আশ্রয়
20 July, 2024 - By Editor Role
18 July, 2024 - 01:30:00 PM
কৃষ্ণা রায় অধ্যাপিকা ও লেখিকা প্রথম পর্বের পর... মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এম.বি. ডিগ্রি কাদম্বিনীর জীবনে অধরা-ই রয়ে গেল। আমল ব্রিটিশ আভিজাত্যে স্নাত অধ্যাপক ডা. রাজেন্দ্রচন্দ্র চন্দ্র কাদম্বিনীকে 'মিডওয়াইফারি' আর 'মেটিরিয়া মেডিকা'র মৌখিক পরীক্ষায় পরপর দুবার পাশের নম্বর দেননি। তবে কলেজের অধ্যক্ষ ড. কোটসের বদান্যতায় পেলেন জি বি এম এস ডিগ্রি। তাতেও কিছু হল না। কিছুদিন প্র্যাক্টিস করার পর বুঝলেন পরাধীন দেশের নারী চিকিৎসকের যথাযথ সম্মান-প্রতিষ্ঠা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে পাওয়া যাবে না। পেতে হলে বিদেশী ডিগ্রি দরকার। তখন তাঁর পাঁচটি সন্তান জন্মে গেছে। কনিষ্ঠ প্রভাতচন্দ্র মাত্র দেড় বছরে
আরও পড়ুন18 July, 2024 - 11:30:00 AM
কৃষ্ণা রায় অধ্যাপিকা ও লেখিকা বেশ কয়েক বছর আগে সূচিত্রা ভট্টাচার্যের "অলীক সুখ" নামে একটি উপন্যাসের চলচ্চিত্রায়ণ হয়েছিল। গল্পের নায়ক অসম্ভব উচ্চকাঙ্খী এক চিকিৎসক। ছাত্রজীবনে অতি মেধাবী, কর্মজীবনে দক্ষ শল্য চিকিৎসক বলে সমাজে তিনি নন্দিত, সুপ্রতিষ্ঠিত। কিন্তু উচ্চকাঙ্খার দৌড় শুরু করে বিবেক বিসর্জন না দিয়ে তাঁর উপায় ছিল না। কেরিয়ারের এক ক্রান্তি লগ্নে, এই সফল চিকিৎসকের সুনাম যখন প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড়িয়ে, তখন তাঁর-ই এক একদা অধ্যাপক প্রশ্ন করেন, সারাদিন পাঁচটা চেম্বার, প্রতিটিতে গড়ে দশ জন পেশেন্ট, কতটা সময় তুমি দাও তাদের এক একজনকে? এই আপাত নিরীহ প্রশ্নটি থেকেই ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত ভা
আরও পড়ুন16 July, 2024 - 01:30:00 PM
ড: দেবদূত ঘোষঠাকুর আনন্দবাজার পত্রিকার প্রাক্তন চিফ রিপোর্টার ও লেখক মনে কর যেনহেলিকপ্টারে চেপে যাচ্ছি আমি কিলোমিটার মেপে।তুমি তখন মেঘের ভেলায় বসে যাচ্ছ যেন আমার পাশে পাশে। উঠে এসি বাসে চোখে যেন অনেক স্বপ্ন ঘুরেফিরে আসে ভুল করে তাই হাতটা গেল থেকে সুইং ডোরটা হুড়মুড়িয়ে আসে। তুমি তখন জানলাখানি খুলে ভাবতে ছিলে আমার কথাখানি। আমি তখন কাঁপছি থেঁতলে গেছে আমার হাতখানি। গলগলিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসে, আমি তখন মরছি ভীষণ ত্রাসে। আমি ভয়ে চোখটি বুজে রই, বুক ধড়ফড় প্রাণটা গেল এই। এমন সময় সকলে যায় সরে বলিষ্ঠ এক হাতআমায় ধরে এক ঝটকায় বসিয়ে দিল সিটে ভাবছি সব আঙুল গেল কেটে।। তুমি ভাবছো উঠলাম ঘুম দিয়ে ঘুম কোথায়? চিন্তা আ
আরও পড়ুন29 June, 2024 - 02:30:00 PM
স্বপন মুখোপাধ্যায়বিশিষ্ট লেখক ও গবেষণাধর্মী প্রাবন্ধিক প্রথম পর্বের পর... ১৮৫৮ তে বেলগাছিয়ার নাট্যশালায় যখন রামনারায়ণ তর্করত্নের 'রত্নাবলী' নাটকটি ইংরেজিতে অনুবাদ করে প্রকাশ করার কথা ভাবা হল তখন গৌরদাস বসাক পুলিশ কোর্টের কর্মী মধুসূদনের কথা ভাবলেন কেন? মধুসূদনের ইংরেজি ইংরেজি জ্ঞান সম্পর্কে কেউ অবিদিত নন কারণ তার Captive Ladie প্রকাশিত হয়ে গেছে কিন্তু শুধু ই কিন্তু শুধু ইংরেজি জ্ঞান থাকলেই তো অনুবাদ করা যাবে না, বাংলা এবং সংস্কৃতও জানা প্রয়োজন। গৌরদাস মধুসূদনের বাংলা জ্ঞান সম্পর্কে নিঃসন্দেহ না হলে পাইকপাড়ার রাজাদের মধুকে অনুবাদের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতেন না। কোন সন্দেহ নেই যে এরপর থে
আরও পড়ুন29 June, 2024 - 12:15:00 PM
স্বপন মুখোপাধ্যায় বিশিষ্ট লেখক ও গবেষণাধর্মী প্রাবন্ধিক শ্রীমধুসূদন বাংলার 'মাতৃ-ভাষা-রূপ খনি'র সন্ধান পান কবে? সেকি বিদেশে যাবার পর অর্থাৎ যখন তিনি ফ্রান্সের ভার্সেই শহরে, ১৮৬৫ তে? তখনি তিনি লেখেন তাঁর বিখ্যাত কবিতা 'বঙ্গভাষা'-হে বঙ্গ ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন। না, এই কবিতাটির জন্ম আরও চার বছর আগে। তখন তিনি বিদেশে আসেননি। ১৮৬১-তে যখন 'মেঘনাদবধ কাব্য' রচনা করেন তখনই তিনি একটি সনেট লেখেন, 'কবি-মাতৃভাষা'। এই কবিতাটি পরে পরিমার্জনা করে 'বঙ্গভাষা' নামে প্রকাশিত হয়। এই সনেটে তিনি লিখছেন,'নিজাগারে ছিল মোর অমূল্য রতন অগণ্য; তা সবে আমি অবহেলা করি...' অর্থাৎ কবি বঙ্গভাষার অমূল্য রত্নের আবিষ্কার করে নিজ প্
আরও পড়ুন27 June, 2024 - 11:55:00 AM
তপন বন্দোপাধ্যায় বিশিষ্ট লেখক পুব আকাশের একটি এলেবেলে নক্ষত্র যখন এক-পা এক-পা করে হেঁটে মধ্যরাতে পৌঁছে যায় ঠিক মাথার উপর, আমি আটতলা বাড়ির সিঁড়ি ভেঙে ছাদে পা রাখি। ছাদে আমার জন্য অপেক্ষা করছিল নিরাভরণ অমাবস্যা। তার স্পর্শ সমস্ত শরীরে শুষে নিতে আমি শুয়ে পড়ি চিৎ হয়ে। দু-চোখে আঁধার ফুঁড়ে ফেলতে থাকি তীব্র প্যাশনে। আঁধার পেরিয়ে পৌঁছে যাই মহাজগতের অনন্ত শূন্যতা অভিমুখে। চৈতন্যে তখন এক তুরীয় অনুভূতি। চোখ ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে মগ্ন নির্জনতা। কোথাও একটা রাতচরা পাখিও নেই যে ভেঙে ফেলবে নিকষ শব্দহীনতা। নিদ্রাহীন মধ্যরাতে শুধু মাথার উপরে প্ল্যানেটোরিয়ামের মতো বিশাল আকাশ। জ্বলছে নিভছে নক্ষত্রের দল আর চকমকি জ্ব
আরও পড়ুন20 June, 2024 - 01:15:00 PM
পলাশ বন্দোপাধ্যায় বিশিষ্ট লেখক, পশ্চিমবঙ্গ কদিন ধরে ঘুষঘুষে জ্বর, মাথা ঘোরা, গা-হাত-পা ব্যথা, দুর্বলতা চলছিল। সে সব উপেক্ষা করে প্যারাসিটামল খেয়ে কোনও মতে অফিসটা করছিলেন তিনি। কিন্তু আজ সন্ধ্যেবেলা কাজে এসে শরীরটা হঠাৎ করে বেশি খারাপ হওয়াতে আর পেরে উঠলেন না। রাতের ডিউটি শিফ্ট অফ করে বাড়ি ফেরা মনস্থ করলেন দ্বারিকানাথ ভর্চাজ। শেয়ালদার এক আই.টি. অফিসে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করেন। বলতে গেলে প্রায় জন্মলগ্ন থেকে। বয়স পঞ্চাশের কোঠায়। হার্টের ব্যামো। সে কারণে মাঝে মধ্যে প্যালপিটেশন হয়। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে হঠাৎ হঠাৎ করে চোখে অন্ধকার দেখে মাথা হালকা হয়ে পড়ে যাবার উপক্রমও হয়। কার্ডিওলজিস্ট বলেছেন, 'ব্ল্
আরও পড়ুন13 June, 2024 - 11:20:00 AM
সামিয়া মহসীন। বিশিষ্ট নাট্যকর্মী। বাঙালি তাঁর জাতিস্বত্বার শিকড় খুঁজতে বরাবরই অনুসন্ধানী। এই বঙ্গদেশে বাঙালি প্রাচীনকাল থেকেই বাঙলা ভাষাতেই কথা বলে এসেছে। আমরা এখন বাঙলা ভাষার যেই রূপ দেখছি। এটারই বা গোঁড়াপত্তন কবে হল। বিভিন্ন পাঠ্যগ্রন্থ পর্যালোচনা করে খ্রিস্টপূর্ব তিন হাজার বছর আগের ঋগ্বেদের 'ঐতরেয় আরণ্যক' গ্রন্থে প্রথম 'বঙ্গ' শব্দটির উল্লেখ পাওয়া যায়। এক কথায় যদি বলি তাহলে বলতে হয় যে বাঙালি জাতি যেমন শঙ্কর জনসমষ্টি, বাঙলা ভাষাও তেমনি শঙ্কর ভাষা। বর্তমান বাঙলা ভাষা প্রচলনের আগে গৌড় ও পুঞ্জের লোকেরা অসুর ভাষাভাষী ছিল বলে জানা যায়। এক সময় অসুর ভাষাভাষী লোকেরা ছিল সমগ্র প্রাচীন বঙ্গের লোক। অসু
আরও পড়ুন11 June, 2024 - 11:45:00 AM
বিশ্বজিৎ মতিলাল বরিষ্ঠ গণজ্ঞাপন আধিকারিক ও সাংবাদিক, পশ্চিমবঙ্গ সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বিদেশী ছবি "ওপেনহাইমার" শহরে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। অনেকেই ছবিটি দেখেছেন, আলোচনা করেছেন, লেখালেখিও হয়েছে। এই ছবিটির প্রেক্ষিতে একটি বাংলা বই জনমানসে ফিরে এলো। বইটির নাম "বিশ্বাসঘাতক", লেখক নারায়ণ সান্যাল। উনি বহুদিন আগে এই বইতে পরমাণু বোমা, তার আবিষ্কার, তার জনক এবং আরোও অনেক তথ্য একত্রিত করেছিলেন। নারায়ণ সান্যাল ছিলেন এক অনন্য প্রতিভাশালী মানুষ, পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ও নেশায় লেখক। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, গবেষণামূলক রচনা এ সবই ছিল তার করায়ত্ত। লেখক নারায়ণ সান্যালের চাইতেও আমার কাছে অনেক বড় করে ধরা দিয়
আরও পড়ুন30 May, 2024 - 01:05:00 PM
শান্তনু দত্ত চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক অবসরপ্রাপ্ত উপ তথ্য অধিকর্তা, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার। প্রথম পর্বের পর... ১৯১৪ সালের পর সেলুলার জেলের অভ্যন্তরে যে সংগ্রামের শুরু হয় তাতে পাঞ্জাবি ও শিখ বন্দীরা অসমসাহসের পরিচয় দেন। এঁরা প্রচন্ড বলশালী ব্যক্তি ছিলেন। জেলের ওই অল্প পরিমাণ অখাদ্যের ও কঠোর পরিশ্রমের বিরুদ্ধে এঁরা ক্রমাগত প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। ফলত নানা রকমের সাজা ও Penal diet। পাঞ্জাবের বিপ্লবীরা বলতেন এই সামান্য খাদ্য খেয়ে খিদেও মেটে না উপরক্ত আরও বেশি খিদে পায়। তাই তাঁরা অনেকেই খাওয়া ছেড়ে দেন। আড়াই তিন মন ওজনের এক একজন সর্দারজি বন্দীর ওজন কমে দাঁড়ায় ২৫ সের ৩০ সের। প্রথম থেকে ...
আরও পড়ুন