রোগী এবং চিকিৎসকের মধ্যে গড়ে উঠুক বিশ্বাসের সেতু
19 February, 2019 - By Bangla WorldWide
19 February, 2019 - 10:55:00 PM
আমার ঠাকুর্দার বোলপুরে চাল-টালের একটা ব্যবসা ছিল বটে। কিন্তু তারপরে আর আমার পরিবারের কেউ ব্যবসা-বাণিজ্যের রাস্তা মাড়াননি। আই আই টি-তে আমার সহপাঠীদের মধ্যেও এক-আধজন ছাড়া আর কেউ নিজস্ব উদ্যোগ গড়েনি, অন্ততঃ আমি শুনিনি। মাঝে কিছুদিন সোরোসকে অংশীদার হিসাবে পেলেও আর্থিক বাদে অন্য দিক থেকে আমার উৎসাহদাতাও কেউ কোনওদিন ছিলেন না। কাজেই বলতে পারেন, আমার চলার পথ কিছুটা যেন 'একলা চল রে'। তাই আমি ঘটনাচক্রে উদ্যোগপতি। 'অ্যাক্সিডেন্টাল এন্টারপ্রেনিওর' বলতে পারেন। আমি নিজেই ছোটবেলায় চেষ্টা করেছিলাম শেয়ার ইকোনমিকে কেন্দ্র করে অন্যরকম কিছু করতে। আমাদের একেক বাড়িতে একেক খবরের কাগজ আসে। পড়ার পর দুপুরের আগেই তার দা
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 10:40:00 PM
দেবদূত ঘোষঠাকুর, আনন্দবাজার পত্রিকার প্রাক্তন চিফ রিপোর্টার কাহিনী-এক মাস আটেক ধরে কলেজ স্ট্রিট এলাকার একটি সরকারি হাসপাতালে তাঁর আট বছরের মেয়েকে নিয়ে আসছিলেন বসিরহাট এলাকার এক ভদ্রলোক। মেয়ে দিনকে দিন রোগা হয়ে যাচ্ছে। যা খাচ্ছে বমি হয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসকের নির্দেশ মতো পরীক্ষার পরে পরীক্ষা হয়ে যাচ্ছে। বার বার ওষুধ বদলে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু রোগটা যে কি তা জানতেই পারছেন না ওই ব্যক্তি। চিকিৎসককে জিজ্ঞাসা করেননি? গ্রামের কৃষিজীবী বাবার জবাব, বার বার চেষ্টা করেও ডাক্তারবাবুর সঙ্গে দেখা করতে পারছি না। নার্স দিদিরা কিছুই বলছেন না। আমার শ্যালক এসে নার্স দিদিদের কাছে চাপাচাপি করেছিলেন, তাঁকে এক ছোট ডাক্তারব
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 10:35:00 PM
ডাঃ অশোক ঘোষাল, চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ভারত তথা সমগ্র এশিয়াতে ত্বকের অসুখের চিকিৎসাক্ষেত্রে কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গ সবসময়ই এক অগ্রণীর ভূমিকা নিয়ে এসেছে। সেই ১৯১৪ সালে ক্যালকাটা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় থেকে অন্যান্য ট্রপিক্যাল রোগগুলির সঙ্গে চর্মরোগের চিকিৎসার দিকেও নজর পড়তে থাকে। কুষ্ঠরোগ, ছত্রাকজনিত বিভিন্ন রোগের বিষয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিশ্বের প্রথম সারির প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে গণ্য হত। প্রয়াত ডাঃ গণপতি পাঁজা এখানেই প্রথম ডারমাটোলজি বিষয়ক গবেষণা এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা শুরু করেন সম্ভবত গত শতাব্দীর তিরিশের দশকে। সেই থেকে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চর্মরোগের
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 07:23:00 PM
পুরনো কলকাতার গল্প লেখাপড়া আর আড্ডায় কলকাতার কলেজ স্ট্রিটের সাথে প্রায় সমস্ত মানুষের এক 'অলিখিত' সম্পর্ক। বাঙালির রন্ধ্রে বইয়ের গন্ধ, আর তার খনি- যা ফরাসি ভাসার "মাইন ডি লিভর" হচ্ছে আমাদের কলেজ স্ট্রিট বই পাড়া। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম 'সেকেন্ড-হ্যান্ড' বইয়ের বাজার এবং ভারতের বৃহত্তম বইয়ের বাজার হ'ল এটি। উত্তর- মধ্য কলিকাতার এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে অবস্থিত বইপাড়া বউবাজার অঞ্চলের গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ'র মোড় থেকে মহাত্মা গান্ধী রোডের মোড় পর্যন্ত প্রায় ১.৫ কি.মি. রাস্তার দুধারে প্রসারিত। কলেজ স্ট্রিটের ইতিহাস প্রায় ২০০ বছরের পুরনো। লটারি কমিটির মাধ্যমে চারটি প্রধান axis road তৈরি করা ...
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 07:17:00 PM
লেখক ডাঃ সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়, ওয়েস্ট বেঙ্গল হেল্থ সার্ভিস-এ কর্মরত ছিলেন। গল্প ও উপন্যাস রচয়িতা। গত শতাব্দীর ছয়-এর দশকের কথা। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি কাল অতিক্রান্ত। সদ্য কৈশোর পেরোনো এক ঝাঁক তরুণ মফস্বল থেকে ডাক্তারি পড়তে এসেছি ঢাকা মেডিকেল কলেজে। তখন পূর্ব পাকিস্তান, বাংলাদেশ তখনও ভবিষ্যতের গর্ভে। আমাদের মধ্যে ঢাকা শহরেই জন্মকর্ম এমন অনেকে ডাক্তারি পড়ুয়া যেমন ছিল, আমরা যারা ঢাকা শহরের বাইরে থেকে এসেছিলাম তাদের সংখ্যাও কম ছিল না। হয়তো আমরা মফস্বলিরাই ছিলাম সংখ্যাগরিষ্ঠ। সত্যি কথা বলতে গেলে শুধু মেডিকেল কলেজই নয়, গোটা ঢাকা শহরটাকেই আমরা পরম বিস্ময়ে একটু একটু করে তখন আবিস্কার করছি রোজ। সারা দেশ
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 07:08:00 PM
Dr. Uday Chaudhury, Psychiatrist In the olden days, mental health care was meant for theinsane , chained & locked up in asylums.This was directed more towards safe guarding society rather than benefit of the patients. In the 18th century the first landmark humanitarian care in psychiatry was pioneered by Philip Pineal in Paris, France.It then spread across the globe.Prior to the 1950s, entire psychiatric care was based on psychoanalysis & other psychosocial interventions. According to Leon Eisenbergh “Psychiatry was suffering from Brainlessness”. Next came the 1990s , which was declared as the...
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 06:55:00 PM
লেখক ডাঃ পাঞ্চজন্য ঘটক প্রায় ২৩ বছর বিলেত প্রবাসী | প্রায় ১৭ বছর কাজ করছেন ফরেনসিক সাইকিয়াট্রিতে | বর্তমানে এলিসিয়াম হেলথকেয়ার সংস্থায় ক্লিনিকাল ডিরেক্টর এবং কনসালটেন্ট সাইকিয়াট্রিস্ট | নাটক ও সিনেমায় অভিনয় ও লেখালিখি তাঁর অন্যতম নেশা। ১৯৮৩ বা ১৯৮৪ সাল | নরেন্দ্রপুরে শিশু কবি সম্মেলনে সেবার সভাপতি হয়ে এসেছিলেন কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী | শিশু কবি সম্মেলন হতো ক্লাস ফাইভ থেকে সেভেনের ছেলেদের জন্য | সাধারণতঃ জুনিয়র সেকশনের অ্যাসেম্বলি হলে | নীরেন্দ্রনাথ বড়ো মাপের কবি | আনন্দমেলার সম্পাদক ছিলেন তখন | সব ছাত্রদেরই খুব প্রিয় | তাই বোধহয় সেবার সম্মেলনটি অডিটোরিয়ামে (Vivekananda Centenary Hall ) হয়ে
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 06:50:00 PM
গণেশ চক্রবর্তী। একজন টেলিকম বিশেষজ্ঞ। রেলটেল-এর প্রাক্তন দেপুটি জেনেরাল ম্যানেজার। সংখ্যাতত্ব দিয়ে সব সমস্যার সমাধান হয় নাl আর এই সংখ্যা দিয়ে সমস্যার গভীরতাও সব সময় বোঝা যায় নাl মাপাও যায় না আমরা কতটা ডুবে আছিl বিশাল আমাদের দেশ ভারতবর্ষl অন্তহীন সমস্যায় জর্জরিত -সীমানার মধ্যে আবার সীমানার বাইরে থেকেও নানা উপদ্রবl দেখে মনে হয় -অনেক অনেক এগিয়েছে আমাদের দেশ l এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেইl তবে এই এগনোর পরিমাপ সবটাই আপেক্ষিকl যখন দেখি পাকিস্তান বা বাংলাদেশ বা মায়ানমার - তখন মনে হয় আমরা অনেক ভালো আছিl অনেক উন্নতি করেছিl আবার যখন যাই সিঙ্গাপুর বা মালয়েশিয়া বা থাইল্যান্ড - যারা আমাদের থেকে অনেক অনেক পর
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 06:34:00 PM
সাখাওয়াৎ ভুঁইয়া তোমাকে ছেড়ে চলে এসেছি যেদিন, সেদিনের উজ্জ্বল আকাশে সূর্যস্নানে, ফাল্গুনের দখিনা বাতাসের সাথে, খুব একটা মাখামাখি ছিলো না কারো। না ভোর, না রাত এমনই এক আবহ, মুহূর্তেই আঁধারে ঢেকে গেলো। তারপর আর তোমাকে মা বলে ডাকা হয়নি, তারপর আর তোমার ভাষায় কথা বলা হয়নি। খুব ইচ্ছে করে মাগো, আবার যদি জন্ম নিতে পারতাম, আর একবার, মানুষ না হই, কৃষ্ণচূড়া বা পলাশের ডালে, যদি আবার বসন্ত বউরি পাখি, নয়তো সাদা কবুতর আকাশের গায়, খুব ইচ্ছে করে,মাগো। তোমাকে একবার, মাত্র একবার, বাংলায় মা বলে ডেকে, নিজের মুখের ভাষায় স্বাধীন ব্যাকরণে, পাশে ঘেঁষে বসে থাকি। সাজিয়ে বর্ণমালা কাঞ্চনাভ লালে, আবার দোয়েল হবো, পলাশে
আরও পড়ুন19 February, 2019 - 06:25:00 PM
মৌসুমী পাল, রন্ধনশিল্পী জলপথ বিহারে, একের পর এক সৃষ্টি উঠে এসেছে রবীন্দ্রনাথের কলমে। কাব্য-সাহিত্যের সেই বিপুল সৃষ্টির মধ্যে কবিগুরুর এই জলপথ ভ্রমণের সময় জন্ম নিয়েছিল আহারের এক পদ। মাঝেমধ্যেই স্টিমারে চড়ে পদ্মায় ভেসে পড়তেন রবীন্দ্রনাথ। জলপথে যেতেন ওপার বাংলার গোয়ালন্দে। দীর্ঘ পথ। এমনই একটা দিন, রান্নার সময় পর্যাপ্ত জিনিস কম পড়ল। কবিগুরুর জন্য রান্না করতেন স্টিমারের চালক স্বয়ং। একদিকে স্টিমার চালানো, সেইসঙ্গে রান্না। মুরগীর মাংস রাঁধতে গিয়ে, সময় বাঁচাতে সেদিন অনেকটা বিরিয়ানির ধাঁচে আঁচে বসিয়ে দিলেন মাংসের সঙ্গে সেদ্ধ ডিম, আলু এবং অন্যান্য উপকরণ। তৈরি হয়ে গেল মুরগীর মাংসের এক নতুন পদ। সেটি খেয়ে
আরও পড়ুন