আন্তর্জালিক আলোচনা সভা: ভারতবর্ষে সংবিধানের প্রস্তাবনা কী সত্যিই সুরক্ষিত?
15 December, 2020 - By Bangla WorldWide
15 December, 2020 - By Bangla WorldWide
14 December, 2020 - 06:55:00 PM
"বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইড" অন্তর্জালের মাধ্যমে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করতে চলেছে আগামী ১৮ ই ডিসেম্বর, শুক্রবার,২০২০, ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬ টায়। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে স্বীকৃত ভারতবর্ষে সত্যিই কী চিন্তা, মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা সুরক্ষিত? এই বিষয়ে আলোচনা করবেন সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।
আরও পড়ুন14 December, 2020 - 05:35:00 PM
বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির সংগ্রাম একদিনে শুরু হয় নি। দীর্ঘ তেইশ চব্বিশ বছরের অত্যাচার, শোষণ ও বঞ্চনার ফলেই বাংলাদেশের অভ্যুদয়। ১৯৪৭ সালে মহম্মদ আলি জিন্নাহ দ্বিজাতিতত্ত্বের সুরসুরি দিয়ে, সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটেনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুসলমান সম্প্রদায়ের জন্য পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছিলেন। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙ্গালী এবং পাঞ্জাবীরা সবচাইতে বেশি অবদান রাখলেও স্বাধীনতা লাভ ও দেশ ভাগের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হলো এই দুই জাতি। চৌদ্দ পুরুষের ভিটেমাটি ছেড়ে চলে আসতে হলো কোটি কোটি মানুষকে। বাঙ্গালী মুসলমানদের মনে আশা জেগেছিল, মুসলিম প্রধান পাকিস্তানে তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করবেন। কিন্তু শুরু থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকরা বাঙ্গালী মুসলমানদের উপর অত্যাচার শুরু করলেন। পাকিস্তানের জনসংখ্যা অনুপাতে বাঙ্গালীরা সংখ্যা গরিষ্ঠ হয়েও রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে তাদের কোন ভূমিকা রইল না।
আরও পড়ুন12 December, 2020 - 02:37:00 PM
মিত্র বাহিনীর ঢাকা অভিযান তীব্র হয়েছে। ভারতীয় সেনাপতির পাকিস্তানী সৈন্যদের আত্মসমর্পণ করার বার্তাটি আকাশবাণী থেকে উর্দু, হিন্দি, ইংরেজি ও বাংলায় কিছুক্ষণ পর পর প্রচার করা হচ্ছে। সেনাপতি মানেকশ অকারণ রক্তপাত বন্ধ করতে বিনা যুদ্ধে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিলেন পাক হানাদার বাহিনীকে। তিনি আস্বাস দিলেন যুদ্ধ বন্দিদের প্রতি "জেনেভা কনভেনশন" অনুসারে বিশেষ ব্যবস্থা অবলম্বন করা হবে। আহত যুদ্ধবন্দীদের উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে। মৃতদের যথোচিত সমাধি দেওয়া হবে। ঐ বার্তায় জেনারেল মানেকশ বলেন, পাকিস্তানের সেনারা যদি মা, বাবা,ভাই, বোন ও সন্তানদের ফিরে পেতে চান, তাহলে আত্মসমর্পণ করুন। মিত্র বাহিনী আপনাদের ঘিরে ফেলেছে, পালাবার পথ নেই। আত্মসমর্পণের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলো ১৬ ই ডিসেম্বর সকাল ৯ টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন12 December, 2020 - 01:53:00 PM
শহুর অঞ্চলের প্রকৃতিতে শীত তেমন করে জাঁকিয়ে না বসলেও, এখন শীতকাল অগ্রহায়ণ মাস চলছে। শীতের সব্জি ফল ফুল এসবের সমাহার বাজারে চলে এসেছে। বাজারে চলে এসেছে জিভে জল আনা জলপাই। ডালের সঙ্গে জলপাইয়ের আচার খুবই মুখরোচক। তবে কাঁচা জলপাইয়ের উপকারিতা অনেক বেশি। ভিটামিন সি’র আধিক্যের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি। আমাদের এই অঞ্চলে সবুজ জলপাই বেশি পাওয়া যায়। এইসময় সর্দি জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যায়। নিয়মিত জলপাই খেলে এই ধরণের রোগ থেকে নিজেকে সুস্থ রাখা যায়। জলাপাই রক্তের চিনি নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
আরও পড়ুন11 December, 2020 - 04:37:00 PM
আজ (৯ ই ডিসেম্বর) ত্রিপুরার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু প্রয়াত শচীন্দ্র লাল সিংহের প্রয়াণ দিবস। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদানের কথা তেমন ভাবে আলোচিত হয়না। সাবেক পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের পলিটিকাল অফিসার শশাঙ্ক এস ব্যানার্জীর স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ "India, Mujibur Rahaman, Bangladesh Liearaation and Pakistan" বইতে লিখেছেন ১৯৬২ সালের ২৪ শে ডিসেম্বর (ইংরেজি মতে ২৫ ডিসেম্বর হতে পারে) গভীর রাতে তাঁর সঙ্গে ইত্তেফাক পত্রিকার সম্পাদকের কক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম সাক্ষাৎ হয়। ইত্তেফাক পত্রিকার সম্পাদকের অনুরোধেই শশাঙ্ক এস ব্যানার্জী সেখানে গিয়েছিলেন। দুই ঘণ্টা আলোচনার পর বঙ্গবন্ধু ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে লেখা একটি চিঠি শশাঙ্ক এস ব্যানার্জীর হাতে তুলে দেন। এই ভাবেই স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। ১৯৬৩ সালে বঙ্গবন্ধু গোপনে আগরতলায়
আরও পড়ুন11 December, 2020 - 12:35:00 PM
Impact of Covid-19 and resulting of lockdown on 2020 Election 1. Defeat of Donald Trump, which would have unlikely to happen without Covid-19. 2. Introduction and substantial increase in number of votes of introducing enhanced and efficient mailing system which was strongly opposed by President Trump
আরও পড়ুন10 December, 2020 - 02:53:00 PM
যথা সময়ে হায়ার সেকেন্ডারী পরীক্ষা হয়ে গেল, তিন মাস পরে ফলও বের হল। প্রতিভা বোর্ডে সায়েন্স স্ট্রিমে সিক্সথ হয়ে শহরের লোককে তাক লাগিয়ে দিল। শুধু বিনু সেকেন্ড ডিভিশন পেল। আমার মত ফাঁকিবাজও ফার্ষ্ট ডিভিশন পেয়ে মা-বাবাকে খুশি করতে পেরেছিল। শুধু বিনুর জন্য ব্যথায়, কষ্টে ভেতরটা পুড়ে যাচ্ছিল। ওকে সান্ত্বনা দেবার ভাষা খুঁজে পাইনি। তবু বললাম, ‘ভাবিস না বিনু। বিএতে তুই নিশ্চয়ই খুব ভাল করবি।’আমার সান্ত্বনায় কী এসে যায়! বিনুর নত মুখ, ম্লান চোখে কান্নার আভাস। আমি জোর করে কান্না চেপে বিনুর কাছ থেকে পালিয়ে গেলাম।
আরও পড়ুন10 December, 2020 - 02:27:00 PM
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ৮ ই ডিসেম্বর তারিখটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিন কুমিল্লা হানাদার মুক্ত হয়। কুমিল্লা টাউন হল মাঠে মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। কুমিল্লা স্বাধীন হওয়ার খবর শুনে উদয়পুরের পুরনো মানুষ জনেরা আনন্দলাভ করেন। কুমিল্লা ছিল উদয়পুরের সাংস্কৃতিক ও বানিজ্যিক রাজধানী। রাজন্যযুগে কুমিল্লার সঙ্গেই উদয়পুরের যোগাযোগ ছিল। কুমিল্লা জেলা মুক্ত হলেও ময়নামতি সেনানিবাস থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী লড়াই চালিয়ে যেতে থাকে। ভারতীয় বিমান বাহিনী ময়নামতি সেনানিবাসের উপর বোমা বর্ষণ করতে থাকে।
আরও পড়ুন9 December, 2020 - 04:53:00 PM
আমাদের এই ছোট শহরে রয়েছে দুটো গার্লস স্কুল,তিনটে বয়েজ স্কুল ,একটা কলেজ আর একট সিনেমা হল | আমি চার্লস গর্ডন গার্লস হাই স্কুলে পড়তাম। প্রতিভা আর বেবি ক্লাস ওয়ান থেকেই আমার বন্ধু। আমাদের স্কুলটার নাম শুনলেই মনে হয় একটি বিখ্যাত কনভেন্ট। ১৮৮৮ সালে এই মহকুমা শহরের এস ডি ও স্কুলটির উদ্বোধন করেছিলেন। তাঁর নামেই নাম। বাংলা মিডিয়ামের স্কুলের নাম চার্লস গর্ডন গার্লস হাই স্কুল। কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন!ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত ছেলেরাও আমাদের সঙ্গে পড়ত। আতোয়ার, বিনু,দীপু আর শাহেদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব ছিল ক্লাসের অন্য মেয়েদের চোখে ঈর্ষণীয়। স্কুল কম্পাউন্ডের মধ্যে ছিল একটা বড় ঘাট বাধানো পুকর,পুকুরের ওপারে ঘন ঝোপ আর অসংখ্য ফুলের গাছ—পলাশ, শিমুল আর কৃষ্ণচূড়া পরস্পরকে জড়িয়ে ভালবাসা ভালবাসা খেলত। পুকুরের ওপারে ওই ঘন ঝোপের মধ্যেই ছিল আমাদের খেলাঘর।পুতুল খেলার বয়সে আমরা তিন মেয়ে বন্ধু পুতুল খেলিনি তবে ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে রান্নাবাটি খেলেছি। টিফিন পিরিয়ডে স্কুলের গেটের বাইরে মোহনদার দোকান থেকে মুড়ি-বাদাম, চানাচুর আর লজেন্স কিনে আমরা টিফিন করতাম। বিনুর বাবা ছিলেন শহরের নামকরা ধনী। পয়সটা বেশিরভাগ দিন ওই দিত। এতে আমাদের কোন লজ্জা ছিল না, ছিল অধিকার। পুকুর পারে বিনুরাও আমাদের সঙ্গে রান্নাবাটি খেলত। ছেলেরা জঙ্গল থেকে বাজার করে আনত। আমি, প্রতিভা আর বেবি লুচি পাতা দিয়ে লুচি ভেজে আগে ওদের খেতে দিতাম,পরে আমরা খেতে বসতাম।
আরও পড়ুন9 December, 2020 - 01:25:00 AM
যুদ্ধ চলছে পুরোদমে। যতদূর মনে পড়ে পাকিস্তান ভারত আক্রমণ করার পর ভারত পাল্টা আক্রমন শুরু করলে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক বসেছিল ডিসেম্বর মাসের পাঁচ তারিখেই। তারিখটা স্মৃতি থেকে উল্লেখ করলাম। আসলে আমেরিকা ও চিন চাইছিল যে কোন উপায়ে যুদ্ধ বন্ধ করতে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, পূর্ব বাংলার সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান করা হোক। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হোক। এই প্রস্তাবটি ছিল একটি কৌশল মাত্র। চিন সঙ্গে সঙ্গে ভেটো প্রয়োগ করে সেই প্রস্তাব বাতিল করে দেয়। পাকিস্তানের দোসর আমেরিকা ও চিনের যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব আসার আগেই রাশিয়া ইচ্ছা করে রাজনৈতিক সমাধানের প্রস্তাব এনে কালক্ষেপণের রাস্তা নিল।
আরও পড়ুন