রোগী এবং ডাক্তারের মধ্যে সমন্বয়ের ফাঁকটাই আজ অশনি সংকেত
27 April, 2019 - By Bangla WorldWide
27 April, 2019 - 02:08:00 PM
ডাঃ অশোকানন্দ কোনারতখন ডাঃ মণি ছেত্রী এস এস কে এম বা পিজি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান, প্রফেসর ডিরেক্টর। আমি সবে পাশ করে পি জি হাসপাতালে ঢুকেছি জুনিয়র ডাক্তার হিসাবে। তখন আমাদের মতো জুনিয়রদের দেখভাল করতেন ডাঃ জয়ন্ত বসু ও ডাঃ সৌরীন সিনহা। তখনও নিউরোলজি ছিল আলাদা জায়গায়। আর পি জি ক্যাম্পাসে ছিল দুটোই বিভাগ। মেডিসিন আর হার্ট। এই মেডিসিন বিভাগের মধ্যেই তখন ছিল রেনাল বিভাগ। ডাঃ ছেত্রীর ছিল জহুরীর চোখ। তিনি প্রতি বিষয়েই চিকিৎসার উন্নতি করার জন্য একজন করে যোগ্য মানুষ খুঁজতেন। তাঁদের নেতৃত্বেই পরবর্তীকালে সেই বিভাগ উন্নতি করত। ঠিক এভাবেই ডাঃ ছেত্রী রেনাল বিভাগের জন্য বেছেছিলেন ডাঃ বসুকে। আগে আমা
আরও পড়ুন27 April, 2019 - 02:07:00 PM
ডাঃ অভিজিৎ তরফদার, বিশিষ্ট নেফ্রোলজিস্ট। কী বলছেন ডাক্তারবাবু? আমার তো কখনও জ্বালা-যন্ত্রণা, ব্যথা-বেদনা কিছুই হয় নি? কিডনির অসুখ তাহলে হবে কোথা থেকে? বলতে বলতে ভদ্রমহিলা কেঁদে ফেললেন। আসলে এই ভুলটাই বেশির ভাগ মানুষ করে। প্রস্রাবে জ্বালা-যন্ত্রণা মেয়েদের মধ্যে অস্বাভাবিক কিছুই নয়। ওষুধ খেলে সেরে যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রস্রাবে সংক্রমণ কিডনি অবধি পৌঁছায়ও না। আর যে কারণে ব্যথা হতে পারে, তা কিডনি বা কিডনির রাস্তায় পাথর। সেটাও সহজেই বের করে দেওয়া যায়। কিন্তু কিডনির যে সব অসুখ ব্যথা-যন্ত্রণা না দিয়ে আসে সেগুলোই মারাত্মক। আর সেসব থেকেই ভবিষ্যতে কিডনি খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যে কারণে কিডনির অসু
আরও পড়ুন27 April, 2019 - 02:05:00 PM
বিপুল খরচ, ভারতে ৮৫ শতাংশ রোগীই ডায়ালিসিসি করাতে অক্ষম, বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে বিশেষ নিবন্ধ লিখেছেন ডাঃ জয়ন্ত বসু প্রতি বছর মার্চ মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্ব কিডনি দিবস হিসাবে পালিত হয়। প্রতি বছর একটি করে থিম থাকে এই দিনটি পালনের জন্য। এবারের থিম হল: Kidney health everywhere, for everyone. এই থিমের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য বুঝতে হবে। সরা বিশ্বে উন্নত ও উন্নতিশীল দেশগুলির মধ্যে একটা অসাম্য আছে। মাথাপিছু রোজগারের ভিত্তিতে বিশ্ব ব্যাঙ্ক সমস্ত দেশকে ভাগ করেছে। এইখানেই 'সবার জন্য সর্বত্র' কথাটির তাৎপর্য। যেসব দেশের মাথাপিছু রোজগার কম, তাদের পক্ষে এই কিডনি জনিত রোগের বিরুদ্ধে লড়াই বেশ বড় চ্যালেঞ্
আরও পড়ুন24 April, 2019 - 12:15:00 PM
যোগাচার্য ডা. দিব্যসুন্দর দাস। (হোমিও ও যোগ চিকিৎসক ; প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ, ওয়ার্ল্ড যোগ সোসাইটি) এক্সিকিউটিভ যোগা তথা কর্পোরেট যোগা বা অফিস যোগ বিশেষ করে আইটি সেক্টরগুলিতে বিশেষ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সমাজে যারা উচ্চপদস্থ পর্যায়ের মানুষ বা ব্যক্তিবর্গ তথা অফিসার, আধিকারিক, ডাইরেক্টর, ম্যানেজার, সংস্থাপ্রধান, বিভাগীয় প্রধান, গঠনমূলক (লিমিটেড) ও যৌথসংস্থা (কর্পোরেট প্রধান সকল ব্যক্তিবৃন্দকে এক্সিকিউটিভ ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হয়। ব্যবসা, বাণিজ্য, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-কাছারি, আদালত, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠানের প্রধান সকলকেই এই পর্যায় ধরা যেতে পারে। সমস
আরও পড়ুন17 April, 2019 - 02:15:00 PM
একটা আস্ত গ্রাম যে এমন রঙিন হতে পারে, তা নিজের চোখে না দেখলে আপনার বিশ্বাসই হবে না। সেই গ্রামের সকলেই শিল্পী। তাই প্রত্যেকের নামের সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে ‘চিত্রকর’ শব্দটি। এই বাংলার সংস্কৃতিকে পটচিত্রে ধরে রাখা গ্রামটির অবস্থান পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায়। নয়াগ্রাম। বাংলার পটশিল্পকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়া এক নাম। নয়াগ্রামের প্রতিটি ঘরের দেওয়াল, দালান চিত্রিত। নয়াগ্রামে পা রাখলেই আপনার চোখে শুধুই ফুটে উঠবে পটচিত্রে রঙিন, বর্ণময় বাংলার ইতিহাস, পুরাণ, সংস্কৃতি। পটচিত্র শুধু ছবি আঁকাই নয়, তার সঙ্গে থাকে পটের গানও। শিল্পীরা আগে গান বাঁধেন। তার পরে সেই গানের দৃশ্য আঁকা হয়। এক সময়ে গান লেখা ও ছবি আঁকা
আরও পড়ুন16 April, 2019 - 01:45:00 PM
কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের উদ্যোগে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র মাধ্যমে বাংলা ১৪২৬ এর আগমন উদযাপন করল। 'পহেলা বৈশাখ' উপলক্ষে আয়োজিত এই বর্ণময় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের তৈরি মুখোশ ও রয়েল বেঙ্গল টাইগার সহ নানান প্রাণি সদৃশ সুসজ্জিত মুখোশ নিয়ে দর্শকদের নজর কাড়ে। বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি বাংলাদেশ গ্রন্থাগার ও তথ্য কেন্দ্র, ৩, সোহরাওয়ার্দী এভিনিউ, কলকাতা-১৭ থেকে পার্কসার্কাস সেভেন পয়েন্ট ক্রসিং পার হয়ে এ.জি.সি বোস রোড হয়ে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং কলকাতায় সো
আরও পড়ুন16 April, 2019 - 01:35:00 PM
দার্জিলিঙ কিংবা সিকিমের কনকনে ঠাণ্ডা নেই। গাড়িতে চড়ে চড়াই-উতরাই পেরনো নেই। বিস্তীর্ণ ধান ক্ষেত আর খোলা মাঠে বসে দিব্য উপভোগ করতে পারবেন কাঞ্চনজঙ্ঘাকে। শুধু তাই নয়, মেঘমুক্ত আকাশ থাকলে ঝকঝকে দেখা যাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা-সহ তুষারমৌলি হিমালয়ের অন্যান্য শৃঙ্গকেও। কিন্তু তার জন্য আপনাকে আসতে হবে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। পঞ্চগড় শহর থেকে বাংলাদেশের উত্তরে শেষ সীমান্ত বাংলাবান্ধা আসতে সড়কপথে সময় লাগে মাত্র ৪০ মিনিট। এখান থেকে শিলিগুড়ি মাত্র ৮ কিলোমিটার, নেপাল ৬১ কিলোমিটার ও ভুটান ৬৪ কিলোমিটার। তেঁতুলিয়ার পুরানো ডাকবাংলোর পাশ দিয়ে চলে আসুন সীমান্ত নদী (নদীর ওপারেই ভারত) মহানন্দার তী
আরও পড়ুন15 April, 2019 - 09:20:00 AM
তাঁর উপাধি ছিল ‘বাংলার শের’। শের -ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক বাংলার ঐতিহ্যের ধারক এবং বাহক। কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ ছিলেন। তৎকালীন অবিভক্ত বাংলাদেশের মানুষকে শিক্ষিত ও রাজনৈতিক সচেতন করে তুলতে তিনি ছিলেন অগ্রগণ্য। বাংলাদেশের মানুষের মনে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত রচনা করেছিলেন তিনি। দেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন বুনেছিলেন। জনমানুষকে বাংলার শেকড়ের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়েছেন তিনি। পয়লা বৈশাখ, বাংলা বছরের প্রথম দিন। এই দিনটির গুরুত্ব ও উৎসবমুখর আবহাওয়া নতুন করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি। গ্রাম-বাংলার খেটে খাওয়া সাধারণ কৃষিজীবী মানুষের ভাষা তিনি বুঝতে পেরেছিলেন। জানতেন শহুরে মানুষের কাছে সাংস্কৃতিক উৎস
আরও পড়ুন14 April, 2019 - 09:05:00 AM
ভীম নাগের সন্দেশ। এই নামের সঙ্গে বঙ্গ জীবনের পরিচয় ১৯২ বছরের। উত্তর কলকাতায় দুটি দোকানেই নিজেদের ঐতিহ্যকে অটুট রেখে মিষ্টান্ন ব্যবসায় চলমান ভীম চন্দ্র নাগ। নববর্ষে বাঙালিয়ানার সাবেকি আভিজাত্য ধরে রেখে তারা নতুনত্বে না গিয়ে ট্র্যাডিশনেই রয়ে গিয়েছে। আবার খাবো আতা সন্দেশ ভীম নাগের অন্যতম কর্ণধার প্রদীপ নাগের কথায়, মিষ্টির জগতে ভীম নাগের সন্দেশের খ্যাতি জগত জোড়া। সেই খ্যাতি ধরে রেখে ঐতিহ্যের মিষ্টি ক্রেতাদের হাতে তুলে দিয়ে বর্ষবরণ করতে চান তাঁরা। তাই ভীম চন্দ্র নাগের দোকানে ঢুকলে আপনি পাবেন তাদের বিখ্যাত আবার খাবো সন্দেশ, গোলাপী প্যাড়া, প্যারাডাইস, আতা সন্দেশ, মনোহরা। বাটারস্কচ সন্দেশ তবে যুগ
আরও পড়ুন13 April, 2019 - 11:40:00 PM
অধ্যাপক পবিত্র সরকার, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য বাংলা সন (‘সন’ কথাটা আরবি, যেমন ‘সাল’ কথাটা ফারসি) কীভাবে তৈরি হল তা নিয়ে বিতর্ক, অর্থাৎ একাধিক মত আছে—তার কোনওটাই কোনও অভ্রান্ত আর নিঃসন্দেহ প্রমাণ উপস্থিত করে না। একটা ‘দেশপ্রেমিক’মত হল যে, এই তারিখ বা ক্যালেন্ডার বাঙালি রাজা শশাঙ্ক চালু করেছিলেন তাঁর রাজত্বপ্রতিষ্ঠার (৫৯৩ খ্রিস্টাব্দ) স্মারক হিসেবে। কিন্তু এ সংক্রান্ত ঘোষণার কোনও সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই, ফলে ঐতিহাসিকেরা তা গ্রহণ করতে পারেননি। যার থেকে বাংলায় বছর কেন আরবি ‘সন’ বা ফারসি ‘সাল’ কথার সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেল তারও ব্যাখ্যা আমরা পাই না। বছরটা বাংলা, অথচ ওই কথাগুলি আরবি-...
আরও পড়ুন