বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ-একাদশ পর্ব
19 December, 2020 - By Bangla WorldWide
18 December, 2020 - 01:05:00 AM
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় উদয়পুরে যেসব আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এসেছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই ছিলেন নোয়াখালী জেলার। আমার জানা মতে আব্দুল্লাহ আল হারুন চৌধুরী ও ক্যাপ্টেন সুজাত আলী ছাড়া অন্যরা সবাই ছিলেন নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালনার জন্য গঠিত হয়েছিল "বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা সংগ্রাম কমিটি"। কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন আবদুল মালেক উকিল এবং সচিব ছিলেন নরুল হক। সদস্যদের মধ্যে ছিলেন আজিজুল হক, শহিউদ্দিন ইস্কান্দার কচি, আবদুর রশিদ, অধ্যাপক মোহাম্মদ হানিফ,সাখাৎউল্লাহ,হাজী ইদ্রিস,আবু সাঈদ ও খাজা আহমেদ।
আরও পড়ুন17 December, 2020 - 04:07:00 PM
বাংলাদেশের উত্তরজনপদের জেলা শহর বগুড়া। শীতপ্রধান এবং গরম প্রধান অঞ্চল বললে ভুল হবে না। কিন্তু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের ছেলেবেলা থেকেই দেখে এসেছি। যেটি কি না এখনও আমাদের বয়সের যারা আছেন, তাঁরা সেই সম্প্রীতি বজায় রেখেই চলেছি এবং সেইভাবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকেও সেই শিক্ষাই দিয়েছি। পরিবারের ভাইবোন থেকে শুরু করে পাড়া, স্কুল যেখানে যত বন্ধু বান্ধব পেয়েছি তাঁদের সঙ্গে মিলে মিশে বড় হয়েছি। কোথাও অসাম্প্রদায়িকতার লেশ মাত্র ছিল না। ধর্মীয় উৎসবগুলো যার যার নিজের মত করে পালন করার মধ্যে দিয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠতাম। এখনও সমভাবেই রয়েছে। হিংসা বিদ্বেষ সবকিছু ছাপিয়ে সবার উপরে মানুষ সত্য।
আরও পড়ুন17 December, 2020 - 01:05:00 PM
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ১৪ ডিসেম্বর একটি কালো দিন। এদিন পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং তাদের দোসর রাজাকার আলবদর বাহিনী মিলে ঢাকায় বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। পাকবাহিনী পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাঙ্গালীর মেধা ও মননের উপর আক্রমণ হানে। বুদ্ধিজীবী, প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই পাকিস্তান বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়েছেন। কিন্তু চৌদ্দ ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী নিধনের ঘটনাটি ছিল পূর্ব পরিকল্পিত গণহত্যা। বিশ্বের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়। বাংলাদেশের মানুষ আজও দিনটিকে স্মরণ করেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন16 December, 2020 - 04:23:00 PM
"বাজল তোমার আলোর বেণু মাতল রে ভুবন" - সত্যিই এই গান আর কাকডাকা ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে স্তোত্রপাঠ কানে আসলেই পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে থাকা বাঙালিমন একনিমেষে মেতে ওঠে। যদিও এবছরটা বোধহয় সবদিক থেকেই একটু আলাদা, বিশ্বজোড়া মহামারী যেমন আমাদের সদা সন্ত্রস্ত করে রেখেছে, তেমনি ক্যালেন্ডার যতই জানান দিক যে আশ্বিনমাস এসে পড়েছে ; পঞ্জিকার গেরোয় এবার তা নাকি মলমাস, অগত্যা মহালয়ার পর একমাসেরও বেশি অপেক্ষা আমাদের ঘরের মেয়ে উমার জন্য।
আরও পড়ুন16 December, 2020 - 12:30:00 PM
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনের ক্ষেত্রে আগরতলার শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীরা অনন্য অবদান রেখেছিলেন। ৩০শে মার্চ,১৯৭১ সুধী সমাজের আহ্বানে আগরতলায় বাংলাদেশের মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে একটি বিরাট মিছিল হয়। এপ্রিল মাসে উদয়পুরেও ছাত্রদের একটি মিছিল সংগঠিত হয়েছিল। এই মিছিলে ছাত্র পরিষদ, ছাত্র ফেডারেশন সহ সব অংশের ছাত্রছাত্রীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল।
আরও পড়ুন16 December, 2020 - 05:14:00 AM
আজ ১৬ ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবস। বাংলাদেশের বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষের শুভ সূচনা। বাঙালি জাতির শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় কীর্তি ও সাফল্যের ইতিহাস রচিত হয় ১৯৭১ সালের এই দিনে। পৃথিবীর মানচিত্রে "বাংলাদেশ" নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের আত্মপ্রকাশের দিন এটি।
আরও পড়ুন15 December, 2020 - 05:32:00 PM
আমার মন কেবল-ই ফিরে যায় সেই বাল্যে। সাত সকালে স্নান। পাটভাঙা নতুন জামা পরে পুজোতলায় ছুটতাম। কখনও দাদামশাইয়ের হাত ধরে। কখনও সখনও একলা ছুট। সেই ছুটতে গিয়ে কতবার পায়ের নখ উড়ে গিয়েছে! তবু দৌড় থামত না। ঢোলের বাজনা যতো কানে আসত, ভাবতাম পুজো ফুরিয়ে গেল— দৌড়... দৌড়। এক পুজোতলা থেকে আরেক পুজো তলায় দৌড়!
আরও পড়ুন15 December, 2020 - 02:05:00 PM
পঁচিশে মার্চের পর আওয়ামী লীগের নেতারা গ্রেফতার এড়াতে এবং ভারতের সাহায্য লাভের বিষয়ে আলাপ আলোচনা করতে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে আসেন। বহু শীর্ষ নেতা ত্রিপুরায় এসে আশ্রয় নেন। এম,আর, সিদ্দিকী, সিরাজুল হক ও আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরী আগরতলায় পৌঁছে সাক্ষাৎ করেন তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্র লাল সিংহের সঙ্গে। শচীন বাবু তাঁদের নিয়ে দিল্লীতে গিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী সেই সময়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ড: ত্রিগুণা সেনকে আগরতলায় পাঠান। ত্রিগুণা সেন তখন ত্রিপুরা থেকে রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুন