শ্রীমধুসূদন অন্তরে মার মুখের বাণী অনুক্ষণ
29 June, 2024 - By Editor Role
27 June, 2024 - 11:55:00 AM
তপন বন্দোপাধ্যায় বিশিষ্ট লেখক পুব আকাশের একটি এলেবেলে নক্ষত্র যখন এক-পা এক-পা করে হেঁটে মধ্যরাতে পৌঁছে যায় ঠিক মাথার উপর, আমি আটতলা বাড়ির সিঁড়ি ভেঙে ছাদে পা রাখি। ছাদে আমার জন্য অপেক্ষা করছিল নিরাভরণ অমাবস্যা। তার স্পর্শ সমস্ত শরীরে শুষে নিতে আমি শুয়ে পড়ি চিৎ হয়ে। দু-চোখে আঁধার ফুঁড়ে ফেলতে থাকি তীব্র প্যাশনে। আঁধার পেরিয়ে পৌঁছে যাই মহাজগতের অনন্ত শূন্যতা অভিমুখে। চৈতন্যে তখন এক তুরীয় অনুভূতি। চোখ ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে মগ্ন নির্জনতা। কোথাও একটা রাতচরা পাখিও নেই যে ভেঙে ফেলবে নিকষ শব্দহীনতা। নিদ্রাহীন মধ্যরাতে শুধু মাথার উপরে প্ল্যানেটোরিয়ামের মতো বিশাল আকাশ। জ্বলছে নিভছে নক্ষত্রের দল আর চকমকি জ্ব
আরও পড়ুন25 June, 2024 - 11:45:00 AM
সুজয় দত্ত ওহায়োর ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাক্রন-এ পরিসংখ্যানতত্ত্বের অধ্যাপক, আমেরিকা নিবাসী দুশো বাহাত্তর নম্বরের রুগী আজই ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট থেকে ছাড়া পেয়ে জেনারেল বেডে এসেছে। অবস্থার উন্নতিতে সকলের চোখেমুখে স্বস্তির ছাপ। আর ইন্ট্রাভেনাস নয়, এবার পথ্য খাবে। নিজের মুখে। জেনারেল ওয়ার্ডের মেট্রনের কাছ থেকে নির্দেশ যাচ্ছে রান্নাঘরে। কী কী খেতে বলেছেন ডাক্তারবাবু, কী কী দেওয়া বারণ। পাশে দাঁড়ানো একশো সাতান্নর আয়া। কাঁচুমাচু মুখ, বিব্রত, মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে। একটু আগেই সবার সামনে বকুনি খেয়েছে মেট্রনের। সেখানকার হার্টের রুগীকে আজ দুপুরে নুন ছাড়া খাবারের বদলে নুন দেওয়া খাবার খাওয়ানো হয়েছে ভুল করে। ওয়া
আরও পড়ুন20 June, 2024 - 01:15:00 PM
পলাশ বন্দোপাধ্যায় বিশিষ্ট লেখক, পশ্চিমবঙ্গ কদিন ধরে ঘুষঘুষে জ্বর, মাথা ঘোরা, গা-হাত-পা ব্যথা, দুর্বলতা চলছিল। সে সব উপেক্ষা করে প্যারাসিটামল খেয়ে কোনও মতে অফিসটা করছিলেন তিনি। কিন্তু আজ সন্ধ্যেবেলা কাজে এসে শরীরটা হঠাৎ করে বেশি খারাপ হওয়াতে আর পেরে উঠলেন না। রাতের ডিউটি শিফ্ট অফ করে বাড়ি ফেরা মনস্থ করলেন দ্বারিকানাথ ভর্চাজ। শেয়ালদার এক আই.টি. অফিসে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করেন। বলতে গেলে প্রায় জন্মলগ্ন থেকে। বয়স পঞ্চাশের কোঠায়। হার্টের ব্যামো। সে কারণে মাঝে মধ্যে প্যালপিটেশন হয়। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে হঠাৎ হঠাৎ করে চোখে অন্ধকার দেখে মাথা হালকা হয়ে পড়ে যাবার উপক্রমও হয়। কার্ডিওলজিস্ট বলেছেন, 'ব্ল্
আরও পড়ুন13 June, 2024 - 11:40:00 AM
লাজবী মুখার্জী লেখিকা, পশ্চিমবঙ্গ "বিশ্ব সাথে যেথায় যোগে বিহারো সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমারও" সভ্যতার নিয়মে জীবন এগিয়ে চলেছে তার আপন গতিতে। এক মুহুর্ত অবসর যাপনের সুযোগটুকু নেই তারই মধ্যে যদি ক্ষণিকের অবসর খুঁজে নিয়ে একটু আনন্দ সমুদ্রে গা ভাসানো যায় তাই জীবনের পরম প্রাপ্তি। মহাবিশ্বে, মহাকাশে, মহাকাল মাঝে যিনি তার আশীর্বাদ ও স্নেহসুধার পাত্রখানি উজাড় করে রেখেছেন তাকে অন্তরের স্পর্শটুকু দিয়ে ছুঁয়ে দেখার সুযোগ কী ছাড়া যায়! জগতের পালকপিতা তথা প্রিয়তম সখার পাদপদ্মখানি ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছেটুকু অন্তরে লালন করে গত ২৫শে ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দুরন্ত এক্সপ্রেসে রওনা দিলাম জগন্নাথ ধাম পুরীর উদ্দেশ্যে। ট্রেনয
আরও পড়ুন13 June, 2024 - 11:20:00 AM
সামিয়া মহসীন। বিশিষ্ট নাট্যকর্মী। বাঙালি তাঁর জাতিস্বত্বার শিকড় খুঁজতে বরাবরই অনুসন্ধানী। এই বঙ্গদেশে বাঙালি প্রাচীনকাল থেকেই বাঙলা ভাষাতেই কথা বলে এসেছে। আমরা এখন বাঙলা ভাষার যেই রূপ দেখছি। এটারই বা গোঁড়াপত্তন কবে হল। বিভিন্ন পাঠ্যগ্রন্থ পর্যালোচনা করে খ্রিস্টপূর্ব তিন হাজার বছর আগের ঋগ্বেদের 'ঐতরেয় আরণ্যক' গ্রন্থে প্রথম 'বঙ্গ' শব্দটির উল্লেখ পাওয়া যায়। এক কথায় যদি বলি তাহলে বলতে হয় যে বাঙালি জাতি যেমন শঙ্কর জনসমষ্টি, বাঙলা ভাষাও তেমনি শঙ্কর ভাষা। বর্তমান বাঙলা ভাষা প্রচলনের আগে গৌড় ও পুঞ্জের লোকেরা অসুর ভাষাভাষী ছিল বলে জানা যায়। এক সময় অসুর ভাষাভাষী লোকেরা ছিল সমগ্র প্রাচীন বঙ্গের লোক। অসু
আরও পড়ুন11 June, 2024 - 11:45:00 AM
বিশ্বজিৎ মতিলাল বরিষ্ঠ গণজ্ঞাপন আধিকারিক ও সাংবাদিক, পশ্চিমবঙ্গ সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বিদেশী ছবি "ওপেনহাইমার" শহরে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। অনেকেই ছবিটি দেখেছেন, আলোচনা করেছেন, লেখালেখিও হয়েছে। এই ছবিটির প্রেক্ষিতে একটি বাংলা বই জনমানসে ফিরে এলো। বইটির নাম "বিশ্বাসঘাতক", লেখক নারায়ণ সান্যাল। উনি বহুদিন আগে এই বইতে পরমাণু বোমা, তার আবিষ্কার, তার জনক এবং আরোও অনেক তথ্য একত্রিত করেছিলেন। নারায়ণ সান্যাল ছিলেন এক অনন্য প্রতিভাশালী মানুষ, পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ও নেশায় লেখক। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, গবেষণামূলক রচনা এ সবই ছিল তার করায়ত্ত। লেখক নারায়ণ সান্যালের চাইতেও আমার কাছে অনেক বড় করে ধরা দিয়
আরও পড়ুন6 June, 2024 - 02:05:00 PM
চম্পাকলি আইয়ুব।অবসরপ্রাপ্ত বিজ্ঞান-গবেষক। মুম্বাই নিবাসী প্রথম পর্বের পর... 'কাসল'-এর পূর্ব দিকের ফটকটির পথের পাশে একটু উঁচুতে থাকা যে ঘর তাতে যে স্তম্ভগুলো ছিল তাদের সামান্য অংশ এখনও দেখা যায়। তেমন একটি স্তম্ভের নিচের অংশে রয়েছে বড় একটি চৌকো পাথরের ওপর ডমরুর আকারের আরেকটি বড় পাথর; ডমরুর ওপর ও নিচের তল একদম মসৃণ। কয়েকটি চৌকো, বড় পাথর দেখেছি যাদেরও ধারগুলো একদম মসৃণ। এছাড়া সেখানে রয়েছে কিছু নিটোল গোল কিন্তু লম্বাটে পাথর যা সম্ভবত ছিল কোনো স্তম্ভের অংশ। কী ধরণের যন্ত্র ব্যবহার করে সেযুগের মানুষ এমন অবিশ্বাস্য রকমের নিখুঁত কাজ করেছিল সে সম্বন্ধে এখনও কিছুই জানা যায়নি। 'বেইলি'-তে থাকা একটি গো
আরও পড়ুন6 June, 2024 - 01:05:00 PM
চম্পাকলি আইয়ুব। অবসরপ্রাপ্ত বিজ্ঞান-গবেষক। মুম্বাই নিবাসী ছোটবেলা থেকে হরপ্পা-সভ্যতা সম্বন্ধে আমার প্রবল কৌতূহল। ইতিহাস বইয়ে যতটুকু পড়েছি তাতে রোমাঞ্চিত হয়েছি দু'টি কারণে প্রথমটি ঐ সভ্যতার উচ্চমান আর দ্বিতীয়টি সেই সভ্যতার বিলীন হয়ে যাওয়ার রহস্য। প্রাচীন ঐ সভ্যতার প্রধান নিদর্শন রয়েছে হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোতে কিন্তু সেই দুটি জায়গাই বর্তমানে পাকিস্তানে তাই ইচ্ছে থাকলেও সেখানে যাওয়া আমাদের জন্য সহজ নয়। তবে ভারতেও বেশ কয়েকটি অঞ্চলে হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে। তাদের মধ্যে একটি রয়েছে গুজরাতের 'গ্রেট রণ অফ কচ্ছ'-এ ও হরপ্পা সভ্যতার বড় বসতিগুলোর মধ্যে সেটির স্থান পঞ্চম। 'রণ অফ কচ্ছ' হ্রদের ...
আরও পড়ুন6 June, 2024 - 11:20:00 AM
ডাঃ জিয়াউদ্দিন আহমেদঅধ্যাপক মেডিসিন এবং কিডনি বিভাগটেম্পলে বিশ্ববিদ্যালয়, ফিলাডেলফিয়া। প্রথম যখন ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা এলাম সে সময় ফিলাডেলফিয়ার আশেপাশে পশ্চিমবাংলার বেশ কিছু মানুষের সাথে পরিচয় হয়, ঘনিষ্ঠতা হল। এই সংযোগ ঘটিয়েছিলেন একজন প্রিয় মানুষ, এখন প্রয়াত, সুযশ গুহ রায়। তিনি বাংলাদেশি ফার্মাসিস্ট এবং ঢাকার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তার তিন বোনের মধ্যে দুই জনের মুক্তিযুদ্ধের আগেই কলকাতায় বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। আর পরবর্তী সময়ে দুই ভাই আর তিন বোন কলকাতায় থাকতেন। তবে বাবা-মা বাংলাদেশেই ছিলেন। স্বাভাবিক কারণেই দুই বাংলার মানুষের জন্য সুযশদার ছিল সমান ভালোবাসা। বাংলাদেশ কমিউনিটি তখন বে
আরও পড়ুন