জীবনচর্যায় পটচিত্র, বাংলার বুকে পটে আঁকা গ্রাম
17 April, 2019 - By Bangla WorldWide
13 April, 2019 - 11:40:00 PM
অধ্যাপক পবিত্র সরকার, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য বাংলা সন (‘সন’ কথাটা আরবি, যেমন ‘সাল’ কথাটা ফারসি) কীভাবে তৈরি হল তা নিয়ে বিতর্ক, অর্থাৎ একাধিক মত আছে—তার কোনওটাই কোনও অভ্রান্ত আর নিঃসন্দেহ প্রমাণ উপস্থিত করে না। একটা ‘দেশপ্রেমিক’মত হল যে, এই তারিখ বা ক্যালেন্ডার বাঙালি রাজা শশাঙ্ক চালু করেছিলেন তাঁর রাজত্বপ্রতিষ্ঠার (৫৯৩ খ্রিস্টাব্দ) স্মারক হিসেবে। কিন্তু এ সংক্রান্ত ঘোষণার কোনও সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই, ফলে ঐতিহাসিকেরা তা গ্রহণ করতে পারেননি। যার থেকে বাংলায় বছর কেন আরবি ‘সন’ বা ফারসি ‘সাল’ কথার সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেল তারও ব্যাখ্যা আমরা পাই না। বছরটা বাংলা, অথচ ওই কথাগুলি আরবি-...
আরও পড়ুন11 April, 2019 - 02:10:00 PM
শিরা ফুলে ওঠে গলার। গান ধরবে? শিরা কুট করে কেটে দিলে। গান মরবে।
আরও পড়ুন5 April, 2019 - 03:35:00 PM
সুহিতা সুলতানা পথ তো পথের মতন, যারা হাঁসকলে আটকা পড়েছে চৌহদ্দীর মধ্যে তাদের উচ্চতা কতটুকু? জ্ঞানশূন্য ও লোভী মানুষের পাশে অবশেষে কেউ থাকে না! চলো যাই পাখিদের গ্রামে! ছুঁয়ে দেখি অস্তিত্বের সমূহজল; মেঘের দুপুরে অপার শূন্যতা মনে করিয়ে দেয় রক্তাক্ত দিনের কথা! গোধূলিলগ্নে যখন আমাদের গাড়ি বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ হয়ে বাড়ি ফিরছিল তখন চারদিকে আনন্দ ও বিষাদের উল্লাস ছিল। পথজুড়ে স্মৃতির ক্রন্দন অভিন্ন হৃদয়ের কাছে নিয়ে যায়। সেদিন সামান্য লোকও অসামান্য হয়ে তর্জনী উঁচিয়ে ধরেছিল। অনন্ত স্বপ্নের ভেতরে শত্রুর কোনো চিহ্ন মাত্র নেই। রাতের চাঁদ হেলে পড়েছে আশ্বিনের বারান্দায়...
আরও পড়ুন30 March, 2019 - 12:10:00 PM
লেখক শান্তনু সরস্বতী হস্টেলে যখন ফিরলো, তখন রাত এগারোটা। অনন্যা ওকে পৌঁছে দিয়ে বিদ্যুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিল। শুধু যাওয়ার আগে কাঁচ নামিয়ে বললো, "বাড়িতে পৌঁছে একটু ফ্রেশ হয়ে ফোন করবো তোমাকে। অসুবিধা নেই তো?" অরিত্র মাথা নেড়ে সায় দিয়ে বললো, "জেগে থাকবো।" অনন্যার ফোন এসেছিল যখন, তখন রাত পৌনে বারোটা। দু একটা কথা বলে অরিত্রকে ঘুমিয়ে পড়তে বললো অনন্যা। কিন্তু অরিত্রর কিছুতেই ঘুম আসছিল না। চোখ বুজলেই অনন্যার মুখটা, হাসিটা মনে পড়ে যাচ্ছিল। সামলাতে পারছিল না নিজেকে। নিজেকে দেখে আজ নিজেরই কেমন যেন অবাক লাগছিল ওর। এক দিকে যেমন একটা অজানা আনন্দ চেপে বসেছিল মনের মধ্যে, অন্য দিকে ঠিক তেম
আরও পড়ুন29 March, 2019 - 05:45:00 PM
লেখাটি ত্রিপুরার প্রয়াত মীরা ঘোষের 'দিনলিপি' থেকে গৃহীত মনে পড়ছে ১৯৭১ সালের কথা। সারা ত্রিপুরা উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছে। প্রতিদিন রেডিওতে কান লাগিয়ে শোনা অত্যন্ত ক্ষীণ ব্রডকাস্টে প্রচারিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ঘোষণা পল্লবিত হয়ে মুখে মুখে ছড়িয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধ আর যুদ্ধ। যেন আমরাই স্বাধীনতার লড়াই লড়ছি। আমাদের সামনের উঠোনে ট্রেঞ্চ, সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ঘুরে ঘুরে যাচ্ছে। একটুও অসাবধান থাকবার জো নেই। আমাদের স্যার কিন্তু পাকিস্তানের পরাজয় সম্বন্ধে নিশ্চিত জেনেও সাইরেন বাজলেই সবার আগে ট্রেঞ্চের ভেতরে ঢুকে যেতেন। সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা তো সেরকমই বলেছে। কিন্তু ভেতরে ঢুকে গেলে তো বাইরের আকাশে ক
আরও পড়ুন29 March, 2019 - 02:25:00 PM
বলাকা দত্ত কই, রোদ তো তেমন উঠলো না,গুঁড়ো গুঁড়ো আলোর রেণু আমার গায়ে ছড়িয়ে পড়লো না;আশা ছিল, চোখ মেলেই দেখতে পাবো তোমায়দাঁড়িয়ে আছো আমার মাথার পাশে-আলোয় আলো হয়ে উঠেছে পূবদিকতুমি ক্রমাগত ঝুঁকে পড়ছো আমার দিকে,আর আমি, ভেসে যাচ্ছি বয়ে চলেছি ডুবে যাচ্ছিকী এক অসহ্য সুখে!! কোথায় পার কোথায় মান্দাস!! গতকাল নিমের ডালে, ঠিক যেখানে রোদ বসেছিলআজও সেই সময় একইভাবে বসে আছে ওই ডালে,নতুন বছরের প্রথম দিনে, ওরও তো ইচ্ছে হয়পা ছড়িয়ে গা এলিয়ে দিতেনরম বুকের আদুরে আঁচে একটু জরিয়ে মরিয়ে থাকতে!নতুন! নতুন! আর নতুন! বলতে পারো কিসের নতুন!বাঁধাধরা রোদ নিমের ডালেবছর আসে, বছর ঘুরে যায় আমার সমস্ত পূবদিক আড়াল করেস্থির দাঁড়িয়ে আছো ত
আরও পড়ুন29 March, 2019 - 11:55:00 AM
অমিতাভ কর চারদিকে বড় বেশী ভীড়, কোলাহল, নৈঃশব্দ ফোটানো এক সুকঠিন কাজ। একদিন সমুদ্র গর্জনে মুগ্ধ হয়ে পরে বুঝতে পেরেছি গর্জনে কবিতা নেই, কবিতা রয়েছে অনুচ্চ শিশিরপতনের শব্দে, ঘাসের ভেতর। কথা শেষ হলে পড়ে থাকে সাদা পৃষ্ঠা, তখনই বুঝতে পারি, সব কাগজের লেখা মুছে দিলে শ্রেষ্ঠ পদ্য লেখা হবে। অথচ বিভ্রান্ত নীরবতাআমাদের থেকে একা, দূরে বসে আছে।
আরও পড়ুন28 March, 2019 - 02:15:00 PM
ঋজুরেখ চক্রবর্তী পুরনো সিন্দুক খুলে, মাঝেমাঝে, ছুঁয়ে দেখি অস্ত্রের গরিমা। আমাদের উপযুক্ত ভাষা কোনও জানা নেই সুখ বর্ণনার, শুধু এক বোধগম্য বিষণ্ণতা আছে। আর আছে বিদ্বেষের পুণ্যতোয়া জলসত্রগুলি, একচ্ছত্র ক্ষমতার মতো। তন্বী বারাঙ্গনা─যার ভরা সাঁঝে টহলদারের বাঁশি কানে এলে বমির উদ্রেক হয়─সেও ক্রমিক সংখ্যার চেয়ে বড় ভাবে চৌষট্টি কলার স্তবগান। শিল্পসুষমার কাছে এতদূর ঋণী, আহা, নশ্বরের ইন্দ্রিয়পরতা! সুনির্মিত তথ্যচিত্রে দাবানল দৃশ্য দেখে বুঝি এককালে আমাদেরও নিজস্ব অরণ্য কিছু ছিল।
আরও পড়ুন26 March, 2019 - 05:55:00 PM
সেটি ছিল ১৯৭১ সালের মার্চ মাস। প্রকৃতিতে উদাস বসন্তের ছোঁয়া। কিন্তু ভারতের উত্তরপূর্ব প্রান্তে, তিন দিকে পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্তের মাঝে, পাহাড় এবং বনভূমি দিয়ে ঘেরা শ্যামল, শোভন ত্রিপুরা রাজ্যে সেবারের বাতাসে ফুল নয়, ছিল বারুদের গন্ধ।
আরও পড়ুন25 March, 2019 - 04:15:00 PM
লেখক শান্তনু সরস্বতী --"কী অভদ্র ছেলে রে বাবা। সেই থেকে জানালার কাঁচ দিয়ে দেখে চলেছে। একটা শব্দ নেই মুখ থেকে। এটা কি ট্যাক্সি, না আমি তোর ড্রাইভার?" অনন্যার গলার আওয়াজে ঘোর কাটলো অরিত্রর। একটু থতমত খেয়ে বলে উঠলো, "না মানে কী বলবো, তাই ভাবছিলাম। আমরা তো সহপাঠী। এর বেশি তো কিছুই জানি না। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে কথাও তো হয়নি কখনও। তাই ভাবছিলাম।" " হমম। বুঝলাম। আচ্ছা কথা না বলে কী করে চুপ থাকতে হয়, শিখিয়ে দিবি?" বলেই হেসে উঠলো অনন্যা। "শোন, আমার তোকে ভাললাগে। আমাকে তোর ভাললাগে ?" অরিত্র নিজের কপালে হাত দিয়ে বুঝতে পারলো, জ্বর আসছে। শরীরটা কেমন যেন ভারী লাগছে। পা দুটো অবশ হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। কী বলবে ...
আরও পড়ুন