতিহাস, পুরাণ, সংস্কৃতি। পটচিত্র শুধু ছবি আঁকাই নয়, তার সঙ্গে থাকে পটের গানও। শিল্পীরা আগে গান বাঁধেন। তার পরে সেই গানের দৃশ্য আঁকা হয়। এক সময়ে গান লেখা ও ছবি আঁকা
আরও পড়ুন13 April, 2019 - 11:40:00 PM
অধ্যাপক পবিত্র সরকার, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য বাংলা সন (‘সন’ কথাটা আরবি, যেমন ‘সাল’ কথাটা ফারসি) কীভাবে তৈরি হল তা নিয়ে বিতর্ক, অর্থাৎ একাধিক মত আছে—তার কোনওটাই কোনও অভ্রান্ত আর নিঃসন্দেহ প্রমাণ উপস্থিত করে না। একটা ‘দেশপ্রেমিক’মত হল যে, এই তারিখ বা ক্যালেন্ডার বাঙালি রাজা শশাঙ্ক চালু করেছিলেন তাঁর রাজত্বপ্রতিষ্ঠার (৫৯৩ খ্রিস্টাব্দ) স্মারক হিসেবে। কিন্তু এ সংক্রান্ত ঘোষণার কোনও সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই, ফলে ঐতিহাসিকেরা তা গ্রহণ করতে পারেননি। যার থেকে বাংলায় বছর কেন আরবি ‘সন’ বা ফারসি ‘সাল’ কথার সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেল তারও ব্যাখ্যা আমরা পাই না। বছরটা বাংলা, অথচ ওই কথাগুলি আরবি-...
আরও পড়ুন11 April, 2019 - 02:10:00 PM
শিরা ফুলে ওঠে গলার। গান ধরবে? শিরা কুট করে কেটে দিলে। গান মরবে।
আরও পড়ুন5 April, 2019 - 03:35:00 PM
সুহিতা সুলতানা পথ তো পথের মতন, যারা হাঁসকলে আটকা পড়েছে চৌহদ্দীর মধ্যে তাদের উচ্চতা কতটুকু? জ্ঞানশূন্য ও লোভী মানুষের পাশে অবশেষে কেউ থাকে না! চলো যাই পাখিদের গ্রামে! ছুঁয়ে দেখি অস্তিত্বের সমূহজল; মেঘের দুপুরে অপার শূন্যতা মনে করিয়ে দেয় রক্তাক্ত দিনের কথা! গোধূলিলগ্নে যখন আমাদের গাড়ি বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ হয়ে বাড়ি ফিরছিল তখন চারদিকে আনন্দ ও বিষাদের উল্লাস ছিল। পথজুড়ে স্মৃতির ক্রন্দন অভিন্ন হৃদয়ের কাছে নিয়ে যায়। সেদিন সামান্য লোকও অসামান্য হয়ে তর্জনী উঁচিয়ে ধরেছিল। অনন্ত স্বপ্নের ভেতরে শত্রুর কোনো চিহ্ন মাত্র নেই। রাতের চাঁদ হেলে পড়েছে আশ্বিনের বারান্দায়...
আরও পড়ুন30 March, 2019 - 12:10:00 PM
লেখক শান্তনু সরস্বতী হস্টেলে যখন ফিরলো, তখন রাত এগারোটা। অনন্যা ওকে পৌঁছে দিয়ে বিদ্যুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিল। শুধু যাওয়ার আগে কাঁচ নামিয়ে বললো, "বাড়িতে পৌঁছে একটু ফ্রেশ হয়ে ফোন করবো তোমাকে। অসুবিধা নেই তো?" অরিত্র মাথা নেড়ে সায় দিয়ে বললো, "জেগে থাকবো।" অনন্যার ফোন এসেছিল যখন, তখন রাত পৌনে বারোটা। দু একটা কথা বলে অরিত্রকে ঘুমিয়ে পড়তে বললো অনন্যা। কিন্তু অরিত্রর কিছুতেই ঘুম আসছিল না। চোখ বুজলেই অনন্যার মুখটা, হাসিটা মনে পড়ে যাচ্ছিল। সামলাতে পারছিল না নিজেকে। নিজেকে দেখে আজ নিজেরই কেমন যেন অবাক লাগছিল ওর। এক দিকে যেমন একটা অজানা আনন্দ চেপে বসেছিল মনের মধ্যে, অন্য দিকে ঠিক তেম
আরও পড়ুন29 March, 2019 - 05:45:00 PM
লেখাটি ত্রিপুরার প্রয়াত মীরা ঘোষের 'দিনলিপি' থেকে গৃহীত মনে পড়ছে ১৯৭১ সালের কথা। সারা ত্রিপুরা উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছে। প্রতিদিন রেডিওতে কান লাগিয়ে শোনা অত্যন্ত ক্ষীণ ব্রডকাস্টে প্রচারিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ঘোষণা পল্লবিত হয়ে মুখে মুখে ছড়িয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধ আর যুদ্ধ। যেন আমরাই স্বাধীনতার লড়াই লড়ছি। আমাদের সামনের উঠোনে ট্রেঞ্চ, সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ঘুরে ঘুরে যাচ্ছে। একটুও অসাবধান থাকবার জো নেই। আমাদের স্যার কিন্তু পাকিস্তানের পরাজয় সম্বন্ধে নিশ্চিত জেনেও সাইরেন বাজলেই সবার আগে ট্রেঞ্চের ভেতরে ঢুকে যেতেন। সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা তো সেরকমই বলেছে। কিন্তু ভেতরে ঢুকে গেলে তো বাইরের আকাশে ক
আরও পড়ুন29 March, 2019 - 02:25:00 PM
বলাকা দত্ত কই, রোদ তো তেমন উঠলো না,গুঁড়ো গুঁড়ো আলোর রেণু আমার গায়ে ছড়িয়ে পড়লো না;আশা ছিল, চোখ মেলেই দেখতে পাবো তোমায়দাঁড়িয়ে আছো আমার মাথার পাশে-আলোয় আলো হয়ে উঠেছে পূবদিকতুমি ক্রমাগত ঝুঁকে পড়ছো আমার দিকে,আর আমি, ভেসে যাচ্ছি বয়ে চলেছি ডুবে যাচ্ছিকী এক অসহ্য সুখে!! কোথায় পার কোথায় মান্দাস!! গতকাল নিমের ডালে, ঠিক যেখানে রোদ বসেছিলআজও সেই সময় একইভাবে বসে আছে ওই ডালে,নতুন বছরের প্রথম দিনে, ওরও তো ইচ্ছে হয়পা ছড়িয়ে গা এলিয়ে দিতেনরম বুকের আদুরে আঁচে একটু জরিয়ে মরিয়ে থাকতে!নতুন! নতুন! আর নতুন! বলতে পারো কিসের নতুন!বাঁধাধরা রোদ নিমের ডালেবছর আসে, বছর ঘুরে যায় আমার সমস্ত পূবদিক আড়াল করেস্থির দাঁড়িয়ে আছো ত
আরও পড়ুন29 March, 2019 - 11:55:00 AM
অমিতাভ কর চারদিকে বড় বেশী ভীড়, কোলাহল, নৈঃশব্দ ফোটানো এক সুকঠিন কাজ। একদিন সমুদ্র গর্জনে মুগ্ধ হয়ে পরে বুঝতে পেরেছি গর্জনে কবিতা নেই, কবিতা রয়েছে অনুচ্চ শিশিরপতনের শব্দে, ঘাসের ভেতর। কথা শেষ হলে পড়ে থাকে সাদা পৃষ্ঠা, তখনই বুঝতে পারি, সব কাগজের লেখা মুছে দিলে শ্রেষ্ঠ পদ্য লেখা হবে। অথচ বিভ্রান্ত নীরবতাআমাদের থেকে একা, দূরে বসে আছে।
আরও পড়ুন