আমাদের দ্বিতীয় সন্তান
25 December, 2024 - By Editor Role
24 December, 2024 - 11:30:00 AM
বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইড প্রতিবেদন: চলে গেলেন ভারতীয় সমান্তরাল চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রধান পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। অবশেষে সোমবার সন্ধে সাড়ে ছ'টা নাগাদ, সকল যন্ত্রনার অবসান ঘটিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন শ্যাম বেনেগাল। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। শ্যাম বেনেগাল ভারতীয় সমান্তরাল সিনেমার এক বিশেষ নাম। ১৯৭৪ সালে 'অঙ্কুর' সিনেমা পরিচালনার মাধ্যমে তাঁর আত্মপ্রকাশ। এরপর তিনি ২০টির-ও বেশি সিনেমা পরিচালনা করেছেন। তিনি কিছু সিনেমার প্রযোজনাও করেছেন। কিছু নাটক এবং টেলিভিশন ধারাবাহিকও নির্মাণ করেছেন। অঙ্কুরের পরে 'নিশান্ত' (১৯৭৫), 'মন্থন' (১৯৭৬), এবং 'ভূমিকা'...
আরও পড়ুন23 December, 2024 - 11:05:00 AM
নবকুমার বসু প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও চিকিৎসক, ইংল্যান্ড। প্রথম পর্বের পর... একদিন খ্যাতিমান উদার গঙ্গোপাধ্যায় লেখক মশায়টির গৃহে হাজির হলাম। গড়িয়াহাটের বহুতল বাড়ির দশতলা। সংকোচ নিয়েই গেছি। ব্যস্ত লেখক। তাঁর সময় নষ্ট করার দ্বিধা আমার নিজের মধ্যেই বেশি। কিন্তু তিনি কনিষ্ঠ কলমিচিটিকে নিরাশ করলেন না। সুতরাং আমি অকপট হলাম। বললাম, রামকৃষ্ণ ঘরনী শ্রীমা সারদামণির জীবন অবলম্বনে উপন্যাস লিখতে চাই। দু-এক মুহূর্ত চুপ করে থেকে সুনীল চোখ তুলে তাকিয়ে দেখলেন অধমের দিকে। বোধহয় জরিপ করতে চাইলেন আমার সঙ্কল্পের দৃঢ়তা, একাগ্রতা... এবং হয়তো যে-কথা বলছি তার ওজন ও অভিঘাত সম্পর্কে কতটা সতর্ক এবং সচেতন আমি। তারপর একটাই প্র
আরও পড়ুন22 December, 2024 - 11:05:00 AM
নবকুমার বসু প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও চিকিৎসক, ইংল্যান্ড। অনেক দিন আগে দক্ষিণ ভারতে বেড়াতে গেছি। কন্যাকুমারিকা থেকে বিবেকানন্দ শিলা দেখতে যাচ্ছি। সমুদ্রে ওই সংক্ষিপ্ত জলপথ যাত্রাটিও তখন খুব সুগম ছিল না। ঢেউয়ে দোদুল্যমান ছোট নৌকা ভারতের মানচিত্রের নিম্নতম বিন্দু থেকে রওনা হয়ে কয়েক মিনিটে বিবেকানন্দ শিলা নামের সেই অনুচ্চ পাহাড়টিতে পৌঁছে দিত। সম্ভবত নব্বই-পচানব্বই বছর আগে বিবেকানন্দ সেই তৎকালীন পাথরে টিলাটির ওপরে বসে সামুদ্রিক বিচ্ছিন্নতা ও নীরবতার মধ্যে ধ্যান করেছিলেন। পরবর্তীকালে সেটি সাজিয়ে গুছিয়ে, পরিচ্ছন্ন করে সংগ্রহশালার চেহারায় একটি দর্শনীয় স্থান হিসাবে গড়ে তোলা হয়। নৌকা থেকে নেমে আমরা খালি পা
আরও পড়ুন19 December, 2024 - 11:30:00 AM
শ্রাবণী রায় আকিলা বিশিষ্ট লেখিকা, আমেরিকা। আজকাল নিজের বেশ বয়স হয়েছে বুঝতে পারি। কিছু বলতে গেলেই একটা "আমাদের সময়ে সেই আশি, নব্বই দশকে" বলে কথা শুরু করি। তা সেভাবেই মনে পড়ে তখনকার দিনে বাড়িতে অতিথি অভ্যাগত আসার কথা। মধ্যবিত্ত দু-তিন কামরার বাড়ি। সবসময় যে তাঁদের আপ্যায়ন করে বসানোর জন্য আলাদা করে কোনও নির্দিষ্ট ঘর থাকত তেমনও নয়। থাকলেও একদিকে পাতা থাকত একটা চৌকি বা ছোট ডিভান জাতীয় কিছু বা সরাসরি যাকে বলে একটা খাট। উল্টো দিকে লাল মেঝেতে হয়ত গোটা তিনেক বেতের চেয়ার বা অতি সাধারণ মানের একখানা দুই-তিনজন বসতে পারার মতো সোফা। টিভি কভার দিয়ে ঢাকা একটা টিভি। তার মাথার ওপরে একটা ফুলদানি। কারোর কারোর বাড়
আরও পড়ুন14 December, 2024 - 11:30:00 AM
বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইড প্রতিবেদন: কলমে সামিয়া মহসিন, নাট্যকর্মী, আমেরিকা। বরেণ্য রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার অনন্ত মহাকালের পথে যাত্রা করলেন। যে যাত্রায় নেই কোনো উদয় অস্তের ক্লান্তি। “নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম” গানটির বরেণ্য শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার অসীম যাত্রার পথে চলে গেলেন। রেখে গেলেন অসংখ্য অনুরাগী শ্রোতা। তিনি ছিলেন একাধারে রবীন্দ্র সঙ্গীতে নিবিষ্ট শিল্পী সেই সঙ্গে আধুনিক গানেও বিচরণ করেছেন। সঙ্গীতে তাঁর অসামান্য দক্ষতা ও নিখুঁত পরিবেশনার জন্য তিনি সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে বিশেষ করে রবীন্দ্রপ্রেমীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। পাপিয়া সারোয়ার ১৯৫২ সালে ২১শে নভেম্বর ব
আরও পড়ুন11 December, 2024 - 11:30:00 AM
সৌম্যেন বসু শ্রুতিনাট্যকার, আকাশবাণী কলকাতার প্রাক্তন সহ-অধিকর্তা, পশ্চিমবঙ্গ। তোমারও একটা ধূসর বাল্য ছিল সুরথনাথ জন্মমাটির সীমানা ডিঙনোর আগে ৷ জানতে কি সে কথা? মেজাইরা বোঝেনি সেদিন নৈহাটির টালির ঘরে আকন্ঠ দারিদ্রে ডুবে নিজের নিয়তি লিখছিলে সাদায় কালোয় ৷ জীবনকে পোড়াতে পোড়াতে সেই অঙ্গারে জন্ম দিলে সাহিত্যের সজীব বর্ণমালা ৷ বড় প্রেমিক ছিলে তুমি ৷ বড় সুপুরুষ ৷ দারিদ্র কী প্রেমিক করে? তাই কি রক্ত-ঘামের সাথে ছিল তোমার লাল-মুষ্ঠি অঙ্গীকার? মানুষ দেখেছ জীবনভর মানুষ খুঁজেছ কুম্ভের মানব-সাগরে ৷ অমৃত আর গরলের অন্বেষায় কালকূট হয়েছ তুমি ৷ বড় বিতর্কিত ছিলে ৷ জীবনে, জীবন-লেখা
আরও পড়ুন9 December, 2024 - 11:30:00 AM
মানিক পণ্ডিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক ও সাহিত্যিক, পশ্চিমবঙ্গ। দ্বিতীয় পর্বের পর... গাড়িতে যেতে আলাপচারিতায় বোঝার উপায় ছিল না যে একে অপরের সঙ্গে স্বল্প সময়ের পরিচিতি। শান্তি বা মঞ্জু খুবই সপ্রতিভ এবং খোলা মনের মানুষ বুঝতে পারলাম। ওদের অনর্গল কথা বলা, আন্তরিকতা এবং শ্রদ্ধার প্রকাশ অবাক করে দেওয়ার মতো। গড়পড়তা নেপালের সব মানুষই বোধহয় বিশেষ এই গুণ অর্জন করে বসে আছে! মহাউপনিষদের সেই বাণী মনে এলো- ”বসুধৈব কুটুম্বকম” (পৃথিবীর সব মানুষকে কুটুম্ব বিবেচনা করবে)। এই বাণী প্রকৃতই এরা যেন হৃদয়ে ধারণ করেছে। বিকেল গড়িয়ে গেছে, সন্ধ্যা নামতে প্রায় দুঘন্টা বাকি। আশঙ্কায় ছিলাম যে এত বড় এবং বৈচিত
আরও পড়ুন8 December, 2024 - 11:30:00 AM
মানিক পণ্ডিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক ও সাহিত্যিক, পশ্চিমবঙ্গ। প্রথম পর্বের পর... সকাল হয়ে গেল, বাইরেটা পরিস্কার কিন্তু তখনও রোদ্দুরের দেখা নেই। বাস একটি মোটেলের সামনে এসে দাড়ালো। আমি ছাড়াও এ অঞ্চলের যাত্রীতে বাসের আসন মোটামুটি ভর্তি। ঘড়ি বলছে সকাল ৭:২০ মিনিট। এখানে নেমে নাইট সার্ভিস বাসের কিছুটা ফ্রেস হয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। চা-কফি-স্ন্যাক্স বা ব্রেকফাস্ট করে আবার দৌড় শুরু হয়ে যায়। বাস থেকে নেমেই জলের দিকে গেলাম। জলে হাত ছোঁয়াতেই আঙুল চিনচিন করে উঠল, মনে হল ৯-১০ ডিগ্রির কাছাকাছি। কোনমতে চোখে-মুখে জলহাত বুলিয়ে কফির টেবিলে এসে কফি সহযোগে হাল্কা নাস্তা ইত্যাদি তাড়াতাড়ি সেরে আ
আরও পড়ুন7 December, 2024 - 12:30:00 PM
মানিক পণ্ডিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক ও সাহিত্যিক, পশ্চিমবঙ্গ। নেপালের চাইন্ড লিটারেচার রিসার্চ সেন্টারের (সিএলআরসি) আমন্ত্রণে যাচ্ছি কাঠমান্ডু। এ উদ্দেশ্যে রওনা দেব বলে পূর্ব প্রস্তুতি মতো ৮ মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যায় শিয়ালদা স্টেশনে হাজির হলাম। ১৩১৪৯ কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে প্রথমে যেতে হবে শিলিগুড়ি। চড়ে বসলাম এবং ট্রেন নির্ধারিত সময় মতোই রাত ৮:৩৫ -এ ছাড়ল। একদিকে শিশুকিশোর সাহিত্য নির্মাণের থিসিস উত্থাপন এবং আলোচনা, অন্যদিকে শিশু-কিশোর সাহিত্য উৎসবেও যোগ দেব। এক কাজে দু'কাজ সাহিত্য আর ভ্রমণের সুযোগ। কাঠমান্ডু শহর থেকে প্রায় চারশো কিলোমিটার দূরে রামিছাপ জেলার বামতি ভান্ডার
আরও পড়ুন6 December, 2024 - 11:30:00 AM
কৃষ্ণা রায় বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষা, লেখিকা, পশ্চিমবঙ্গ। প্রথম পর্বের পর... তবে গোলাম মুরশিদের লেখার সূত্র ধরে দুটি প্রশ্ন উঠে আসে। এই ঘটনার পর মধুসূদন আর কত দিন ইংরেজীতে কাব্য চর্চা করেছিলেন আর বাংলা সাহিত্য চর্চা কবে থেকে শুরু হল? মধুসূদনের রচনাবলী খুঁজে যা পাওয়া যাচ্ছে, ১৮৪১-৪২ সাল থেকে ইংরেজী ভাষায় তাঁর অজস্র কবিতার সম্ভার ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত বহমান ছিল। এরই মধ্যে ভিন্ন ধর্মগ্রহণ, জীবনযাত্রার পালাবদল ইত্যাদিতে কবিতা লেখা সাময়িকভাবে বন্ধ হলেও নিজের কবিকৃতি সম্বন্ধে আত্মবিশ্বাসে তিলমাত্র ভাটা পড়েনি। প্রথম কাব্যগ্রন্থ, প্রকাশিত হয়েছে ১৮৪৯ সালে, সাংবাদিকতা করছেন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। লিখে
আরও পড়ুন