একাত্তরের সেইসব দিন
3 April, 2019 - By Bangla WorldWide
1 April, 2019 - 02:50:00 PM
রেজওয়ান সিদ্দিকী অর্ণ। সাংবাদিক, বাংলাদেশ ভ্রমণ করার জন্য মানুষের আলাদা একটি মন প্রয়োজন। যে মন কেবলি তাগাদা দেবে নিজ বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ার জন্য। ভ্রমণ করার জন্য কেনো অদেখা জায়গা। যদিও সবার ভ্রমণের মন থাকে না। কিছু মানুষ কেবল নিজের বাসা, কর্মক্ষেত্র আর এলাকার চায়ের দোকানে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে জীবন কাটিয়ে দেয়। কিন্তু এটা তো কোনও জীবন নয়। মানুষের বেঁচে থাকাকে অর্থবহ করে তোলে ভ্রমণ। এই ভ্রমণের মাধ্যমে মানুষ নিত্য নতুন কিছু আবিষ্কার করতে পারে। বাড়াতে পারে চেনা জগতের বিস্তৃতি। অনেকে মনে করেন, ভ্রমণ করতে হলে প্রচুর টাকা পয়সার প্রয়োজন হয়। সময় দরকার হয়। বিশেষ করে আবার মধ্যবিত্ত ছাপোষা চাকুরিজীবি কিং
আরও পড়ুন1 April, 2019 - 12:30:00 PM
লেখক কুশল রায় International Business in Secure Print Solutions Pvt. Ltd-এর Vice President তখন আমার বয়স ১০ বছর পেরোয় নি। রেডিওতে পূর্ব পাকিস্তানের "কমার্শিয়াল সার্ভিস" শুনি আমরা অনেকেই আগরতলায় - জাহাজ মার্ক আলকাত্রা , ইস্পাহানি চা , হক ব্যাটারির সেলের বিজ্ঞাপন। যতদূর মনে পরে মার্চ মাসের সকাল। শেখ মুজিবর রহমানের রমনা মাঠের সেই উদাত্ত ভাষণ রেডিওতে হঠাৎ ভেসে এলো....."তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে লড়তে হবে....এ সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম..এ সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ....." তারপরের ঘটনাবলী এই এতগুলো বসন্ত পেরুনোর পরেও আমার মনের কোনে যেন ছবির মতো জুড়ে আছে।বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধ আমাদের শিশুমনের ওপর ব
আরও পড়ুন30 March, 2019 - 12:45:00 PM
স্বরোচিষ সরকার। অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলা ভাষায় প্রতিষ্ঠানিকভাবে উচ্চশিক্ষার সূচনা হয় বিশ শতকে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। তবে সীমিত আকারে হলেও উনিশ শতকেও বাংলা ভাষায় উচ্চশিক্ষার কিছু কিছু উদাহরণ তৈরি হয়। যেমন উনিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে কলকাতায় এবং ঐ শতকের সত্তর দশক থেকে ঢাকায় ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা মাধ্যমে চিকিৎসাবিদ্যা পড়ানো হতো। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল স্কুলের শিক্ষকগণ বাংলা ভাষায় চিকিৎসাবিজ্ঞানের বেশ কয়েকটি বই লিখে যুগান্তকারী উদাহরণ সৃষ্টি করেছিলেন। ঐসব বইপ্রণেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ডাক্তার কাশীচন্দ্র দত্ত এবং ডাক্তার দুর্
আরও পড়ুন30 March, 2019 - 12:10:00 PM
লেখক শান্তনু সরস্বতী হস্টেলে যখন ফিরলো, তখন রাত এগারোটা। অনন্যা ওকে পৌঁছে দিয়ে বিদ্যুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিল। শুধু যাওয়ার আগে কাঁচ নামিয়ে বললো, "বাড়িতে পৌঁছে একটু ফ্রেশ হয়ে ফোন করবো তোমাকে। অসুবিধা নেই তো?" অরিত্র মাথা নেড়ে সায় দিয়ে বললো, "জেগে থাকবো।" অনন্যার ফোন এসেছিল যখন, তখন রাত পৌনে বারোটা। দু একটা কথা বলে অরিত্রকে ঘুমিয়ে পড়তে বললো অনন্যা। কিন্তু অরিত্রর কিছুতেই ঘুম আসছিল না। চোখ বুজলেই অনন্যার মুখটা, হাসিটা মনে পড়ে যাচ্ছিল। সামলাতে পারছিল না নিজেকে। নিজেকে দেখে আজ নিজেরই কেমন যেন অবাক লাগছিল ওর। এক দিকে যেমন একটা অজানা আনন্দ চেপে বসেছিল মনের মধ্যে, অন্য দিকে ঠিক তেম
আরও পড়ুন29 March, 2019 - 05:45:00 PM
লেখাটি ত্রিপুরার প্রয়াত মীরা ঘোষের 'দিনলিপি' থেকে গৃহীত মনে পড়ছে ১৯৭১ সালের কথা। সারা ত্রিপুরা উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছে। প্রতিদিন রেডিওতে কান লাগিয়ে শোনা অত্যন্ত ক্ষীণ ব্রডকাস্টে প্রচারিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ঘোষণা পল্লবিত হয়ে মুখে মুখে ছড়িয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধ আর যুদ্ধ। যেন আমরাই স্বাধীনতার লড়াই লড়ছি। আমাদের সামনের উঠোনে ট্রেঞ্চ, সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ঘুরে ঘুরে যাচ্ছে। একটুও অসাবধান থাকবার জো নেই। আমাদের স্যার কিন্তু পাকিস্তানের পরাজয় সম্বন্ধে নিশ্চিত জেনেও সাইরেন বাজলেই সবার আগে ট্রেঞ্চের ভেতরে ঢুকে যেতেন। সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা তো সেরকমই বলেছে। কিন্তু ভেতরে ঢুকে গেলে তো বাইরের আকাশে ক
আরও পড়ুন29 March, 2019 - 02:25:00 PM
বলাকা দত্ত কই, রোদ তো তেমন উঠলো না,গুঁড়ো গুঁড়ো আলোর রেণু আমার গায়ে ছড়িয়ে পড়লো না;আশা ছিল, চোখ মেলেই দেখতে পাবো তোমায়দাঁড়িয়ে আছো আমার মাথার পাশে-আলোয় আলো হয়ে উঠেছে পূবদিকতুমি ক্রমাগত ঝুঁকে পড়ছো আমার দিকে,আর আমি, ভেসে যাচ্ছি বয়ে চলেছি ডুবে যাচ্ছিকী এক অসহ্য সুখে!! কোথায় পার কোথায় মান্দাস!! গতকাল নিমের ডালে, ঠিক যেখানে রোদ বসেছিলআজও সেই সময় একইভাবে বসে আছে ওই ডালে,নতুন বছরের প্রথম দিনে, ওরও তো ইচ্ছে হয়পা ছড়িয়ে গা এলিয়ে দিতেনরম বুকের আদুরে আঁচে একটু জরিয়ে মরিয়ে থাকতে!নতুন! নতুন! আর নতুন! বলতে পারো কিসের নতুন!বাঁধাধরা রোদ নিমের ডালেবছর আসে, বছর ঘুরে যায় আমার সমস্ত পূবদিক আড়াল করেস্থির দাঁড়িয়ে আছো ত
আরও পড়ুন29 March, 2019 - 01:35:00 PM
ঢাকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের সাক্ষাতের সম্পূর্ণটা জুড়েই ছিল ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ। বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ সন্ধ্যায়, শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন সুনীল দত্ত ও নার্গিস-পুত্র সঞ্জয়।
আরও পড়ুন29 March, 2019 - 11:55:00 AM
অমিতাভ কর চারদিকে বড় বেশী ভীড়, কোলাহল, নৈঃশব্দ ফোটানো এক সুকঠিন কাজ। একদিন সমুদ্র গর্জনে মুগ্ধ হয়ে পরে বুঝতে পেরেছি গর্জনে কবিতা নেই, কবিতা রয়েছে অনুচ্চ শিশিরপতনের শব্দে, ঘাসের ভেতর। কথা শেষ হলে পড়ে থাকে সাদা পৃষ্ঠা, তখনই বুঝতে পারি, সব কাগজের লেখা মুছে দিলে শ্রেষ্ঠ পদ্য লেখা হবে। অথচ বিভ্রান্ত নীরবতাআমাদের থেকে একা, দূরে বসে আছে।
আরও পড়ুন28 March, 2019 - 02:15:00 PM
ঋজুরেখ চক্রবর্তী পুরনো সিন্দুক খুলে, মাঝেমাঝে, ছুঁয়ে দেখি অস্ত্রের গরিমা। আমাদের উপযুক্ত ভাষা কোনও জানা নেই সুখ বর্ণনার, শুধু এক বোধগম্য বিষণ্ণতা আছে। আর আছে বিদ্বেষের পুণ্যতোয়া জলসত্রগুলি, একচ্ছত্র ক্ষমতার মতো। তন্বী বারাঙ্গনা─যার ভরা সাঁঝে টহলদারের বাঁশি কানে এলে বমির উদ্রেক হয়─সেও ক্রমিক সংখ্যার চেয়ে বড় ভাবে চৌষট্টি কলার স্তবগান। শিল্পসুষমার কাছে এতদূর ঋণী, আহা, নশ্বরের ইন্দ্রিয়পরতা! সুনির্মিত তথ্যচিত্রে দাবানল দৃশ্য দেখে বুঝি এককালে আমাদেরও নিজস্ব অরণ্য কিছু ছিল।
আরও পড়ুন28 March, 2019 - 12:45:00 PM
বাঙালি পৃথিবীর যেখানেই গেছে সেখানেই তাঁর সাহিত্য সংস্কৃতির অর্ঘ্য-থালা সঙ্গে করে নিয়ে গেছে । নৃত্য,গীত ও লেiক-সংস্কৃতি তাঁর জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ ।
আরও পড়ুন