বরাক উপত্যকার মধুসূদন অনুসারী কবি রামকুমার নন্দী মজুমদার
17 December, 2024 - By Editor Role
11 December, 2024 - 11:30:00 AM
সৌম্যেন বসু শ্রুতিনাট্যকার, আকাশবাণী কলকাতার প্রাক্তন সহ-অধিকর্তা, পশ্চিমবঙ্গ। তোমারও একটা ধূসর বাল্য ছিল সুরথনাথ জন্মমাটির সীমানা ডিঙনোর আগে ৷ জানতে কি সে কথা? মেজাইরা বোঝেনি সেদিন নৈহাটির টালির ঘরে আকন্ঠ দারিদ্রে ডুবে নিজের নিয়তি লিখছিলে সাদায় কালোয় ৷ জীবনকে পোড়াতে পোড়াতে সেই অঙ্গারে জন্ম দিলে সাহিত্যের সজীব বর্ণমালা ৷ বড় প্রেমিক ছিলে তুমি ৷ বড় সুপুরুষ ৷ দারিদ্র কী প্রেমিক করে? তাই কি রক্ত-ঘামের সাথে ছিল তোমার লাল-মুষ্ঠি অঙ্গীকার? মানুষ দেখেছ জীবনভর মানুষ খুঁজেছ কুম্ভের মানব-সাগরে ৷ অমৃত আর গরলের অন্বেষায় কালকূট হয়েছ তুমি ৷ বড় বিতর্কিত ছিলে ৷ জীবনে, জীবন-লেখা
আরও পড়ুন6 December, 2024 - 11:30:00 AM
কৃষ্ণা রায় বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষা, লেখিকা, পশ্চিমবঙ্গ। প্রথম পর্বের পর... তবে গোলাম মুরশিদের লেখার সূত্র ধরে দুটি প্রশ্ন উঠে আসে। এই ঘটনার পর মধুসূদন আর কত দিন ইংরেজীতে কাব্য চর্চা করেছিলেন আর বাংলা সাহিত্য চর্চা কবে থেকে শুরু হল? মধুসূদনের রচনাবলী খুঁজে যা পাওয়া যাচ্ছে, ১৮৪১-৪২ সাল থেকে ইংরেজী ভাষায় তাঁর অজস্র কবিতার সম্ভার ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত বহমান ছিল। এরই মধ্যে ভিন্ন ধর্মগ্রহণ, জীবনযাত্রার পালাবদল ইত্যাদিতে কবিতা লেখা সাময়িকভাবে বন্ধ হলেও নিজের কবিকৃতি সম্বন্ধে আত্মবিশ্বাসে তিলমাত্র ভাটা পড়েনি। প্রথম কাব্যগ্রন্থ, প্রকাশিত হয়েছে ১৮৪৯ সালে, সাংবাদিকতা করছেন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। লিখে
আরও পড়ুন5 December, 2024 - 12:00:00 PM
কৃষ্ণা রায় বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষা, লেখিকা, পশ্চিমবঙ্গ। এবছরের ২৫ জানুয়ারি আমরা পেরিয়ে এলাম মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মের দু'শ বছর আর মৃত্যুর সার্ধ শতবর্ষ পেরিয়ে গেছে গত বছরের ২৯ জুন। আজও বাঙালি জনমানসে তিনি রয়ে গেছেন মায়ায়-মমতায় এবং কিছুটা উপেক্ষায়। মাইকেল কোনদিন বাংলা ভাষার কবি হয়ে উঠতে চাননি। আকৈশোর তার স্বপ্ন ছিল সেক্সপিয়র, মিল্টন, বায়রণের মতো ইংরেজ কবি হবেন। সমকালের বাংলা সাহিত্যের প্রতি কোন রকম একাত্মতা বোধ করেননি। ঘনিষ্ঠ বন্ধুবৃত্তে একাধিকবার আলোচনা প্রসঙ্গে বাংলা ভাষা ভুলে গেছি বলে বড়াই করে খুব আত্মপ্রসাদ লাভ করতেন। অথচ বাংলা ভাষা তিনি শিখেছেন শৈশবে মায়ের কাছে, গ্রামের পাঠশালায়
আরও পড়ুন4 December, 2024 - 11:15:00 AM
অপরাজিতা সেন ফরাসি সরকারের চাকুরীরতা, বিশিষ্ট লেখিকা, ফ্রান্স। প্রথম পর্বের পর... আমি রণজয়। পুলিশে চাকরি করি। দু'মাস আগে হাইওয়ের ওপর একটা দুর্ঘটনার তদন্ত করতে গিয়েছিলাম। গাড়িতে চারজন যাত্রী ছিল। তারা সবাই অল্প বিস্তর আহত কিন্তু কারো প্রাণসংশয় ছিল না। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার, গাড়ির চালক, সোমশঙ্কর ব্যানার্জিকে অকুস্থলে পাওয়া গেল না। অন্য যাত্রীরা কেউ কিছু বলতে পারল না। আমি গত দু'মাস ধরে তদন্ত চালিয়ে গেছি-কোনো গাড়ি সেইদিন সোমশঙ্করকে কোথাও লিফট দেয়নি। সোমশঙ্কর খুব সাধারণ ভদ্রলোক-আয়কর দপ্তরে কাজ করেন, যৌথ পরিবার, মা, দাদা, বৌদি, আর স্ত্রী-সবাই শোকে মুহ্যমান। তার একমাত্র শখ বেড়ানো-তিনি মাঝে মধ্যেই ব
আরও পড়ুন3 December, 2024 - 01:00:00 PM
অপরাজিতা সেন ফরাসি সরকারের চাকুরীরতা, বিশিষ্ট লেখিকা, ফ্রান্স। জানালা দিয়ে একটা তেরছা আলোর রেখা মোটা পর্দাগুলো ভেদ করে ঠিক সোমের চোখের ওপর এসে স্থির হলো। লেসার বিমের মত। চোখের পাতা ভেদ করে সোজা ঢুকে পড়ল ওর শরীরে, অনুসন্ধানী এক আলোর রেখা ওর অন্তরাত্মা পর্যন্ত পৌঁছে গেল যেন। আস্তে আস্তে চোখ খুলল সে। বড় অবসাদ। অলস দৃষ্টিতে দেখল চারটে দেয়াল, একটা বড় জানালা, একটা বিশাল কাঠের দরজা। জানালায় ভারি পর্দা টানা, ওই একটা আলোর রেখা কী ভাবে যেন ঢুকে পড়েছে। ঘরটা ওর অচেনা-কেমন এক মায়াময় ছায়ায় ঢাকা। কিছু আসবাবপত্র দেখা যাচ্ছে আবছা আলোয়। অভ্যাসবসে হাত বাড়িয়ে ও ওর মোবাইল খুঁজে পায়না। ঘুমের আস্তরণ ভেদ করে কয়েকটা ...
আরও পড়ুন30 November, 2024 - 12:55:00 PM
সামিয়া মহসিন নাট্যকর্মী, আমেরিকা। ব্রিটিশ ভারতবর্ষে মুসলিম ধর্মান্ধ ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন পরিবেশে বেড়ে ওঠার পরও নারী শিক্ষার যুক্তি দেখিয়েছেন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। তিনি আজও নারীদের অনুপ্রেরণার উৎস। তাঁর লেখা আজও নারীদের আন্দোলিত করে। আন্দোলিত হন নতুন প্রাণে, নতুনভাবে বেঁচে থাকার জন্য। নারীদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্যে। বেগম রোকেয়া এমনই এক মহীয়সী নারী যিনি তার যুগে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। নারীদেরকে নিজের দাঁড়াবার জন্য মনোবল তৈরি করতে হবে। তাঁর শাণিত বাক্যবাণ দিয়েই তিনি এই কঠিন ও বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়েছিলেন। বেগম রো
আরও পড়ুন26 November, 2024 - 01:20:00 PM
স্বপন সোম সঙ্গীত শিল্পী এবং সঙ্গীত গবেষক, পশ্চিমবঙ্গ। গত শতকের চারের দশকে কিংবদন্তি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সুচিত্রা মিত্রের ভারতীয় গণনাট্য সংঘের সঙ্গে সংযুক্তি তাঁর জীবন ও গানকে যেন এক অন্য রঙে রাঙিয়ে দিয়ে গেছে। আমরা পেয়ে যাই এক প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর যার আশ্রয় রবীন্দ্রনাথের গান এবং বিভিন্ন রচয়িতার গণচেতনার গান। বস্তুত রবীন্দ্রনাথের গানও যে বহু মানুষকে উদ্দীপিত করতে পারে, জীবন সংগ্রামে সাহস জোগাতে পারে তা গণনাট্য সংঘের সূত্রে দেখিয়ে দিয়েছিলেন সুচিত্রা মিত্র এবং তাঁর সতীর্থরা দেবব্রত বিশ্বাস, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। 'আমার মুক্তি আলোয় আলোয়', 'কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি', 'যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে' বা 'সা
আরও পড়ুন23 November, 2024 - 11:30:00 AM
পীতম সেনগুপ্তবিশিষ্ট রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ, পশ্চিমবঙ্গ। প্রথম পর্বের পর... জানা যায়, 'ভারতী' পত্রিকার ১৩১৮ সনের ফাল্গুন সংখ্যায় রবীন্দ্রনাথের পঞ্চাশ বছর পুর্তি উপলক্ষ্যে 'কবি-সংবর্ধনা' বিষয়ে একটি সচিত্র প্রবন্ধ লিখেছিলেন সরলা দেবী। এই প্রবন্ধে কবির কয়েকটি আলোকচিত্রসহ জ্যোতিরিন্দ্রনাথের আঁকা রবীন্দ্রনাথের পাঁচটি মুখচ্ছবিও মুদ্রিত হয়। পরবর্তীতে জ্যোতিরিন্দ্রর আঁকা রবীন্দ্রনাথের মুখের স্কেচগুলি দেখে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ সম্বন্ধে বিশেষ আগ্রহী হন রদেনস্টাইন এবং লন্ডনে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই প্রসঙ্গে আরও বিস্তারিত জানতে পারেন। রবীন্দ্রনাথ জ্যোতিরিন্দ্রের এই বিশেষ গুণটির প্রশংসা করেন রদেনস্টাইনক
আরও পড়ুন21 November, 2024 - 12:30:00 PM
পীতম সেনগুপ্ত বিশিষ্ট রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ, পশ্চিমবঙ্গ। সৈয়দ মুজতবা আলী একবার আক্ষেপ করে বলেছিলেন, 'আশ্চর্য বোধ হয় যে বাঙালি জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভুলে গিয়েছে!' এও সত্য যে তাঁকে বাঙালি যত না খ্যাতির আসনে বসিয়েছে, ঢের বেশি খ্যাতি-অখ্যাতির শিরোপা জুটেছে তাঁর অকাল প্রয়াত সহধর্মিনী কাদম্বরী দেবীর ভাগ্যে। আর সেই খ্যাতি-অখ্যাতির আড়ালেই ধামাচাপা পড়ে গেছে এই অমিতপ্রতিভাধরের যাবতীয় কীর্তি। বাংলার সামগ্রিক সারস্বতচর্চার অন্যতম মৌলিক রূপকারকে আজ সত্যি সত্যিই হারিয়ে ফেলার কারণ খুঁজতে গিয়ে চোখে পড়ে আত্মবিস্মৃত বাঙালি জাতির সারস্বতচর্চার বিকৃত অভিমুখটি। সরলা দেবীর স্মৃতিকথায় জানা যায়, জোড়াসাঁকোর বাড়িতে গা
আরও পড়ুন16 November, 2024 - 12:15:00 PM
অধ্যাপক ড: সুকান্ত চৌধুরী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমিরেটাস, পশ্চিমবঙ্গ। এই প্রবন্ধ বাংলা ভাষার এক নতুন ধরণের অভিধান নিয়ে। এটা অবশ্যই খুব সিরিয়াস লেখাপড়ার কাজ; কিন্তু সব সার্থক লেখাপড়ার মত এতেও আছে মজা, কৌতূহল, উত্তেজনা। প্রকল্পকর্মীরা সেই আনন্দেই কাজ চালিয়ে যান, উপভোগ করেন। আনন্দটা তাঁরা ফুটিয়ে তুলেছেন এক ভিডিওর মাধ্যমে। সেটি দেখুন, আর তার রেশ ধরে পড়ুন নিচের বিবরণ। ভিডিওর ইউটিউব লিংক: https://youtu.be/dPkABHHbyjA?si=RDXzA897ljPitoD কুড়ি বছর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত হয়েছিল একটি নতুন গবেষণাকেন্দ্র, স্কুল অভ কালচারাল টেক্সটস অ্যান্ড রেকর্ডস। উদ্দেশ্য, সাহিত্য-শিল্প-সংস্কৃতি সংক
আরও পড়ুন