কন্যার পিতা
11 June, 2024 - By Editor Role
6 June, 2024 - 02:05:00 PM
চম্পাকলি আইয়ুব।অবসরপ্রাপ্ত বিজ্ঞান-গবেষক। মুম্বাই নিবাসী প্রথম পর্বের পর... 'কাসল'-এর পূর্ব দিকের ফটকটির পথের পাশে একটু উঁচুতে থাকা যে ঘর তাতে যে স্তম্ভগুলো ছিল তাদের সামান্য অংশ এখনও দেখা যায়। তেমন একটি স্তম্ভের নিচের অংশে রয়েছে বড় একটি চৌকো পাথরের ওপর ডমরুর আকারের আরেকটি বড় পাথর; ডমরুর ওপর ও নিচের তল একদম মসৃণ। কয়েকটি চৌকো, বড় পাথর দেখেছি যাদেরও ধারগুলো একদম মসৃণ। এছাড়া সেখানে রয়েছে কিছু নিটোল গোল কিন্তু লম্বাটে পাথর যা সম্ভবত ছিল কোনো স্তম্ভের অংশ। কী ধরণের যন্ত্র ব্যবহার করে সেযুগের মানুষ এমন অবিশ্বাস্য রকমের নিখুঁত কাজ করেছিল সে সম্বন্ধে এখনও কিছুই জানা যায়নি। 'বেইলি'-তে থাকা একটি গো
আরও পড়ুন6 June, 2024 - 01:05:00 PM
চম্পাকলি আইয়ুব। অবসরপ্রাপ্ত বিজ্ঞান-গবেষক। মুম্বাই নিবাসী ছোটবেলা থেকে হরপ্পা-সভ্যতা সম্বন্ধে আমার প্রবল কৌতূহল। ইতিহাস বইয়ে যতটুকু পড়েছি তাতে রোমাঞ্চিত হয়েছি দু'টি কারণে প্রথমটি ঐ সভ্যতার উচ্চমান আর দ্বিতীয়টি সেই সভ্যতার বিলীন হয়ে যাওয়ার রহস্য। প্রাচীন ঐ সভ্যতার প্রধান নিদর্শন রয়েছে হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোতে কিন্তু সেই দুটি জায়গাই বর্তমানে পাকিস্তানে তাই ইচ্ছে থাকলেও সেখানে যাওয়া আমাদের জন্য সহজ নয়। তবে ভারতেও বেশ কয়েকটি অঞ্চলে হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে। তাদের মধ্যে একটি রয়েছে গুজরাতের 'গ্রেট রণ অফ কচ্ছ'-এ ও হরপ্পা সভ্যতার বড় বসতিগুলোর মধ্যে সেটির স্থান পঞ্চম। 'রণ অফ কচ্ছ' হ্রদের ...
আরও পড়ুন6 June, 2024 - 11:20:00 AM
ডাঃ জিয়াউদ্দিন আহমেদঅধ্যাপক মেডিসিন এবং কিডনি বিভাগটেম্পলে বিশ্ববিদ্যালয়, ফিলাডেলফিয়া। প্রথম যখন ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা এলাম সে সময় ফিলাডেলফিয়ার আশেপাশে পশ্চিমবাংলার বেশ কিছু মানুষের সাথে পরিচয় হয়, ঘনিষ্ঠতা হল। এই সংযোগ ঘটিয়েছিলেন একজন প্রিয় মানুষ, এখন প্রয়াত, সুযশ গুহ রায়। তিনি বাংলাদেশি ফার্মাসিস্ট এবং ঢাকার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তার তিন বোনের মধ্যে দুই জনের মুক্তিযুদ্ধের আগেই কলকাতায় বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। আর পরবর্তী সময়ে দুই ভাই আর তিন বোন কলকাতায় থাকতেন। তবে বাবা-মা বাংলাদেশেই ছিলেন। স্বাভাবিক কারণেই দুই বাংলার মানুষের জন্য সুযশদার ছিল সমান ভালোবাসা। বাংলাদেশ কমিউনিটি তখন বে
আরও পড়ুন30 May, 2024 - 01:05:00 PM
শান্তনু দত্ত চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক অবসরপ্রাপ্ত উপ তথ্য অধিকর্তা, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার। প্রথম পর্বের পর... ১৯১৪ সালের পর সেলুলার জেলের অভ্যন্তরে যে সংগ্রামের শুরু হয় তাতে পাঞ্জাবি ও শিখ বন্দীরা অসমসাহসের পরিচয় দেন। এঁরা প্রচন্ড বলশালী ব্যক্তি ছিলেন। জেলের ওই অল্প পরিমাণ অখাদ্যের ও কঠোর পরিশ্রমের বিরুদ্ধে এঁরা ক্রমাগত প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। ফলত নানা রকমের সাজা ও Penal diet। পাঞ্জাবের বিপ্লবীরা বলতেন এই সামান্য খাদ্য খেয়ে খিদেও মেটে না উপরক্ত আরও বেশি খিদে পায়। তাই তাঁরা অনেকেই খাওয়া ছেড়ে দেন। আড়াই তিন মন ওজনের এক একজন সর্দারজি বন্দীর ওজন কমে দাঁড়ায় ২৫ সের ৩০ সের। প্রথম থেকে ...
আরও পড়ুন30 May, 2024 - 12:05:00 PM
শান্তনু দত্ত চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক অবসরপ্রাপ্ত উপ তথ্য অধিকর্তা, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার। স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে আন্দামান সেলুলার জেলের নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় সহস্র মাইল দূরে বঙ্গোপসাগরের মধ্যে অবস্থিত আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের এক দ্বীপে এই ভয়ঙ্কর 'কারাগারটি' ব্রিটিশ শাসকরা গড়ে তোলে ১৮৫৭ সালের প্রথম সিপাহী বিদ্রোহের পরে। বেশ কিছু বিদ্রোহীকেও সিপাহীকে প্রথম এই জেলে বন্দী করে নিয়ে আসা হয়। এই সময় দেশ থেকে বেশ কিছু ওয়াহাবি বিদ্রোহীকেও আন্দামানে নির্বাসিত করা হয়। এই সব বিদ্রোহীদের নাম জানা যায় না। ১৮৭২ সালে যখন গভর্নর জেনারেল লর্ড মেয়ো আন্দামান পরিদর
আরও পড়ুন30 May, 2024 - 11:15:00 AM
সিলভীয়া পান্ডীত। আমেরিকা নিবাসী। কবি-সাহিত্যিক। প্রথম দেখা কলকাতায় আমাদের প্রথম দিন বিকেল বেলা দেখা হয়েছিল অমলেশদার সাথে। খুব fruitful ছিল এই দেখা। অমলেশদাকে আমি চিনি ২০২০ সাল থেকে। উনি আমার একটা লেখা পড়ে আমাকে Facebook-এ খুঁজে বের করেন তারপর থেকে দাদা আমার ভক্ত আর আমি দাদার। অমলেশদা হলেন জ্ঞাণের ভান্ডার, ওনার সাথে যত কথা বলি তত জ্ঞাণ আহরণ করি। চারদিনের সফরে পুরো একটা দিনের অর্ধেক দিন অমলেশদার সাথে কাটিয়েছি। দাদার সাথে গ্র্যান্ড হোটেলের swimming pool এর পাশে বসে আমি আর সালমা আড্ডা দিয়েছি এবং কফি খেয়েছি। সালমা ওর স্বভাব মত swimming pool-এর পানিতে পা ডুবাচ্ছিল আর মনের আনন্দে selfie তুলছিল তা
আরও পড়ুন28 May, 2024 - 11:15:00 AM
Sudhish Pai, Senior Advocate If greatness consists in the combination of character and intellect of the highest order and if it is to be judged by the enduring value of solid work done in the fields of thought and action and its lasting impact on people and events, Sir Asutosh Mukhopadhyay was undoubtedly one of the most outstanding men, one of India’s greatest sons. Mathematician, lawyer, judge, jurist, educationist, he was all this and more- greatness personified, great in the truest and noblest sense of the term. 25th May, 2024 marks the centenary of his passing. It is appropriate that we ...
আরও পড়ুন28 May, 2024 - 10:15:00 AM
স্বপন সোম প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ও সংগীত গবেষক সেই যে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন- 'বাংলা সাহিত্য ভাণ্ডারে রত্ন যাহা কিছু পাওয়া যায়, তাহা গান।'-হ্যাঁ, বাংলা গান। বঙ্গ সংস্কৃতির অন্যতম উজ্জ্বল অংশ বাংলা গান। দীর্ঘ পরম্পরাবাহী বাংলা গান অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও বৈচিত্রময়। এ গানের আদি পর্বে ছিল চর্যাপদের গান। এই গানের মাধ্যমে বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যেরা শিষ্যদের শিক্ষা দিতেন ধর্ম সম্পর্কে। গানগুলি তত্ত্বকথার হলেও রাগ-রাগিণী সমৃদ্ধ ছিল। ক্রমশ এল কবি জয়দেবের গীতগোবিন্দ, বড়ু চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন এবং মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যের আবির্ভাবের পরে কীর্তন গান। খণ্ডকীর্তন এবং পদাবলী কীর্তনে ভক্তমনের আকুতি প্রকাশ পেল। কীর্তনের মধ্
আরও পড়ুন25 May, 2024 - 11:30:00 AM
সহেলী রায়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বল বীর —আমি চির-উন্নত শির! আমি চিরদুর্দ্দম, দুর্বিনীত, নৃশংস,মহা- প্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস,আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর! কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার কবিতার মাধ্যমে নিজেকে শক্তি, নির্ভীকতা এবং পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছেন। তিনি নিজেকে এক অনমনীয়, প্রতিরোধহীন, এবং পরিবর্তনের সৃষ্টিকারী শক্তি হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তার যে বিদ্রোহী মনোভাব ছিলো সে শুধু ইংরেজদের বিরুদ্ধে নয়। তা ছিলো সমাজের গোঁড়ামির বিরুদ্ধে এবং ধর্মনিরপেক্ষতার, সাম্যবাদের উদ্দেশ্যে। তিনি ইংরেজদের অত্যাচার এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রামের আহ্বান জানিয়েছ
আরও পড়ুন25 May, 2024 - 11:10:00 AM
দেবদূত ঘোষঠাকুর, বিশিষ্ট সাংবাদিক আমি তখন একটি বহুল প্রচারিত বাংলা পত্রিকার চিফ রিপোর্টার। সময়মতো অফিসে না এলে, ঠিক সময়ে লেখা জমা না দিলে কিংবা যখন তখন ছুটি নিয়ে ফাঁকিবাজির চেষ্টা করলে আমি রিপোর্টারদের বিস্তর গালাগাল করতাম। আমার গলার যা জোর, সেই গালাগালি নিউজ রুমের এক মাথা থেকে অন্য মাথায় পরিষ্কার শোনা যেত। কিন্তু তার নিয়ে আমার সহকর্মীদের প্রতিক্রিয়া কিংবা অভিব্যক্তি কেমন ছিল তা জানতেই পারতাম না, যদি না ঘটনাটি ঘটত। কি ঘটনা? এক জুনিয়র রিপোর্টার কে একদিন নিজের টেবিলে ডেকে বিস্তর বকাবকি করে লাইব্রেরিতে পাঠালাম একটি কাগজ আনতে। বেশ কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পরেও সে না আসায় ফোন করলাম ওর মোবাইলে।
আরও পড়ুন