শ্রুতি নাটক : অংশগ্রহণে জগন্নাথ বসু ও উর্মিমালা বসু
8 July, 2024 - By Editor Role
6 July, 2024 - 11:55:00 AM
সেলিম জাহান। অর্থনীতিবিদ ইউএনডিপির সাবেক পরিচালক। আমেরিকা মোড়টায় এসেই সন্দেহ হল ঠিক গলিতেই এসেছি তো। তারেক তো এ গলির কথাই বিশদভাবে বলে দিয়েছিলো। তবে শাঁখারী বাজারের সরু সরু গলির কোনটি যে কোনদিকে গেছে তা বোঝাই মুশকিল। সব গলিরই ওপরেই অন্ধকার গহ্বরের মত গায়ে গায়ে লাগা বাড়ীগুলো জীর্ণ এবং ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাওয়া। স্যাঁতস্যাঁতে এ গলিগুলো যে কতকাল সূর্যের আলো দেখে নি, কে জানে? দু'পা হেঁটেই বুঝলাম যে ঠিক গলিতেই এসেছি। এবার মেলাতে হবে নম্বর। কিন্তু বেশ কিছু হাঁটাহাঁটির পরেই বুঝলাম যে সে কাজটি সহজ নয়। ক্রমানুনিকভাবে কোন নম্বরই আসছে না। অত:পর শরণাপন্ন হতে হল এক পথচারীর। স্থানীয় লোক সহজেই বাতলে দিলেন যে এই সরু
আরও পড়ুন29 June, 2024 - 02:30:00 PM
স্বপন মুখোপাধ্যায়বিশিষ্ট লেখক ও গবেষণাধর্মী প্রাবন্ধিক প্রথম পর্বের পর... ১৮৫৮ তে বেলগাছিয়ার নাট্যশালায় যখন রামনারায়ণ তর্করত্নের 'রত্নাবলী' নাটকটি ইংরেজিতে অনুবাদ করে প্রকাশ করার কথা ভাবা হল তখন গৌরদাস বসাক পুলিশ কোর্টের কর্মী মধুসূদনের কথা ভাবলেন কেন? মধুসূদনের ইংরেজি ইংরেজি জ্ঞান সম্পর্কে কেউ অবিদিত নন কারণ তার Captive Ladie প্রকাশিত হয়ে গেছে কিন্তু শুধু ই কিন্তু শুধু ইংরেজি জ্ঞান থাকলেই তো অনুবাদ করা যাবে না, বাংলা এবং সংস্কৃতও জানা প্রয়োজন। গৌরদাস মধুসূদনের বাংলা জ্ঞান সম্পর্কে নিঃসন্দেহ না হলে পাইকপাড়ার রাজাদের মধুকে অনুবাদের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতেন না। কোন সন্দেহ নেই যে এরপর থে
আরও পড়ুন29 June, 2024 - 12:15:00 PM
স্বপন মুখোপাধ্যায় বিশিষ্ট লেখক ও গবেষণাধর্মী প্রাবন্ধিক শ্রীমধুসূদন বাংলার 'মাতৃ-ভাষা-রূপ খনি'র সন্ধান পান কবে? সেকি বিদেশে যাবার পর অর্থাৎ যখন তিনি ফ্রান্সের ভার্সেই শহরে, ১৮৬৫ তে? তখনি তিনি লেখেন তাঁর বিখ্যাত কবিতা 'বঙ্গভাষা'-হে বঙ্গ ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন। না, এই কবিতাটির জন্ম আরও চার বছর আগে। তখন তিনি বিদেশে আসেননি। ১৮৬১-তে যখন 'মেঘনাদবধ কাব্য' রচনা করেন তখনই তিনি একটি সনেট লেখেন, 'কবি-মাতৃভাষা'। এই কবিতাটি পরে পরিমার্জনা করে 'বঙ্গভাষা' নামে প্রকাশিত হয়। এই সনেটে তিনি লিখছেন,'নিজাগারে ছিল মোর অমূল্য রতন অগণ্য; তা সবে আমি অবহেলা করি...' অর্থাৎ কবি বঙ্গভাষার অমূল্য রত্নের আবিষ্কার করে নিজ প্
আরও পড়ুন27 June, 2024 - 11:55:00 AM
তপন বন্দোপাধ্যায় বিশিষ্ট লেখক পুব আকাশের একটি এলেবেলে নক্ষত্র যখন এক-পা এক-পা করে হেঁটে মধ্যরাতে পৌঁছে যায় ঠিক মাথার উপর, আমি আটতলা বাড়ির সিঁড়ি ভেঙে ছাদে পা রাখি। ছাদে আমার জন্য অপেক্ষা করছিল নিরাভরণ অমাবস্যা। তার স্পর্শ সমস্ত শরীরে শুষে নিতে আমি শুয়ে পড়ি চিৎ হয়ে। দু-চোখে আঁধার ফুঁড়ে ফেলতে থাকি তীব্র প্যাশনে। আঁধার পেরিয়ে পৌঁছে যাই মহাজগতের অনন্ত শূন্যতা অভিমুখে। চৈতন্যে তখন এক তুরীয় অনুভূতি। চোখ ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে মগ্ন নির্জনতা। কোথাও একটা রাতচরা পাখিও নেই যে ভেঙে ফেলবে নিকষ শব্দহীনতা। নিদ্রাহীন মধ্যরাতে শুধু মাথার উপরে প্ল্যানেটোরিয়ামের মতো বিশাল আকাশ। জ্বলছে নিভছে নক্ষত্রের দল আর চকমকি জ্ব
আরও পড়ুন25 June, 2024 - 11:45:00 AM
সুজয় দত্ত ওহায়োর ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাক্রন-এ পরিসংখ্যানতত্ত্বের অধ্যাপক, আমেরিকা নিবাসী দুশো বাহাত্তর নম্বরের রুগী আজই ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট থেকে ছাড়া পেয়ে জেনারেল বেডে এসেছে। অবস্থার উন্নতিতে সকলের চোখেমুখে স্বস্তির ছাপ। আর ইন্ট্রাভেনাস নয়, এবার পথ্য খাবে। নিজের মুখে। জেনারেল ওয়ার্ডের মেট্রনের কাছ থেকে নির্দেশ যাচ্ছে রান্নাঘরে। কী কী খেতে বলেছেন ডাক্তারবাবু, কী কী দেওয়া বারণ। পাশে দাঁড়ানো একশো সাতান্নর আয়া। কাঁচুমাচু মুখ, বিব্রত, মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে। একটু আগেই সবার সামনে বকুনি খেয়েছে মেট্রনের। সেখানকার হার্টের রুগীকে আজ দুপুরে নুন ছাড়া খাবারের বদলে নুন দেওয়া খাবার খাওয়ানো হয়েছে ভুল করে। ওয়া
আরও পড়ুন20 June, 2024 - 01:15:00 PM
পলাশ বন্দোপাধ্যায় বিশিষ্ট লেখক, পশ্চিমবঙ্গ কদিন ধরে ঘুষঘুষে জ্বর, মাথা ঘোরা, গা-হাত-পা ব্যথা, দুর্বলতা চলছিল। সে সব উপেক্ষা করে প্যারাসিটামল খেয়ে কোনও মতে অফিসটা করছিলেন তিনি। কিন্তু আজ সন্ধ্যেবেলা কাজে এসে শরীরটা হঠাৎ করে বেশি খারাপ হওয়াতে আর পেরে উঠলেন না। রাতের ডিউটি শিফ্ট অফ করে বাড়ি ফেরা মনস্থ করলেন দ্বারিকানাথ ভর্চাজ। শেয়ালদার এক আই.টি. অফিসে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করেন। বলতে গেলে প্রায় জন্মলগ্ন থেকে। বয়স পঞ্চাশের কোঠায়। হার্টের ব্যামো। সে কারণে মাঝে মধ্যে প্যালপিটেশন হয়। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে হঠাৎ হঠাৎ করে চোখে অন্ধকার দেখে মাথা হালকা হয়ে পড়ে যাবার উপক্রমও হয়। কার্ডিওলজিস্ট বলেছেন, 'ব্ল্
আরও পড়ুন13 June, 2024 - 11:40:00 AM
লাজবী মুখার্জী লেখিকা, পশ্চিমবঙ্গ "বিশ্ব সাথে যেথায় যোগে বিহারো সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমারও" সভ্যতার নিয়মে জীবন এগিয়ে চলেছে তার আপন গতিতে। এক মুহুর্ত অবসর যাপনের সুযোগটুকু নেই তারই মধ্যে যদি ক্ষণিকের অবসর খুঁজে নিয়ে একটু আনন্দ সমুদ্রে গা ভাসানো যায় তাই জীবনের পরম প্রাপ্তি। মহাবিশ্বে, মহাকাশে, মহাকাল মাঝে যিনি তার আশীর্বাদ ও স্নেহসুধার পাত্রখানি উজাড় করে রেখেছেন তাকে অন্তরের স্পর্শটুকু দিয়ে ছুঁয়ে দেখার সুযোগ কী ছাড়া যায়! জগতের পালকপিতা তথা প্রিয়তম সখার পাদপদ্মখানি ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছেটুকু অন্তরে লালন করে গত ২৫শে ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দুরন্ত এক্সপ্রেসে রওনা দিলাম জগন্নাথ ধাম পুরীর উদ্দেশ্যে। ট্রেনয
আরও পড়ুন13 June, 2024 - 11:20:00 AM
সামিয়া মহসীন। বিশিষ্ট নাট্যকর্মী। বাঙালি তাঁর জাতিস্বত্বার শিকড় খুঁজতে বরাবরই অনুসন্ধানী। এই বঙ্গদেশে বাঙালি প্রাচীনকাল থেকেই বাঙলা ভাষাতেই কথা বলে এসেছে। আমরা এখন বাঙলা ভাষার যেই রূপ দেখছি। এটারই বা গোঁড়াপত্তন কবে হল। বিভিন্ন পাঠ্যগ্রন্থ পর্যালোচনা করে খ্রিস্টপূর্ব তিন হাজার বছর আগের ঋগ্বেদের 'ঐতরেয় আরণ্যক' গ্রন্থে প্রথম 'বঙ্গ' শব্দটির উল্লেখ পাওয়া যায়। এক কথায় যদি বলি তাহলে বলতে হয় যে বাঙালি জাতি যেমন শঙ্কর জনসমষ্টি, বাঙলা ভাষাও তেমনি শঙ্কর ভাষা। বর্তমান বাঙলা ভাষা প্রচলনের আগে গৌড় ও পুঞ্জের লোকেরা অসুর ভাষাভাষী ছিল বলে জানা যায়। এক সময় অসুর ভাষাভাষী লোকেরা ছিল সমগ্র প্রাচীন বঙ্গের লোক। অসু
আরও পড়ুন