বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাঙালির নিজস্ব মঞ্চ

সহজ পাঠের দিন

25 December, 2020 - 03:05:00 PM

আমার যখন ছোট্টবেলা চিলের ঘরে, হলদে সবুজ দেওয়াল জুড়ে তিনটে চড়াই, বাক্স ভরা ঝিনুকমালা রংবেরঙের, একটা করে ছড়িয়ে ফেলি, আবার কুড়োই।

আরও পড়ুন

নারীর সহ্যশক্তি অসীম, তাই আমিও নতুন জীবন শুরু করতে পেরেছি

25 December, 2020 - 02:42:00 PM

সংঘর্ষের পর সংঘর্ষ। জীবন উথাল-পাথাল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ যেমন দেখলাম, তেমনই আমার নিজের জীবনের মুক্তিযুদ্ধও লড়লাম। দেশের মুক্তিযোদ্ধারা কতটা বীর তা যেমন দেখলাম, তেমনই আমার শান্ত মা জীবনযুদ্ধে কত বড় বীরাঙ্গনা তাও দেখলাম। সবশেষে জীবনের এতগুলো বছর পেরিয়ে এখন আমি জানি, একজন নারী চাইলে সব পারে। সে যা পারে তা পুরুষরা চাইলেও পারবে না। পৃথিবীতে নারীই শ্রেষ্ঠ।

আরও পড়ুন

কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল সে মরে নাই

24 December, 2020 - 06:23:00 PM

ষাট দশকের পি.জি হাসপাতাল খুবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, ফাঁকা, বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় বাড়ি, ডাক্তার-নার্সের বাসস্থান, পুকুর, টেনিস কোর্ট, সবুজ গাছপালা যেন একটি সাজানো হেরিটেজের বাহক। ঐ হাসপাতলে পা রাখলে বোঝা যেত -এটা গোরাদের হাসপাতাল। ছা-পোষা বাঙালিরা যতটা পারত না যাওয়ার দিকেই ছিল অর্থাৎ এত পরিষ্কার, ফাঁকা তাঁদের জন্য অবশ্যই নয়। এই ধারণা শুধু লোকদের কথা বলব কেন? আমার অভিজ্ঞতা ও তাই বলে। সংশয়ের উৎকৃষ্ট উদাহরণ এইটি।

আরও পড়ুন

একাত্তরের সেইসব দিন-চতুর্থ পর্ব

24 December, 2020 - 02:22:00 PM

নদীপথের যাত্রা যতটা ঘটনাবহুল ছিল,হাঁটা পথ ততটা ঘটনাবহুল না হলেও দু একটি ঘটনায় আমাদের জীবন সংশয় হয়েছিল। শৈশবের ঘটনা স্মৃতিতে এখনও যতটা উজ্জ্বল,নিকট অতীতের স্মৃতি ততটাই ধূসর। তেমনি জলপথের তুলনায় পায়ে হাঁটার স্মৃতি অনকটাই ধূসর হয়ে গেছে। হাঁটা পথের শুরু থেকে ভারতীয় সীমান্ত পর্যন্ত কত কিলোমিটার জানি না। মাঝে মাঝে মনে হোত এই পথ যদি না শেষ হয়!মাইলের পর মাইল হাঁটার পর কোথাও থামতেই হোত কিছু খাওয়ার জন্য। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাঁটার পর সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়তাম। কারো কুঁড়েঘরে রাত কাটিয়ে পরদিন আবার পথচলা শুরু হোত। কুঁড়ে ঘরের মালিকরা আমাদের রুটি আর আঁখের গুড় খেতে দিতেন।

আরও পড়ুন

এত ক্ষুদ্র যন্ত্র হতে……

23 December, 2020 - 05:33:00 PM

সিদ্ধার্থ দেব, কুয়েত অয়েল কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত পেট্রোলিয়াম বিশেষজ্ঞ। মোবাইল ফোন, -এইটুকু একটা যন্ত্র! তার কি ক্ষমতা আর জনপ্রিয়তা। সকলের হাতে হাতে ঘুরছে; সে যেই হোক, পরম বিত্তশালী শিল্পপতি বা নিম্ন মধ্যবিত্ত কর্মচারী। অথচ এককালে ফোনের কি আকাল ছিল আমরা দেখেছি। ফোনের জন্য আবেদন করে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হত। তারপর একদিন দেবদূতের মত উদয় হতেন সরকারি ফোন কোম্পানির এক কর্মচারী। সগর্বে খবর দিতেন, -কাল আপনাদের বাড়িতে ফোন আসবে। উৎসবের বন্যা বয়ে যেত সারা বাড়ি। কর্মচারীটি “খুশি হয়ে দেওয়া চা-জলখাবারের সামান্য খরচ” পকেটস্থ করে চলে যেতেন, ফিরতেন পরের দিন সিনেমার হিরোর মত মেজাজে, সেই দুস্প্র

আরও পড়ুন

একাত্তরের সেইসব দিন-তৃতীয় পর্ব

23 December, 2020 - 02:50:00 AM

প্রায় আড়াই মাস তখনকার পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে আমরা এতদিন অস্তিত্ত্ব রক্ষা করতে পেরেছিলাম।এটা ছিল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আমাদের ব্যক্তিগত একটা অসম লড়াই। নৌকো ভাড়ার টাকা আমাদের ছিল না। বাবা কুদ্দুসকে শহরে পাঠালেন পোষ্ট অফিস থেকে টাকা তুলতে। সেখানে বাবার কিছু জমানো টাকা ছিল। একজন হিন্দুর সই থাকা সত্বেও কী করে টাকাটা পাওয়া গেল সেটাও একটা বিস্ময়। মাঝারি ধরনের একটি নৌকা ভাড়া করা হল। সব মিলিয়ে দশ জন নৌকা করে যাবো। কুদ্দুসও আমাদের সংগে গিয়েছিল,তবে ভারত সীমান্তে নয়,যেখানে নদী শেষ হয়ে হাঁটাপথ শুরু হয়েছে সেখানে ওর যাত্রাও শেষ। নৌকায় আমরা পাঁচ দিন পাঁচ রাত ছিলাম। কত নদী, কত গ্রাম,কত ভাসমান দ্বীপ পেরিয়ে নৌকা এগিয়ে চলছিল-আজ আর মনে নেই। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করবার মত মানসিক অবস্হা ছিল না। তবু মাঝে মাঝে সন্ধ্যেবেলায় মধুমতী নদী পেরুতে পেরুতে সন্ধ্যপ্রদীপ জ্বলতে দেখেছি,দুপুরে শঙ্খধ্বনিও শুনেছি। এখন কেমন আছো মধুমতী!

আরও পড়ুন

একাত্তরের সেইসব দিন-দ্বিতীয় পর্ব

22 December, 2020 - 04:11:00 PM

চরমগুরিয়া বন্দরটি কুমার নদীর তীরে অবস্হিত। নামটা যে এত মিষ্টি সেটা ভাবার মতো মানসিক অবস্হা ছিল না। ভোরবেলা আমরা নৌকো চেপে সেই দুর্গম গ্রামের দিকে যাত্রা শুরু করলাম। কুমার নদী দিয়ে নৌকো চলল ঘন্টাখানেক। তারপর বাঁদিকে ঢুকল বেশ বড় একটা খালে।

আরও পড়ুন

মল মাস

21 December, 2020 - 05:25:00 PM

মল মাস হলেই নানারকম ঝামেলা হয় দেখেছি । বুঝলাম না হয়, সূর্য - চন্দ্র একটু টেরে বেঁকে চলে। তাই প্রতি উনিশ বছর অন্তর একটু অ্যাডজাস্টমেন্ট মারতে হয় ক্যালেন্ডারে। তা একটা ঠিকঠাক নাম দেওয়া যেত না কি এই মাসটার? আমি আবার অঙ্কে বরাবর কাঁচা - ডিগ্রি, মিনিট, ঘন্টা -- এসবের হিসেব বুঝতে বরাবরই বেশ অসুবিধে হয়। বুঝলাম না হয় কিছু বছর পর পর এই বাড়তি মাসটা জুড়ে দিতে হয় - না হলে নাকি কোনোদিন বৈশাখ মাসে পুজো করতে হবে। আমাদের এখনকার বাংলা পঞ্জিকা গৌরাব্দ মতে চলে। এই মতে এই বাড়তি মাসকে বলা হতো অধিক মাস। সেই নামটা রাখলে কি ক্ষতিটা হতো? তা নয়, মল মাস।

আরও পড়ুন

একাত্তরের সেইসব দিন-প্রথম পর্ব

21 December, 2020 - 04:35:00 PM

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অনেকেরই জানা আছে। আমি শুধু নিজের কথাই বলব, সঙ্গে সামান্য ইতিহাস। ১৯৭১ সালের ১লা মার্চ আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলাম, থাকতাম রোকেয়া হলে। তখন পশ্চিম পাকিস্তানের মেয়েরাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত। আমার এক সিন্ধী ও বাঙালি বন্ধুর সঙ্গে ঢাকা স্টেডিয়ামে সেদিন খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। বাঙালি বন্ধু মুনাওয়ার সুলতানা আমার জীবন থেকে হারিয়ে গেছে, কিন্তু সে আমার স্মৃতিতে আজও উজ্জ্বল। ওর কথাা লিখলাম কারণ ও শুধু আমার বন্ধু ছিল না,ছিল আত্মার আত্মীয়। ক্রিকেট খেলা ছিল পাকিস্তান বনাম এম সি সি র মধ্যে। ধারা ভাষ্যকার সিন্ধী বন্ধু খুব সুন্দর করে আমাদের খেলা বোঝাচ্ছিল। হঠাৎ দেখি গ্যালারির উল্টোদিকে আগুন লেগেছে।

আরও পড়ুন

গোপন পুরী

19 December, 2020 - 03:50:00 PM

আমারও তো ইচ্ছে করে দেওয়াল ফুঁড়ি, কাঁচ ভাঙ্গি আমারও তো ইচ্ছে করে মেঘলা দিনে মেঘের সাথে আকাশ জুড়ে ভিজে পাখি। আমারও তো ইচ্ছে করে

আরও পড়ুন

SUBSCRIBE TO NEWSLETTER

SUSCRIBETE