ধারাবাহিক উপন্যাস: টিউশন (চতুর্থ পর্ব)
30 March, 2019 - By Bangla WorldWide
29 March, 2019 - 05:45:00 PM
লেখাটি ত্রিপুরার প্রয়াত মীরা ঘোষের 'দিনলিপি' থেকে গৃহীত মনে পড়ছে ১৯৭১ সালের কথা। সারা ত্রিপুরা উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছে। প্রতিদিন রেডিওতে কান লাগিয়ে শোনা অত্যন্ত ক্ষীণ ব্রডকাস্টে প্রচারিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ঘোষণা পল্লবিত হয়ে মুখে মুখে ছড়িয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধ আর যুদ্ধ। যেন আমরাই স্বাধীনতার লড়াই লড়ছি। আমাদের সামনের উঠোনে ট্রেঞ্চ, সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ঘুরে ঘুরে যাচ্ছে। একটুও অসাবধান থাকবার জো নেই। আমাদের স্যার কিন্তু পাকিস্তানের পরাজয় সম্বন্ধে নিশ্চিত জেনেও সাইরেন বাজলেই সবার আগে ট্রেঞ্চের ভেতরে ঢুকে যেতেন। সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা তো সেরকমই বলেছে। কিন্তু ভেতরে ঢুকে গেলে তো বাইরের আকাশে ক
আরও পড়ুন29 March, 2019 - 02:25:00 PM
বলাকা দত্ত কই, রোদ তো তেমন উঠলো না,গুঁড়ো গুঁড়ো আলোর রেণু আমার গায়ে ছড়িয়ে পড়লো না;আশা ছিল, চোখ মেলেই দেখতে পাবো তোমায়দাঁড়িয়ে আছো আমার মাথার পাশে-আলোয় আলো হয়ে উঠেছে পূবদিকতুমি ক্রমাগত ঝুঁকে পড়ছো আমার দিকে,আর আমি, ভেসে যাচ্ছি বয়ে চলেছি ডুবে যাচ্ছিকী এক অসহ্য সুখে!! কোথায় পার কোথায় মান্দাস!! গতকাল নিমের ডালে, ঠিক যেখানে রোদ বসেছিলআজও সেই সময় একইভাবে বসে আছে ওই ডালে,নতুন বছরের প্রথম দিনে, ওরও তো ইচ্ছে হয়পা ছড়িয়ে গা এলিয়ে দিতেনরম বুকের আদুরে আঁচে একটু জরিয়ে মরিয়ে থাকতে!নতুন! নতুন! আর নতুন! বলতে পারো কিসের নতুন!বাঁধাধরা রোদ নিমের ডালেবছর আসে, বছর ঘুরে যায় আমার সমস্ত পূবদিক আড়াল করেস্থির দাঁড়িয়ে আছো ত
আরও পড়ুন29 March, 2019 - 11:55:00 AM
অমিতাভ কর চারদিকে বড় বেশী ভীড়, কোলাহল, নৈঃশব্দ ফোটানো এক সুকঠিন কাজ। একদিন সমুদ্র গর্জনে মুগ্ধ হয়ে পরে বুঝতে পেরেছি গর্জনে কবিতা নেই, কবিতা রয়েছে অনুচ্চ শিশিরপতনের শব্দে, ঘাসের ভেতর। কথা শেষ হলে পড়ে থাকে সাদা পৃষ্ঠা, তখনই বুঝতে পারি, সব কাগজের লেখা মুছে দিলে শ্রেষ্ঠ পদ্য লেখা হবে। অথচ বিভ্রান্ত নীরবতাআমাদের থেকে একা, দূরে বসে আছে।
আরও পড়ুন28 March, 2019 - 02:15:00 PM
ঋজুরেখ চক্রবর্তী পুরনো সিন্দুক খুলে, মাঝেমাঝে, ছুঁয়ে দেখি অস্ত্রের গরিমা। আমাদের উপযুক্ত ভাষা কোনও জানা নেই সুখ বর্ণনার, শুধু এক বোধগম্য বিষণ্ণতা আছে। আর আছে বিদ্বেষের পুণ্যতোয়া জলসত্রগুলি, একচ্ছত্র ক্ষমতার মতো। তন্বী বারাঙ্গনা─যার ভরা সাঁঝে টহলদারের বাঁশি কানে এলে বমির উদ্রেক হয়─সেও ক্রমিক সংখ্যার চেয়ে বড় ভাবে চৌষট্টি কলার স্তবগান। শিল্পসুষমার কাছে এতদূর ঋণী, আহা, নশ্বরের ইন্দ্রিয়পরতা! সুনির্মিত তথ্যচিত্রে দাবানল দৃশ্য দেখে বুঝি এককালে আমাদেরও নিজস্ব অরণ্য কিছু ছিল।
আরও পড়ুন26 March, 2019 - 05:55:00 PM
সেটি ছিল ১৯৭১ সালের মার্চ মাস। প্রকৃতিতে উদাস বসন্তের ছোঁয়া। কিন্তু ভারতের উত্তরপূর্ব প্রান্তে, তিন দিকে পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্তের মাঝে, পাহাড় এবং বনভূমি দিয়ে ঘেরা শ্যামল, শোভন ত্রিপুরা রাজ্যে সেবারের বাতাসে ফুল নয়, ছিল বারুদের গন্ধ।
আরও পড়ুন25 March, 2019 - 04:15:00 PM
লেখক শান্তনু সরস্বতী --"কী অভদ্র ছেলে রে বাবা। সেই থেকে জানালার কাঁচ দিয়ে দেখে চলেছে। একটা শব্দ নেই মুখ থেকে। এটা কি ট্যাক্সি, না আমি তোর ড্রাইভার?" অনন্যার গলার আওয়াজে ঘোর কাটলো অরিত্রর। একটু থতমত খেয়ে বলে উঠলো, "না মানে কী বলবো, তাই ভাবছিলাম। আমরা তো সহপাঠী। এর বেশি তো কিছুই জানি না। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে কথাও তো হয়নি কখনও। তাই ভাবছিলাম।" " হমম। বুঝলাম। আচ্ছা কথা না বলে কী করে চুপ থাকতে হয়, শিখিয়ে দিবি?" বলেই হেসে উঠলো অনন্যা। "শোন, আমার তোকে ভাললাগে। আমাকে তোর ভাললাগে ?" অরিত্র নিজের কপালে হাত দিয়ে বুঝতে পারলো, জ্বর আসছে। শরীরটা কেমন যেন ভারী লাগছে। পা দুটো অবশ হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। কী বলবে ...
আরও পড়ুন24 March, 2019 - 09:55:00 AM
বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতে নক্ষত্র পতন ঘটল। নিজের বাসভবন বারিধারায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন শাহনাজ রহমতউল্লাহ। বয়স হয়েছিল ৬৫। রেখে গেলেন স্বামী, পুত্র এবং কন্যাকে। শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন শিল্পী। শনিবার রাত সাড়ে এগারোটায় মারা গেলেন তিনি। বাংলাদেশের গানের জগতে অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম শাহনাজ রহমতউল্লাহ। ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। দশ বছর বয়সে গান শুরু করেন। শিশু-শিল্পী হিসেবেই গান করেন চলচ্চিত্র, টেলিভিশন আর বেতারে। পরবর্তীকালে গজলসম্রাট মেহেদি হাসানের শিষ্যা হয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশের দেশাত্মবোধক গানের কথা বলতে হলে, সবার আগেই চলে আসে শাহনাজ রহমতউল্লাহর নাম। তাঁর ভাই আনোয়ার পারভেজ ছিলেন
আরও পড়ুন23 March, 2019 - 03:50:00 PM
Among the dozens of festivals that Indians celebrate every year, Holi stands out as one that has the least quota of scriptures and the maximum dosage of wanton fun.
আরও পড়ুন15 March, 2019 - 04:20:00 PM
নজরুল ইসলাম। শিক্ষাবিদ ও শিল্প সমালোচক (বাংলাদেশ) বাংলাদেশের আধুনিক চিত্রকলার বয়স মাত্র ৬৬ বছর, তার মধ্যে স্বাধীনতার পূর্বকালের ২২ বছর এবং স্বাধীনতা উত্তর ৪৪ বছর। ১৯৪৮ সনে ঢাকায় প্রথম চারুকলা ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আধুনিক চিত্রকালার যাত্রা শুরু হয়েছিল। এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন জয়নুল আবেদিন, তখন এক তরুণ খ্যাতিমান শিল্পী। একটি ধর্ম-ভিত্তিক নব্য স্বাধীন রাষ্ট্র পাকিস্তানের রক্ষণশীল সমাজে একটি চারুকলা ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠা রীতিমত বিপ্লবাত্মক ঘটনা। জয়নুল আবেদিন ও তাঁর সহযোগীদের অদম্য উৎসাহ তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব করেছিল। একাজে তাঁদের সহায়তা করেছিলেন বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ ডঃ মুহম
আরও পড়ুন13 March, 2019 - 01:40:00 PM
রীণা দেব। প্রাক্তন ব্যাঙ্ক অফিসার ও আবৃত্তিকারটিভিতে কমলিনীর রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনলাম। বেশির ভাগই বসন্তের গান এবং প্রেমের গান। কমলিনী আমার খুব প্রিয় শিল্পী। ওঁর গান আমাকে প্রতিদিনের ধূলি- মলিনতা থেকে তুলে কোথায় যে নিয়ে গেল। মনে হল নীল আকাশে পাখির মতো দু- ডানা মেলে উড়ছি আর উড়ছি। "এই আকাশে আমার মুক্তি আলোয় আলোয়"। আমার ভার লঘু হয়ে গেছে। চারদিকে উজ্জ্বল রোদ। " নীল দিগন্তে" " আলোকের ঝর্ণাধারায়" সব তুচ্ছতা, সব মলিনতা, সব স্বার্থপরতা, প্রাত্যহিকতার গ্লানি ধুয়ে মুছে নির্মল হয়ে উঠেছে। একমাত্র শিল্পই পারে মানুষকে এই উদাস আনন্দ দিতে। আমি দু- ডানা মেলে ওপরে, আরও ওপরে উঠে যাচ্ছি। কিছুক্ষণ এই ভাসমান অবস্থায় ...
আরও পড়ুন